bmet card কিভাবে করবো/ বিএমইটি কার্ড চেক ও ডাউনলোড

bmet card কি? bmet card কিভাবে পাবো, বিএমইটি কার্ড আবেদন, bmet card check, BMET কার্ড এর প্রয়োজনীয়তা, আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড, bmet smart card download, bmet card download by passport number, bmet fingerprint check সহ আরোও অনেক বিষয়ে জানতে চান বিদেশগামী কর্মীরা। তাই তাদের সুবিধার্থে bmet card সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আজকের পোস্টে।

 

BMET Card কি?

BMET বা বিএমইটি স্মার্ট কার্ড হলো: Bureau of Manpower, Employment and Training (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত ১৯৭৬ জনশক্তি উন্নয়নের লক্ষে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় bmet। যার উদ্দেশ্যে বিদেশগামী কর্মীদের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য সহযোগীতা করা।

 

BMET Card এর প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য bmet card খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এটি  বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে কারিগরি বিষয় সাহায্য করে থাকে। যেমন: 

  • রিক্রুটিং এজেন্সি লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণ
  • বিদেশগামী কর্মীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট
  • বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ 
  • TTC (টিটিসি) গ্রহণ বা নিয়ন্ত্রণ
  • ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড প্রদান ইত্যাদি।

 

BMET Card কিভাবে পাবো/bmet smart card আবেদন

bmet card করার জন্য আপনাকে ‘আমি প্রবাসী এপ্লিকেশন/ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন’ অপশন থেকে bmet card এর জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর OTP, নমিনির তথ্য ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে। ৩০০ টাকা bmet card রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জমা দিয়ে bmet card পেতে পারেন।

বিএমইটি কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। সাধারণত দেশের বাহিরে যেতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক ‘আমি প্রবাসী এপ্লিকেশন/ওয়েবসাইটের’ মাধ্যমে Bmet রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু আমাদের ভিতরে অনেকের জানা নেই কিভাবে bmet রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে Bmet রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এবং কিভাবে পেমেন্ট করতে হয়।

আরোও পড়ুন: পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে যেকোন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম।

bmet কার্ড পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। bmet রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে ফোনের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর ফোনে থাকা Google play store অ্যাপটি Open করুন এবং সার্চ অপশনে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন। তাহলে  আপনার সামনে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি চলে আসবে। এখন সেটি Install করে নিন। অ্যাপটি সম্পূর্ণ  Install হওয়ার সেটি ওপেন করুন।

BMET Card কিভাবে পাবো/bmet smart card আবেদন

এখান থেকে নিচে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর ‘0’ ছাড়া আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার ফোনে চার সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন/OTP কোড যাবে। সেটি বসিয়ে ‘কনফার্ম’ অপশনে ক্লিক করুন। 

bmet পাসওয়ার্ড তৈরি:

এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: 

  • আপনার পাসওয়ার্ড লিখুন এবং 
  • আপনার পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন 

‘আমি প্রবাসী অ্যাপ্লিকেশনের’ ভিতরে ভবিষ্যতে প্রবেশ করার জন্য একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি সর্বনিম্ন ৬ সংখ্যার হতে হবে এবং একটি নম্বর অথবা একটি চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। এখন একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং একই পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ডটি নিশ্চিত করে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

 

দেশ নির্বাচন:

এ পর্যায়ে আপনাকে দেশ নির্বাচন করতে হবে’ অর্থাৎ আপনি যে দেশে যেতে চান সে দেশটি সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। 

তবে মনে রাখবেন এখানে অবশ্যই আপনাকে সর্বনিম্ন তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন ৩টি দেশ নির্বাচন করুনতারপর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।

 

কাজের দক্ষতা সিলেকশন:

এখন আপনাকে আপনার ‘দক্ষতা’ সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনার যে কাজের প্রতি দক্ষতা রয়েছে সেই কাজ গুলো সিলেক্ট করুন এবং ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। 

 

বিএমইটি ব্যক্তিগত পরিচয় প্রদান

এ পর্যায়ে আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। যেমন:

  • আপনি পুরুষ নাকি মহিলা?
  • আপনার বয়স নির্বাচন করুন 
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
  • চাকুরীর অবস্থা নির্বাচন করুন 
  • আপনি কি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত? 
  • আপনার কি বিএমইটি/স্মার্ট কার্ড আছে?

এখন আপনি উপরিক্ত সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে একটি পেজ চলে আসবে সেখান থেকে ‘ঠিক আছে’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ‘আমি প্রবাসী’ এপ্লিকেশনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। 

বিএমইটি ব্যক্তিগত পরিচয় প্রদান

বিএমইটি স্মার্ট কার্ড আবেদন প্রক্রিয়া 

এখন আপনাকে বিএমইটি আবেদন করতে হবে। বিএমইটি আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ফোনে পাসপোর্টের একটি ক্লিয়ার ছবি তুলে রাখুন। এখন নিচে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের হোম পেইজ থেকে ‘বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন’ অপশন ক্লিক করুন। তাহলে বিএমইটি আবেদন অপশনে চলে আসবে। এখন আপনি যেই দেশে যেতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে ‘মালয়েশিয়ায়’ সিলেক্ট করুন। আর অন্য দেশে যেতে চাইলে অন্যান্য অপশন ক্লিক করে আপনার পছন্দ দেশটি সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। 

তাহলে আপনার সামনে একটি পেজ চলে আসবে সেখানে লেখা থাকবে ‘আবেদন শুরু করুন’ এবং আবেদন করার জন্য আপনাকে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে। কিভাবে আবেদন করবেন ইত্যাদি। সবগুলো প্রসেস পড়ে আবেদন করতে ইচ্ছুক হলে নিচে থেকে ‘পাসপোর্ট স্ক্যান করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর Gallery থেকে আগে থেকে তুলে রাখা পাসপোর্টের স্ক্যান কপিটি আপলোড করে দিন।

পাসপোর্ট আপলোড হওয়ার সাথে সাথে Automitacally পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ, পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সকল তথ্য চলে আসবে। এখন প্রথমে আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার নাম লিখুন। তারপর সকল তথ্য সঠিকভাবে দেখে নিন ঠিক আছে কি না।

কোনো তথ্য ভুল থাকলে সঠিকভাবে পূরণ করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। যেমন:

  • পিতার নাম 
  • মাতার নাম 
  • বৈবাহিক অবস্থা 
  • ধর্ম 
  • উচ্চতা এবং 
  • ওজন 

উপরের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবার ও ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। 

 

যোগাযোগের তথ্য প্রদান:

যোগোযোগের জন্য আপনাকে যেসব তথ্য দিতে হবে তাহলো:

  • মোবাইল নম্বর 
  • ইমেইল 
  • স্থায়ী ঠিকানা 
  • জেলা 
  • থানা/উপজেলা 
  • ওয়ার্ড/ইউনিয়ন
  • এলাকা/গ্রাম
  • বাড়ির নাম/নং

এখানে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। 

 

নমিনের তথ্য প্রদান:

এখন আপনার নমিনের তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন:

  • নমিনের সাথে সম্পর্ক
  • নমিনির নাম 
  • নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্র 
  • নমিনের পিতার নাম
  • নমিনের মাতার নাম 

bmet card নমিনির তথ্য

উপরের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে  ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। 

 

জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান

এখানে আপনি জরুরি যোগাযোগের জন্য পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্বামী স্ত্রী ইত্যাদি ব্যক্তির নাম দিতে পারবেন। তারপর আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী জরুরী যোগাযোগ করার জন্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী সদস্য সিলেক্ট করে। সেই ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। 

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবরণ:

তারপরে পরবর্তী অপশনে আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবরণ প্রদান করতে হবে। এখন প্রথমে আপনি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা 
  • পাশের সাল
  • প্রতিষ্ঠান/স্কুল 
  • বোর্ড 
  • বিষয়
  • গ্রেড/ডিভিশন

সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে ভাষার দক্ষতা সিলেক্ট করতে হবে।

 

ভাষার দক্ষতা নির্বাচন

এখন আপনি যেসব ভাষায় পারদর্শী সেসব ভাষা নির্বাচন করতে হবে এবং সেগুলোতে আপনার দক্ষতা কেমন সেটিও সিলেক্ট করতে হবে।

  • ভাষাগত যোগ্যতা 
  • মৌখিক দক্ষতা এবং
  • লিখিত দক্ষতা

এখন আপনি যেসব ভাষায় পারদর্শী সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। যদি একের অধিক ভাষায় পারদর্শী হন। তাহলে ‘আরো যোগ করুন’ অপশনে ক্লিক করে আপনার ভাষা সিলেট করুন।

 

বিএমইটি তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া

ভাষা দক্ষতা সিলেক্ট করার পর আপনার সামনে তথ্য যাচাই নামে একটি অপশন চলে আসবে। সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • পরবর্তী 
  • রিভিউ 

এখন আপনার তথ্যগুলো ভুল আছে কি না সেটি দেখতে চান তাহলে ‘রিভিউ’ অপশনে ক্লিক করুন। এবং তথ্যগুলো সঠিক থাকলে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে Verification পেইজ চলে আসবে। এবং আপনার পাসপোর্ট যাচাই করার জন্য চলে যাবে। পাসপোর্ট যাচাই হতে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার নিতে পারে। এখন আপনি নিচে ঠিক আছে অপশন ক্লিক করুন।

আরোও পড়ুন: পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফর্ম ডাউনলোড

তাহলে আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস ভেরিফিকেশন Pending দেখাবে। এই জায়গায় অনেকের ভুল হতে পারে। যদি আপনি আপনার পাসপোর্ট সাথে কোন তথ্য গড়মিল দিয়ে থাকেন। তাহলে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস রিজেক্টড/পেইন্ডিং দেখাতে পারে দীর্ঘসময় পর্যন্ত। এজন্য আপনি এই জায়গায় পরিষ্কার অথবা ক্লিয়ার পাসপোর্ট ছবি আপলোড করবেন এবং সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করবেন। 

সবকিছু ঠিক থাকলে অনেক সময় ৪/৫ মিনিট অথবা সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ভিতরে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যায়। এখন আপনি অ্যাপ্লিকেশন থেকে বের হয়ে আবারও ১০ মিনিট পর অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করুন। তাহলে হয়ত লেখা আসতে পারে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ভরিফাইড। অনেকের ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তাই এসময় চিন্তা না করে ধৈর্য ধরুন।  

bmet card পেমেন্ট পরিশোধ

bmet card পেমেন্ট পরিশোধ

এখন আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং/ কার্ডের মাধ্যমে করতে পারবেন। এখন পেমেন্ট করার জন্য পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে পেমেন্টের একটা অপশন চলে আসবে। এখন আপনি পেমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গেটওয়ে দেখতে পাবেন। যেমন:

  • বিকাশ 
  • রকেট 
  • নগদ ইত্যাদি 

এখন আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি বিকাশ সিলেক্ট করলেন। তারপর নিচে I have read and agree অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে pay 300.00 অপশন ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পাবেন বিকাশ গেটওয়ে চলে আসবে। এখন যে বিকাশে সর্বনিম্ন ৩০৬ টাকা রয়েছে। সেই বিকাশ নম্বরটি বসিয়ে Confirm অপশনে ক্লিক করুন। 

তাহলে আপনার নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড অথবা OTP যাবে। সেটি বসিয়ে Confirm অপশন ক্লিক করুন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্ট পিন দিয়ে Confirm অপশন ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ন হয়ে যাবে এবং bmet নম্বর স্ট্যাটাস চলে আসবে। এখানে বিএমইটি নম্বর স্ট্যাটাস আসতে সর্বোচ্চ ৪৮ঘন্টা সময় নিতে পারে। কিন্তু ৪৮ ঘন্টা সময় লাগে না। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিটের ভিতরে পেমেন্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।

২/৩ মিনিট অপেক্ষা করুর। তাহলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে। এখন আপনি ঠিক আছে অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার বিএমইডি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং কার্ডটি আপনার সামনে চলে আসবে। এখন উপরে ডানপাশে ডাউনলোড আইকনে ক্লিক করে আপনি আপনার বিএমইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং আপনার প্রয়োজন সাপেক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।

 

কিভাবে বিএমইটি কার্ড চেক করব (bmet smart card check)

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন bmet card এর জন্য আবেদন করেছেন এবং মোবাইলে মেসেজে ও এসেছে। এখন আপনার বিএমইটি কার্ডের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য এই অংশে আমরা আলোচনা করব কিভাবে স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজে বিএমইটি কার্ড চেক (bmet card check) করবেন। 

অনলাইনে বিএমইটি কার্ড চেক (bmet card check) করার জন্য ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে যেকোন ব্রাউজারের এড্রেস বারে amiprobashi.com লিখে চার্স করুন। তাহলে আপনি ‘আমি প্রবাসী’ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাবেন। এখন সাইটে প্রবেশের উপরের 3 dot এ ক্লিক করে Clearance Card নির্বাচন করুন। কিভাবে বিএমইটি কার্ড চেক করব

তারপর একটু নিচে স্ক্রোল করে ‘track application’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি পরবর্তী পেইজে চলে আসবেন। এখন আবারও একটু নিচে স্ক্রোল করে Passport number or Clearance application ID এর স্থলে আপনার Passport number or Clearance application ID দিয়ে Search অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার bmet smart card এর বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। যেমন: 

  • Name
  • Passport number
  • Visa number
  • Country ইত্যাদি। 

একই সাথে আপনি আপনার বিএমইটি কার্ডের Tracking status গুলো দেখতে পাবেন। যেমন:

  • Recruiting Agency 
  • Translator
  • AD
  • DD ও
  • Director 

 

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড (bmet smart card download) 

আপনি কি বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড (bmet card download) করতে চান? অথবা bmet card download by passport number এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে এই পয়েন্টটি আপনার জন্য। এখন আমরা জানবো কিভাবে হাতে থেকে মোবাইল ফোন থেকে bmet card download করতে পারবেন। একই সাথে দেখব কিভাবে passport number দিয়ে bmet card download করবেন। 

bmet smart card download করার জন্য প্রথমে ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ অন করুন। তারপর যেকোন ব্রাউজারের এড্রোসবারে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন এবং সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর উপরের 3 লাইন মেনুতে থেকে Clearance Card অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে ৩টি অপশন দেখতে পাবেন। 

  • Apply for clearance
  • Get smart clearance card ও 
  • Track application

bmet smart card download

এখন bmet smart card ডাউনলোড করার জন্য Download clearance card অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার পাসপোর্ট নম্বর ও ক্যাপচা দিয়ে Search অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বিএমইটি স্মার্টকার্ডটি দেখতে পাবেন। এখন ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে খুব সহজে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে bmet card download করে নিতে পারবেন। 

bmet card download by passport number

ওয়েবসাইট ছাড়াও আপনি চাইলে Mobile apps থেকেও bmet smart card download করতে পারবেন। অ্যাপ থেকে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য ফোনের Google play store অ্যাপটি ওপেন করুন এবং সার্চবারে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন। এখন amiprobashi অ্যাপটি ইন্সটল করুন।

amiprobashi app download

অ্যাপটি সম্পূর্ণ ইন্সটল হওয়ার পর সেটি ওপেন করুন। তারপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বর ও OTP দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। এখন শুরুতেই আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এখন পাসওয়ার্ড তৈরি করুন অপশনে একটি পাসওয়ার্ড বসিয়ে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। 

এখন আপনাকে কম পক্ষে ৩ টি দেশ সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যেই দেশ গুলোর জন্য bmet করাতে চান এমন ৩টি সম্ভাব্য দেশ নির্বাচন করুন। তারপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে আসবে। এখন কোন বিষয়ে আপনার কারিগরি দক্ষতা রয়েছে এমন পেশা নির্বাচন করুন। আপনি চাইলে একই সাথে অনেক গুলো পেশা সিলেক্ট করতে পারবেন। কারিগরি দক্ষতা সিলেক্ট করার পর আবারও ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাদের সামনে একটি শর্টফর্ম ওপেন হবে। 

bmet card download by passport number

এপর্যায়ে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে হবে যেমন: 

  • আপনি কি পুরুষ নাকি মহিলা?
  • আপনার বয়স নির্বাচন করুন
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
  • চাকরির অবস্থা নির্বাচন করুন
  • আপনি কী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত?
  • আপনার কি বিএমইটি স্মার্ট কার্ড আছে?

এখন সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে আমি প্রবাসী অ্যাপের ভিতরে নিয়ে আসবে। সুধু বিএমইটি কার্ড চেক করা নয় আপনি চাইলে অ্যাপটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সকল সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন: 

  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
  • চাকরি খুঁজা
  • অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ
  • কার্ড এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড
  • আমি প্রবাসী a2i
  • সকল ব্র্যাক সেবা
  • ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন
  • পাসপোর্ট অফিস
  • রিক্রুটিং এজেন্সি অফিস
  • বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন
  • মেডিকেল সেন্টার
  • ট্রেনিং সেন্টার
  • ডকুমেন্টস যাচাই 
  • দূতাবাস/মিশন ইত্যাদি।

এখন কার্ড এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে অনেক ধরনের সার্টিফিকেট ডাউনলোড অপশন পেয়ে যাবেন। যেমন: 

  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড
  • পিডিও এনরোলমেন্ট কার্ড
  • পিডিও সার্টিফিকেট
  • ট্রেনিং সার্টিফিকেট
  • পিডিও সার্টিফিকেট (হাউজকিপিং)
  • বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড

এখন আপনি যেই ডকুমেন্টটি ডাউনলোড করতে চান সেটি ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে ভিতরে নিয়ে যাবে।

bmet card download by passport number

এখন আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ‘খোঁজ করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার কাঙ্খিত ডকুমেন্ট আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। এখন ডকুমেন্ট ডাউনলোড করার জন্য ‘ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে এটি আপনার ডিভাইসে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে খুব সহজে আপনি আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড (bmet smart card download) করতে পারবেন। 

 

bmet fingerprint check

অনলাইনের মাধ্যমে বিএমইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করার জন্যে। মোবাইলে ডাটা সংযোগ চালু রেখে যেকোন ব্রাউজার অ্যাড্রেস বারে bmet fingerprint check লিখে চার্স করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে (Bio-Finger Enrollment) প্রবেশ করুন। তাহলে আপনি এরকম একটি পেইজ দেখতে পাবেন।

bmet fingerprint check

এখন পেইজটি একটু জুম করুন। তাহলে দেখতে সুবিধা হবে। এখন Employee Registration Number এর স্থলে আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দিয়ে দিন। আপনারা যারা ফিঙ্গার করেছেন। তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর যেই স্লিপ পেয়েছেন সেখানে ১৫ ডিজিটের একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে পাবেন। সেটি সঠিকভাবে বসিয়ে নিচের যেই সাদা অংশ রয়েছে সেখানে টার্চ করুন। তাহলে আপনার Fingerprint status success দেখতে পাবেন। যদি কোন কারণে ফিঙ্গারে ভুল আসে তাহলে Failed ও আসতে পারে। এভাবে আপনি খুব সহজে bmet fingerprint check করতে পারবেন।

আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ে আপনি bmet card সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ! 

bmet Content tag Keyword

#What is a bmet card? 

#BMET Card কি?

#bmet card এর প্রয়োজনীয়তা

#কিভাবে bmet card পাবো

#bmet card রেজিস্ট্রেশন 

#bmet card ডাউনলোড

#বিএমইটি কার্ড চেক

#bmet fingerprint check 

#bmet card download by passport 

#bmet smart card download

#আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

#কিভাবে বিএমইটি কার্ড চেক করব

#bmet card আবেদন প্রক্রিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 Comments