প্যাসিভ ইনকাম বর্তমান সময়ের অন্যান্য জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং পেশা গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই আজকের পোস্টে অসাধারণ ৭টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া শেয়ার করব। যা একবার শুরু করতে পারলে আপনাকে আর অর্থের চিন্তা করতে হবে না।
প্যাসিভ ইনকাম কি?
Passive Income হলো এমন এক ধরনের পেশা যা একবার শুরু করবেন এবং সারা জীবন বসে বসে আয় করতে পারবেন। এমনকি আপনার মৃতুর পরেও আপনার আত্নীয়স্বজন ইনকাম পেতে থাকবে।
ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম
আপনার যদি কোন একটি বিষয়ে ভালো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেটিকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে Passive Income শুরু করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম করছে। তাই আপনিও শুরু করুন। নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করুন এবং ইনকাম করুন। ইউটিউব থেকে Passive Income শুরু করতে মানতে হবে কিছু নিয়ম যেমন: আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে ইউটিউব মনিটাইজেশন রুলস অনুযায়ী মেন্টেইন করা, ইউটিউব প্রোগ্রাম পলিসি মেনে চলা ও ইউটিউব মনিটাইজেশন শর্তাবলী পূরণ করা।
আরোও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম। বিকাশে পেমেন্ট নিন।
ইউটিউব থেকে সর্বনিম্ন কত টাকা প্যাসিব ইনকাম করা যাবে? ইউটিউব থেকে সর্বনিম্ন ১০০$ অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা সর্বনিম্ন প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব। এবং ইউটিউব থেকে সর্বোচ্চ প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকার বেশি প্যাসিভ ইনকাম করতে দেখা গেছে।
ব্লগিং থেকে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো ব্লগিং। আপনি চাইলে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে লিখে ব্লগিং করে Passive Income শুরু করতে পারবেন। তবে এর জন্য ভালো বাংলা জানা জরুরি। তবে বেসকি বাংলা রাইটিং জানলেও ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে প্যাসিভ ইনকাম (Passive Income) শুরু করার সর্বউত্তম মাধ্য হলো ব্লগিং করা।
ব্লগিং করে ইনকাম করতে মানতে হবে কিছু নিয়ম কানুন যেমন: অ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম পলিসি, কনটেন্ট পলিসি ও ব্লগ সাইট তৈরি বা এসইও। এই সমস্ত বিষয় আপনি ইউটিউবে চার্জ করে জেনে নিতে পারবেন এবং ইউটিউব দেখে ব্লগিং করে Passive Income জেনারেট করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে প্যাসিভ ইনকাম
কিছু বছর পূর্বেও ফেসবুক ছিল সময় কাটানো বা নতুন নতুন বন্ধু তৈরির অ্যাপস। যেখানে সুধু মাত্র ফেইস বা ছবি আপলোড করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ফেসবুককে কেন্দ্র করে নতুন নতুন মার্কেটপ্লেস তৈরির হওয়ায় এখন যেকেউ চাইলে খুব সহজে ফেসবুক থেকে আয়ও করতে পারছেন। আপনি যদি একজন নিয়মিত ফেসবুক ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজে ফেসবুক থেকে Passive Income শুরু করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: AI দিয়ে Kids স্টোরি তৈরি করে প্রতিমাসে ৫০০$ আয় করুন।
ফেসবুক থেকে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে আপনাকে একজন ফেসবুক কনটেন্ট ক্রেয়েটরস হতে হবে। তবে আপনি ফেসবুক থেকে প্যাসিভ ইনকাম (Passive Income) করতে পারবেন। ফেসবুকে একটি পেইজ তৈরি করে সেখানে ফেসবুক রুলস মেনে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করে মনিটাইজেশন নিয়ে Passive Income শুরু করতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয় আপনি ইউটিউব থেকে জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম
ইউটিউব বা ফেসবুক ভিডিও তৈরি কিংবা ব্লগিং যদি আপনার কাছে বিরক্তকর মনে হয়। তাহলে আপনি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই একটি টুলস ওয়েবসাইট তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম (Passive Income) শুরু করতে পারেন। তবে এর জন্য সামান্য কিছু অর্থ ও জ্ঞান খরচ করতে হবে। তবেই আপনি খুব সহজে অনলাইন না ওয়েবসাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থেকে Passive Income শুরু করতে প্রথমে একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডেভলফারকে হায়ার করুন। তারপর তাকে বলুন আপনার জান্য মানসম্মত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে। অথবা আপনি নিজেও রিসার্চ করে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন খুঁজে নিতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরির পর সেটাতে গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন নিয়ে Passive Income শুরু করতে পারবেন।
অ্যাপ থেকে প্যাসিভ ইনকাম
আমরা যারা এন্ড্রয়েড ফোন ইউজার তারা সবাই অ্যাপ সম্পর্কে জানি বা অ্যাপস শব্দটির সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু আপনি কি জানেন যারা অ্যাপস নির্মেতা বা অ্যাপসের মালিক তারা সেই অ্যাপস থেকে Passive Income করছে? হ্যাঁ, আপনিও যদি মার্কেটে যেকোন অ্যাপস বা গেমস নিয়ে আসতে পারেন তাহলে খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন। একটি অ্যাপস থেকে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০০$ থেকে ১০,০০০$ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
তবে এর জন্য বেসিক পর্যায়ে আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করে একজন ডেভলফার দিয়ে একটি সার্ভিস অ্যাপস বা গেমস তৈরি করতে হবে। তবে সার্ভিস অ্যাপস তৈরি করলে সেটি মেন্টেইন করতে হবে নিয়মিত। আর যদি গেমস হয় তাহলে সুধু অ্যাপটেড দিলেই চলবে। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন কত টাকা ইনভেস্ট করা রাগবে?
দেখুন কত টাকা ইনভেস্ট করা লাগবে সেটা আপনার অ্যাপস কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করবে। আপনার অ্যাপসটি 2D নাকি 3D এটি কেমন এর ফাংশনালিটি কেমন হবে ইত্যাদি বিষয়ের ওপরে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয় এবং দাম নির্ধারণ করা হয়। অ্যাপস তৈরির খরচ বা বিস্তারিত জানতে ফাইবার থেকে একজন অ্যাপ ডেভলফারকে নক দিয়ে জেনে নিতে পারেন।
অ্যাপ তৈরির পর সেটা মার্কেটিং করে ইন্সটলেশন বাড়াতে হবে। তারপর গুগল এডমোবের জন্য আবেদন করে এপ্রুভাল নিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এডমোব ছাড়াও ফেসবুক এডস ও অন্যান্য এডস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে Passive Income উপার্জন করতে পারবেন।
ইমেজ সেলিং প্যাসিভ ইনকাম
আপনি চাইলে অনলাই আপনার ফোন বা ক্যামরা দিয়ে তোলা ছবি গুলো বিক্রি করে Passive Income উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার ফোন দিয়ে তোলা ছবি গুলো হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
ইমেজ সেলিং Passive Income শুরু করতে প্রথমে আপনাকে ভালো ভালো কয়েকটি ছবি তুলতে হবে। তারপর সম্ভব হলে সেগুলোকে একটু এডিট করে আরোও সুন্দর করে তুলতে হবে। তারপর একটি ইমেজ সেলিং ওয়েবসাইট যেমন: Shutterstock, Shopify, Wirestock, iStockphoto একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে আপনার তোলা ছবি গুলো আপলোড করতে হবে। ছবি আপলোড করার সময় সেগুলো দাম দিয়ে দিবেন। এতে করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকগণ সেই সব ইমেজ আপনার কাছ থেকে কিনে নিবে। এভাবে আপনি ছবি বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম (Passive Income) শুরু করতে পারবেন।
থিম সেলিং প্যাসিভ ইনকাম
আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো ডিজাইন ও ফাংশন দিয়ে থিম ডিজাইন তৈরি করে। সেসব থিম ডেভলফারকে দিয়ে তৈরি করে মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন। এতে করেও আপনি ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন। আপনি চাইল একজন ডিজাইনারকে দিয়ে থিম ডিজাইন করে একজন ডেভলফারকে দিয়ে থিম মেক করে সেটি অনলাইনে বিক্রি করে Passive Income জেনারেট করতে পারবেন।
তবে এর জন্য প্রয়োজন ইউনিক চিন্তা ও সামান্য অর্থ বিনিয়োগ তবে আপনি সফলভাবে থিম সেলিং ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। থিম সেলিং ব্যবসাও Passive Income গুলোর মধ্যে অন্যতম।
অন্যান্য প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
[…] আরোও পড়ুন: জনপ্রিয় ৭টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া […]
[…] আরোও পড়ুন: ৭টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া ২০২৪ […]
[…] পড়ুনঃ ৭টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া (মাসে আয় ৫০ […]