নগদ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায় ও কমিশন ২০২৩

নগদ এজেন্ট একাউন্ট / নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট নেওয়া খুবই সহজ। মাত্র কয়েকটি ধাপে নগদ এজেন্ট একাউন্টের আবেদন করুন এবং এজেন্ট ব্যবসা শুরু করুন। আজকের পোস্টে নগদ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায়, নগদ এজেন্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া ও কমিশন এবং এজেন্ট ফরম পাওয়ার উপায় সহ বিস্তারিত থাকছে আজকের পোস্টে। 

 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট/ নগদ উদ্যোক্তা 

বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের (BPMT) অধীনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। যা থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত। এটি প্রতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালে। মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে এর বর্তমান ব্যবহারকারী প্রায় ১ কোটির ও বেশি। সবচেয়ে কম খরচে নিরাপদ অর্থ লেনদেনের জন্য নগদ অনেকের পছন্দের শীর্ষে।

 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট / নগদ উদ্যোক্তা হতে যা যা লাগবে

আপনি যদি নগদ এজেন্ট একাউন্ট নিতে চান তাহলে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো অবশ্য প্রয়োজন হবে। নগদ এজেন্ট নিতে যা যা প্রয়োজন তাহলো: 

  • একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকান)
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • এজেন্ট সিম (একই জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা রেজিস্টেডড)
  • সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি
  • রেফারেন্স ও
  • চারিত্রিক সার্টিফিকেট

 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায়

আপনার যদি একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে। তাহলে খুব সহজে নগদ এজেন্ট নিয়ে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। নগদ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায়। নগদ এজেন্ট একাউন্ট নিতে উপরিক্ত ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করুন। 

  • নগদ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস
  • নগদ সার্ভিস সেন্টার ও
  • নগদ DSO বা এজেন্ট কর্মী

আরোও পড়ু: বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায়

উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে  নগদ অফিস থেকে আপনার দোকানে লোক পাঠানো হবে। তারা আপনার ব্যবসা দেখে সব ডকুমেন্ট বৈধ মনে হলে আপনাকে ট্রেনিং এ ডাকবে। যেখানে অর্থ লেনদেন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ট্রেনিং শেষে আপনার সিমে একটি কোড পাঠানো হবে এবং এজেন্ট পিন সেটাপ করতে বলবে। পিন সেটাপ করে আপনি নগদ এজেন্ট হয়ে কাজ করতে পারবেন। 

নগদ সার্ভিস সেন্টার থেকে নগদ এজেন্ট পাওয়ার উপায়

নগদ সার্ভিস সেন্টার থেকে নগদ এজেন্ট পাওয়ার উপায়

আপনার নিকটস্থ নগদ সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য। প্রথমে নগদ কাষ্টমার কেয়ার / হেল্প লাইন নম্বর ১৬১৬৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করুন এবং তাদের কাছ থেকে নিকটস্থ সার্ভিসেস সেন্টারের ঠিকানা সংগ্রহ করুন। সেখানে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। 

আরোও পড়ুন: রকেট এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার উপায়

তবে বলে রাখা ভালো বেশিরভাগ নগদ সার্ভিস সেন্টার গুলো নগদ এজেন্ট বা উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার সংঙ্গে জড়িতে না। তবে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে এজেন্ট একাউন্ট বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। 

 

নগদ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস থেকে নগদ এজেন্ট পাওয়ার উপায়

মূলত নগদ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস গুলো এলাকা ভিত্তিক এজেন্ট সেবা দিয়ে থাকে। নগদ হেল্প লাইন নম্বর ১৬১৬৭ এ কল করে নিকটস্থ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস ঠিকানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে পারেন। তারা এজেন্ট একাউন্ট পেতে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে আপনাকে অবগত করবে। 

 

নগদ DSO বা এজেন্ট কর্মী সাহায্যে নগদ এজেন্ট নিন

নগদ DSO বা এজেন্ট কর্মী সাহায্যে নগদ এজেন্ট নিন

এই পদ্ধতিটি খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। আপনি হয়ত খেয়াল করবেন। বিকাশ, রকেট বা নগদ যেকোন আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কিছু DSO বা এজেন্ট কর্মী রয়েছে। যারা এজেন্টদের অর্থ লেনদেনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি তাদের সাথে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও এজেন্ট একাউন্ট পেতে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং তাদের সাহায্যে খুব সহজে নগদ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবনে। 

 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট পেতে কত দিন লাগবে?

আপনার সকল কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে এবং সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেন। তাহলে আশা করা যায় নগদ এজেন্ট একাউন্টের আবেদনের পরবর্তী ৭ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আপনি নগদ এজেন্ট পেয়ে যাবেন। 

 

২০২৩ সালে নগদ এজেন্ট/ উদ্যোক্তা কমিশন কত? 

নগদ এজেন্ট বা উদ্যোক্তা কমিশন প্রতি হাজার উত্তোলনে ৪ টাকা ১০ পয়সা। সুতারাং এজেন্ট যদি ১ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন তাহলে তারা কমিশন হবে ৪১০ টাকা। এভাবে এক মাসে যত বেশি লেনদেন করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন। 

 

কিভাবে নগদ এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে বেশি লাভ করবেন

কিভাবে নগদ এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে বেশি লাভ করবেন

নগদ এজেন্ট থেকে বেশি লাভ করতে অব্যশই কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। আর তাহলো এজেন্ট দোকান নির্বাচনের ক্ষেত্রে অব্যশই এমন স্থান দেখে দোকান নির্বাচন করুন। যেখানে প্রতিদিন অধিক লোকের সমাগম থাকে। যেমন: বড় মার্কেট, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি। মনে রাখবেন যত বেশি লেনদেন তত বেশি ইনকাম। 

 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট পেতে সর্তকতা

নগদ এজেন্ট একাউন্ট পেতে অবশ্যই আপনাকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে হবে। জাল বান ডুপ্লিকেট কাগজপত্র গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। নগদ এজেন্ট সিম নির্বাচনে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন। যেই এনআইডি দিয়ে নগদ এজেন্টের আবেদন করছেন সে একই এনআইডি দিয়ে নগদ এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশন করুন। দালালের নিকট নাকি সরাসরি বৈধ পন্থায় আবেদন করুন। তাহলে খুব সহজে নগদ এজেন্ট বা উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। 

 

নগদ এজেন্ট থেকে মাসে কত টাকা আয় সম্ভব

এটা নির্ভর করবে আপনার লেনদেনের উপরে। আপনি যদি সঠিক জায়গায় ও সঠিক পদ্ধতি মেনে নগদ এজেন্ট একাউন্টে নিতে পারেন তাহলে মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। কেননা আমি এমন অনেক নগদ এজেন্ট সম্পর্কে জানি যারা মাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। সুতারাং আপনি ও নগদ এজেন্ট ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। ইনসাআল্লাহ্ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 Comments

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading