সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পের ভিতরে কি আছে? কেন এই গল্পটি এত আলোচিত। এই গল্পের সারমর্ম কি? সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পের লেখক কে? এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের পোস্টে।
সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্প
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্প খুব বেশি আলোচিত হয়েছে। বিশেষ করে যখন এই গল্পকে কেন্দ্র করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তার চাকরি হারান।
১৯ জানুয়ার জাতীয় শিক্ষক ফোরামের এক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পকে নিয়ে বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির যুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক আসিফ মাহাতাব উৎস। তার ব্যক্তবকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে নানা আলোচনা ও সমালোচনার শুরু হয়। আলোচনায় তিনি বলেন ‘ সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পের এই দুটি পাতা ছিঁড়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিবেন বইটি’। যার থেকে মূলত এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
আরোও পড়ুন: যেকোন প্রয়োজনে অনলাইন লোন নিন ৫০ হাজার টাকা
রবিবার ঐ শিক্ষক তার ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে জানান। ফোন করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এমন ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করলে আসিফ মাহাতব। তার দাবি সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পে ট্রান্সজেন্ডার ও থার্ডজেন্ডার নিয়ে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এবং এই গল্পের প্রতিবাদে দেয়া তার সেই তথ্যের প্রতিবাদে এখনও তিনি অনড়। তিনি বলেন বক্তব্যের জন্য যদি তিনি চাকরি হারান তাহলে সেটা হবে বৈষম্য মূলক আচরণ।
এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি জানান আসিফ মাহাতব একজন খন্ড কালিন শিক্ষক ছিলেন মাত্র। তার শিক্ষকতার বিষয়ে কোন চুক্তি নেই তাদের সঙ্গে। যদিও ঘটনাটি মেনে নিতে পারেন নি সাধারণ মানুষ যার থেকে শুরু হয় আন্দোলন।
কি আছে সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্প এ যা নিয়ে তৈরি হলো এমন সমস্যা। চলুন আমরা সেই গল্পের কিছু কথা পড়ে আসি। তারপর সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পটি সম্পূর্ণ pdf দেখব।
সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পের কিছু উক্তি
শরীফ থেকে শরীফা হওয়া গল্পটি মূলত ট্রান্সজেন্ডার ও থার্ডজেন্ডার সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের নায়ক শরীফ বলেন ‘ আমি যখন ছোট তখন সবাই আমাকে ছেলে বলত। কিন্তু একটা সময় এসে আমি বুঝতে পারলাম আমার শরীরটা ছেলের হলেও মনে মনে আমি একজন মেয়ে। আমি সব সময় মেয়েদের মতো পোশাক পড়তে পছন্দ করতাম। কিন্তু বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতো না।
আমার বোনদের সাজসজ্জা জিনিসপত্র দিয়ে সাজতাম। ধরা খেলে বকাঝকা ও মারধর খেতে হতো। মেয়েদের সঙ্গে খেলতে ঘুরে বেড়াতে আমার বেশি ভালো লাগতো। কিন্তু মেয়েরা আমাকে ছেলে ভেবে খেলায় নিতে চাইত না। পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলতে গেলে তারা আমার কথা বার্তা চালচলন নিয়ে মজা করত। স্কুলের সহপাঠী বন্ধুরা এমনকি পাড়া প্রতিবেশিরাও আমাকে আবহেলা করত। আমি কেন এরকম হলাম একথা ভেবে আমার নিজেও ভিষণ কষ্ট হতো। নিজেকে সব সময় একা লাগতো।
সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্প সম্পূর্ণ খন্ড
শরীফ শরীফার গল্পটি সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৪০ নম্বর পাতার ‘মানুষ মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি চিত্রে দেখুন:
সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পের বইয়ের লিংক। এখানে ক্লিক করে সরাসরি গল্পটি পড়ুন।
শিক্ষক কেনে খেপে গেলেন
গল্পটি পড়ার পরে আপনি বুঝতে পারবেন শিক্ষক কেন এই গল্পটি পড়ে রাগান্বিত হলেন। অনেকের কাছে গল্পটি স্বাভিক বা শিক্ষণীয় মনে হলেও মূলত এর পিছনে রয়েছে অনেক বড় রহস্য। এই গল্পের মধ্যে সমাজের অন্য লিঙ্গের মানুষের প্রতি সুধু অবহেলার দিকটাই তুলে ধরা হলো। এবং এই গল্পে সমকামিতা বা অন্যান্য বিষয়ের প্রতি স্টুডেন্টদের আকৃষ্ট করেছে। যা সত্যিই নিন্দা জনক।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের এমন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটি মূলত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আস্তে আস্তে নষ্টের দিকে নিয়ে যাওয়ার বিশাল চক্রান্ত। আমাদের সকলের উচিত এধরনের বিষয়কে প্রশ্রয় না দিয়ে প্রতিবাদ করা। যাতে করে বই পড়ে সবাই সুশিক্ষা অর্জন করে সমকামীতা নয়।
সপ্তম শ্রেণির শরীফ শরীফার গল্পটি সম্পর্কে আপনার মতামত কি সেটা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনার দৃষ্টিতে কে ঠিক গল্পের লেখক? নাকি প্রতিবাদি শিক্ষক?। আপনি কাকে বেশি সাপোর্ট করেন? এই পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে প্রতিবাদী শিক্ষকের সহায় হোন। যাতে করে উনি নিজের চাকরি আবার ফিরে পেতে পারেন। এরকম তথ্য বহুল পোস্ট পেতে বঙ্গভাষা চোখ রাখুন। ধন্যবাদ!
Its like you read my mind You appear to know a lot about this like you wrote the book in it or something I think that you could do with some pics to drive the message home a little bit but instead of that this is fantastic blog An excellent read I will certainly be back
I simply could not go away your web site prior to suggesting that I really enjoyed the standard info a person supply on your guests Is going to be back incessantly to investigate crosscheck new posts
Generally, I refrain from reading site articles; however, this post strongly encouraged me to do so. Your writing style has truly impressed me. Many thanks for the excellent post.