অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। আপনাদের ভিতরে অনেকেই জানেন না কিভাবে অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে হয়। বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।
কারা কারা বয়স্ক ভাতা পাবেন। প্রতিমাসে কত টাকা বয়স্ক ভাতা পাওয়া যাবে ইত্যাদি। তাদের জন্য আজকের পোস্টটে সব বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবো। তাই অনলাইনে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা এবং বিধবা ভাতা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার সহজ উপায়
অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের ডাটা সংযোগ সক্রিয় করুন। তারপর আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে DSS bhata gov bd লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট চলে আসবে। এখন সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে।
এখন আপনি সেখানে চারটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Online Application from
- Grievance Application
- Online Application tracking এবং
- Grievance taking
অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য “online application form” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম ও ওপেন হবে।
এখন আপনি যদি “নতুন আবেদনকারীর তথ্য” অপশনের নিচে থেকে “ভাতা কার্যক্রম” অপশনে ক্লিক করেন। তাহলে No data available লেখাটি চলে আসবে। অর্থাৎ, বর্তমানে সার্ভারের সমস্যা থাকার কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। এখন আপনার যদি এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: উপর থেকে “থ্রি ডট” অপশনে ক্লিক করে ‘desktop site” অপশনে ক্লিক করুন।
এখন অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য এই ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে কয়েক মিনিটের ভিতরে আপনার সার্ভারটি ঠিক হয়ে যাবে। এখন অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য “ভাতা কার্যক্রম” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা এবং
- বয়স্ক ভাতা
এখন আপনি যদি “বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা” আবেদন করতে চান। তাহলে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা অপশনে ক্লিক করে আবেদন করুন। আর অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য “বয়স্ক ভাতা” অপশনটি সিলেক্ট করুন। তাহলে নিচে কয়েকটি অপশন চলে আসবে।
আরোও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ | NID BD
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: আপনি যে ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবেন। সেই ব্যক্তির এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে নিম্নের অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যেমন:
- যাচাই এর ধরন
- এনআইডি কার্ডের নম্বর
- জন্মতারিখ এবং
- ক্যাপচা
তাহলে অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। যেমন: প্রথমে আবেদনের “যাচাই এর ধরন” সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার এনআইডি কার্ডের নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচের ক্যাপচাটির সঠিকভাবে বসিয়ে “জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করুন” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এখন ফরমটিতে লক্ষ্য করলে “ব্যাক্তির তথ্য” অপশনের নিচে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- নাম
- পিতার নাম (ইংরেজিতে)
- পিতার নাম (বাংলায়)
- মাতার নাম (ইংরেজিতে)
- মাতার নাম (বাংলায়)
- মোবাইল নম্বর
- বৈবাহিক অবস্থা
- ধর্ম
- জাতীয়তা
- বয়স
- লিঙ্গ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং
- পেশা
তাহলে অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার নাম, আপনার পিতার নাম এবং মাতার নাম লিখুন। এখন মোবাইল নম্বর অপশনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বরটি লিখুন। এখানে আপনি যে ব্যক্তির জন্য বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করছে। সেই ব্যক্তির এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করা এমন একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে এবং মোবাইল নম্বরে বিকাশ, রকেট এবং নগদ থাকতে হবে।
তারপর নিচে আরোও অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি যে ব্যক্তির বয়স্ক ভাতা আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির তথ্য দিয়ে বাকি অপশন গুলো পূরণ করুন। এখন অপশনগুলো পুরন করা হয়ে গেলে স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে সেখানে “যোগাযোগের তথ্য” অপশন দেখতে পাবেন।
অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী যোগাযোগের তথ্য সাবমিট করতে হবে। তাহলে আপনি যে ব্যক্তির জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদন করবেন। সেই ব্যক্তির এনআইডি কার্ড অনুযায়ী বিভাগ, জেলা এবং এলাকার ধরন সিলেক্ট করুন। তারপর পোস্ট কোড এবং গ্রাম/বাড়ি নং, রোড নং, ব্লক নং, সেকশন সঠিকভাবে লিখুন।
তারপর নিচে “স্থায়ী ঠিকানা” অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয়। তাহলে “বর্তমানের মতো একই ঠিকানা” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে অটোমেটিক বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা পূরণ হয়ে যাবে। তারপর আবারোও স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে “বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত” অপশন দেখতে পাবেন।
এখন “বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত” অপশনের নিচে কয়েকটি অপশন রয়েছে। এখন আপনি যে ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী অপশন গুলো পূরণ করতে হবে। যেমন:
- ভূমির মালিকানা
- গত এক বছরে এ থানায় কোন… পেয়েছেন কিনা
- স্বাস্থ্য গত/কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্য
- বাস স্থান
- বার্ষিক আয় এবং
- সরকারি/বেসরকারি সুবিধা
তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে লিখুন। তারপর “আপনি কি নমিনি প্রদান করতে চান” অপশন দেখতে পাবেন। এখন এই অপশনটি ফাঁকা রাখুন। তারপর নিচে “যোগ্যতা অন্যান্য তথ্য” অপশন পাবেন। এখন যোগ্যতা অন্যান্য তথ্য অপশনগুলো পূরণ করতে হবে।
তাহলে আপনার বাসার ইনকামের তথ্য দিয়ে অপশন গুলো পূরণ করুন। অর্থাৎ, আপনার ছেলেঅথবা আপনার স্বামীর ইনকামের তথ্য দিয়ে অপশন গুলো পূরণ করতে হবে। তারপর আবারোও স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে “যোগ্যতা অন্যান্য তথ্য” অপশন দেখতে এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন পাবেন। যেমন:
- খানার সদস্য সংখ্যা
- খানার শিশু সংখ্যা
- খানার প্রধানের ইনকাম
- খানার প্রধানের বয়স এবং
- স্বামী/স্ত্রীর শিক্ষা ইত্যাদি
এখন আপনি যে ব্যক্তির জন্য বয়স্ক ভাতা আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির পরিবারের ইনকামের তথ্য অনুযায়ী সকল অপশনগুলো পূরণ করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে পুনরায় অপশনগুলো আবারোও চেক করুন।
আরোও পড়ুন: মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সহজ উপায় ২০২৫
এখন আপনার দেওয়া সকল অপশন সঠিক থাকলে নিচে থেকে “সাবমিট” অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশন থেকে “নিশ্চিত করুন” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন সাবমিট হয়ে যাবে এবং আপনার সামনে আপনার আবেদনের ট্র্যাকিং নম্বর চলে আসবে।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: এই ট্র্যাকিং নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে আপনার আবেদন পত্রটি যাচাই করতে এই ট্র্যাকিং নম্বরটি প্রয়োজন হবে। এখন “আবেদন ডাউনলোড করুন” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে আপনার আবেদন ফরমটি ওপেন হবে। অর্থাৎ, আপনি এত সময় ধরে যে সকল তথ্য সাবমিট করেছেন। সকল তথ্য এখানে চলে আসবে।
এভাবে আপনি অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন। এখন অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার পরে আপনার আবেদনটি তারা গ্রহণ করেছে কিনা? অর্থাৎ, আপনি বয়স্ক ভাতার টাকা পাবেন কিনা? সেটিও খুব সহজেই অনলাইন থেকে চেক করতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতা আবেদন চেক করুন
বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার বয়স্ক ভাতার আবেদনটি এপ্রুভ হয়েছে কিনা এবং আপনি বয়স্ক ভাতা টাকা পাবেন কিনা! সেটি চেক করতে পারবেন। তাহলে বয়স্ক ভাতা আবেদন চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা Google Chrome Browser ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে DSS bhata gov bd লিখে সার্চ করুন। তারপর search result আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি সেখানে চারটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Online Application from
- Grievance Application
- Online Application tracking এবং
- Grievance taking
বয়স্ক ভাতা আবেদন চেক করার জন্য Online “Application tracking” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর/জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং
- ট্র্যাকিং নম্বর
এখানে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর/জন্ম নিবন্ধন নম্বর অথবা ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে বয়স্ক ভাতা আবেদন চেক করতে পারবেন। তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী অপশন সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে বয়স্ক ভাতা আবেদন চেক করতে চাচ্ছেন। তাহলে নিচে “ট্র্যাকিং তথ্য” অপশনে ক্লিক করে আপনার আবেদনের ট্র্যাকিং নম্বরটি লিখুন এবং “প্রিভিউ” অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনি যে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদনটি তারিখ দেখতে পাবেন। যখনি আপনার বয়স্ক ভাতা আবেদনটি অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। তখন সেখানে আপনি বুলু কালারের “টিক চিহ্ন” চলে আসবে। তাহলে বুঝবেন আপনার বয়স্ক ভাতার আবেদনটি এপ্রুভ হয়েছে এবং আপনি বয়স্ক ভাতার টাকা পাবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন!
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করুন
বর্তমান সময়ে আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করেন। তাহলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যেমন:
- আপনার এনআইডি কার্ড প্রয়োজন হবে এবং
- আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড প্রয়োজন হবে।
এখন আপনার যদি প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড না থাকে। তাহলে প্রথমে আপনাকে আপনার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে প্রতিবন্ধী কার্ডটি সংগ্রহ করতে হবে। অন্যথায়, আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন না।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম করার সাইট বিকাশ পেমেন্ট দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন। তারপর সার্চ অপশনে Mis.bhata.gov.bd/online লিখে সার্চ করুন। অথবা, সরাসরি আমাদের দেওয়াল লিংকে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে “সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি” ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি “নতুন আবেদনকারীর তথ্য” অপশনের নিচে থেকে “কার্যক্রম” অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর নির্বাচন করুন অপশনে ক্লিক করে “প্রতিবন্ধী ভাতা” সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে প্রতিবন্ধী ভাতার একটি ফর্ম ওপেন হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে ফরমটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। এখন প্রথমে আপনি “ব্যক্তিগত তথ্য” অপশনের নিচে যাচাইয়ের ধরন অপশন পাবেন। এখন আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড থাকে। তাহলে “জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর” অপশনটি সিলেক্ট করুন। আর আপনারা যদি “জাতীয় পরিচয় পত্র” থাকে। তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র অপশনটি সিলেক্ট করুন।
উদাহরণ স্বরূপ, যাচাই এর ধরন অপশনে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সিলেক্ট করলেন। তাহলে নিচে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটি এবং জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে সেখানে “প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে অনেকগুলো অপশন রয়েছে। এখন আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার জন্য অপশন গুলো পূরণ করতে হবে। যেমন:
- ডি আই এস
- প্রতিবন্ধী নম্বর কোড
- বৈবাহিক অবস্থা
- শিক্ষাগত অবস্থা
- খানার সদস্য সংখ্যা (পুরুষ)
- খানার সদস্য সংখ্যা (মহিলা)
- খানার সদস্য সংখ্যা (হিজড়া)
- পেশা
- বার্ষিক আয়
- স্বাস্থ্যগত/কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্য
- সরকারি/বেসরকারি সুবিধা প্রাপ্তির বিবরণ
- বাসস্থান
- ভূমির মালিকানা
- প্রতিবন্ধী ধরণ এবং
- প্রতিবন্ধীর মাত্রা ডিআইএস অনুযায়ী ইত্যাদি
তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখানে অবশ্যই স্টার মার্ক করা অপশন গুলো পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। তারপর আবারোও স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে “যোগাযোগের তথ্য” নামে একটি অপশন চলে আসবে।
এখন আপনি যে ব্যক্তির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এখন আপনি বর্তমান ঠিকানা অপশনে লক্ষ্য করলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- বিভাগ
- জেলা
- জন্মস্থান
- উপজেলা/থানা
- পোস্ট কোড
- গ্রাম/বাড়ি নং, রোড নং, ব্লক নং, সেকশন
- মোবাইল নম্বর (যে নম্বরে ভাতার টাকা পেতে ইচ্ছুক) এবং
- মোবাইলের মালিকানা
তাহলে আপনি আপনার “বর্তমান ঠিকানা” অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন আপনার যদি বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকে। তাহলে “একই ঠিকানা” অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তাহলে আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী অটোমেটিক আপনার স্থায়ী ঠিকানা বসে যাবে।
আর আপনার যদি “স্থায়ী ঠিকানা” আলাদা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি আপনার স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী অপশন গুলো পূরণ করুন। এখন আপনি স্ক্রোল করে নিচে নামলে “অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য” অপশন দেখতে পাবেন।
এখন আপনি “অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য” অপশনে অনেকগুলো দেখতে পাবেন। যেমন:
- এই বাস গৃহটি আপনার কিনা
- খাদ্য প্রধানের বয়স
- খাদ্য শিশুর সংখ্যা
- স্বামী/স্ত্রীর (সর্বোচ্চ ডিগ্রি সম্পন্ন)
- খানা প্রধানের পেশা
- আপনার খানা বসবাসের মোট কয়টি কক্ষ রয়েছে
- আপনার খানায় বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কি
- আপনার খানায় কি পৃথক খাওয়ার ঘর আছে এবং
- আপনার খানাই কি পৃথক রান্নাঘর আছে ইত্যাদি
এখন আপনি যার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। তাহলে সকল অপশন পূরণ করা হয়ে গেলে আবারোও ফর্মটি ভালোভাবে চেক করুন।
আরোও পড়ুন: ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন করে ইনকাম করুন ২০২৫ ✓ Facebook income
এখন আপনারা দেওয়া সকল তথ্য সঠিকভাবে থাকলে একদম নিচে থেকে “সংরক্ষণ” অপশন ক্লিক করুন। তাহলে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন “সাবমিট” হয়ে যাবে এবং আপনার সামনে আবেদন প্রিন্ট করার অপশন চলে আসবে।
তাহলে প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করুন। এখন প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মকর্তা আপনার আবেদন পত্রটি যাচাই-বাছাই করে দেখবে। এখন আপনার দেওয়া তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে। তাহলে তারা আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন অ্যাপ্রুভ করে দিবে এবং প্রতি মাসে আপনার মোবাইল নম্বরে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা চলে আসবে।
আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন!
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন
বর্তমান সময়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে ৩৬ মাস পর্যন্ত এই গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হবে। তবে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার এলাকার কত জন গর্ভবতী মহিলা এই গর্ভবতী ভাতা পাবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কিভাবে অনলাইন থেকে আপনার এলাকায় কতজন গর্ভবতী মহিলা এই ভাতা পাবে।
এলাকায় গর্ভবতী ভাতা চেক
বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার এলাকায় কতজন মহিলা গর্ভবতী ভাতা পাবে। সেটি চেক করতে পারবেন। তাহলে আপনার এলাকায় কতজন গর্ভবতী ভাতা পাবে সেটা চেক করার জন্য আপনার মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে “মা ও শিশু অধিদপ্তর ভাতা ২০২৫” লিখে সার্চ করুন। এখন সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি স্ক্রোল করে নিচে নামুন। তাহলে দুটি PDF দেখতে পাবেন। এখন PDF অপশনে ক্লিক করে পিডিএফ দুটি ডাউনলোড করুন। তাহলে সেখানে দেখতে পাবেন প্রথম ১৮৩টি উপজেলায় প্রতিমাসে নয় জন করে বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখানে প্রতিমাসে নয় জন করে গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
এখন আপনি PDF থেকে কোন এলাকায় কত জন গর্ভবতী ভাতা প্রদান করবে সেটি দেখতে পাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কারা এই গর্ভবতী ভাতা পাবে?
কারা এই গর্ভবতী ভাতা পাবে
বর্তমান সময়ে সরকার গর্ভবতী মায়েদের গর্ভবতী ভাতা প্রদান করে থাকে। তবে এই গর্ভবতী ভাতা কারা পাবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
- গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- গর্ভবতী মহিলার বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে
- গর্ভবতী মহিলার পরিবারের মাসিক ১৫ হাজারের নিচে হতে হবে
- গর্ভবতী মহিলার প্রথম বা দ্বিতীয় সন্তান হতে হবে
- গর্ভবতী মহিলার স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ, গর্ভবতী মহিলা যে এলাকার নাগরিক। সেই এলাকার তথ্য দিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে হবে
- গর্ভবতী মহিলা গর্ভকালীন সময় ৪/৬ মাস অথবা ১৬ সপ্তাহ হতে ২৬ সপ্তাহের মধ্যে আবেদন হবে এবং
- গর্ভবতী মহিলা নিজের কিংবা পরিবারের কারোর কৃষি জমি অথবা মৎস্য চাষের জন্য কোন পুকুর নেই। এমন গর্ভবতী মহিলা অগ্রাধিকার পাবে
গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে
বর্তমান সময়ে আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
- গর্ভবতী মহিলার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- গর্ভবতী মহিলার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- গর্ভবতী মহিলার বিকাশ/রকেট/ নগদ নম্বর অবশ্যই গর্ভবতী মহিলার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে নম্বর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যথায়, আপনার আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে
- গর্ভবতী মহিলার আলট্রাসনোগ্রাফ রিপোর্ট প্রয়োজন হবে
- গর্ভবতী মহিলার ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ প্রয়োজন হবে
- গর্ভবতী ভাতা নেওয়ার জন্য সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে এবং
- গর্ভবতী মহিলার টিকা গ্রহণের (ANG) কার্ড প্রয়োজন হবে
গর্ভবতী আবেদনের স্থান
একজন গর্ভবতী মহিলা কোথায় কোথায় আবেদন করতে পারবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো। যেমন:
- গর্ভবতী মহিলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে আবেদন করতে পারবে
- গর্ভবতী মহিলার উপজেলা তথ্যকেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবে
- গর্ভবতী মহিলার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আবেদন করতে পারবে এবং
- গর্ভবতী মহিলার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে পারবে
গর্ভবতী ভাতা আবেদনের সময়সীমা
গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য আপনাকে সঠিক সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সাধারণত আপনি প্রতি মাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে অনলাইন কিংবা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করার সহজ উপায়
আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত, আপনি দুই ভাবে গর্ভবতী ভাতার ফ্রম সংগ্রহ করতে পারবেন। যেমন:
- অনলাইন থেকে আপনি গর্ভবতী ভাতা ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন এবং
- যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে গর্ভবতী ভাতা ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন
গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে “মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর” লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনার একাউন্টের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট “লগইন” করুন। এখন একাউন্টের হোম পেইজে প্রবেশ করলে বাম পাশে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- ড্যাশবোর্ড
- সেটিং
- আবেদন
- চূড়ান্ত নির্বাচন
- প্রশিক্ষণ এবং
- রিপোর্ট
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য “আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশন থেকে “নতুন আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য একটি ফরম ওপেন হবে।
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য ফরমটি সঠিক তথ্য দিয়ে সাবমিট করতে হবে। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর
- যে নামে পরিচিতি
- জন্ম তারিখ
- জন্মস্থান
- নাম (বাংলায়)
- মোবাইল নম্বর
- নাম (ইংরেজিতে)
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- বৈবাহিক অবস্থা
- রক্তের গ্রুপ এবং
- স্বামীর নাম ইত্যাদি
তাহলে গর্ভবতী মায়ের তথ্য অনুযায়ী উপরের উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে লিখুন। তারপরে নিচে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা দুটি অপশন দেখতে পাবেন। এখানে গর্ভবতী মায়ের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। তাহলে প্রথমে “বর্তমান ঠিকানা অপশনে” অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- বিভাগ
- জেলা
- উপজেলা
- ইউনিয়ন
- ওয়ার্ড নং
- গ্রাম
- পোস্ট কোড এবং
- রাস্তা/ব্লক/সেক্টর
তাহলে গর্ভবতী মায়ের বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী অপশন গুলো পূরণ করুন। এখন গর্ভবতী মায়ের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয়। তাহলে “স্থায়ী ঠিকানা” অপশনের পাশে থেকে একই অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা অটোমেটিক বসে যাবে। এখন আপনি আবারো ও স্ক্রোল নিচে নামুন। তাহলে সেখানে “অর্থ-সামাজিক তথ্য” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন।
তাহলে ফর্মে থাকা “অর্থ সামাজিক তথ্য” অপশনের নিচে থেকে বাকি অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখন নিচে “পেমেন্টের তথ্য” অপশন দেখতে পাবেন। তাহলে প্রথমে পেমেন্টের ধরন, হিসাবের নাম এবং হিসাব নম্বর সিলেক্ট করুন। তারপর পেমেন্টর বাঁকি অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এখানে অবশ্যই আবেদনকারীর নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। অন্যথায়, আপনার গর্ভবতী ভাতা আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
এখন সংযুক্তি অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রেগন্যান্ট এর রিপোর্ট আপলোড করুন। তারপর “ছবি/স্বাক্ষর” ক্লিক করে গর্ভবতী মহিলার ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে “সাবমিট করুন” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার গর্ভবতী ভাতা আবেদনটি সাবমিট হয়ে যাবে এবং আপনার সামনে আবেদন ফরম প্রিন্ট করার অপশন চলে আসবে।
এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হলো: প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করতে হবে। এখন আপনার আবেদন ফরমটি নিয়ে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন!
বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন
বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে DSS bhata gov bd লিখে সার্চ করুন। তারপর search রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন প্রথমে আপনি চারটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Online Application from
- Grievance Application
- Online Application tracking এবং
- Grievance taking
বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য Online Application from অপশনটি সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে “নতুন আবেদনকারীর তথ্য” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন।
এখন “ভাতা কার্যক্রম” অপশনে ক্লিক করে বিধবা ভাতা সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে “আবেদনকারী যাচাই” অপশন দেখতে পাবেন। এখানে আপনি দুই ভাবে আবেদন যাচাই করতে পারবেন। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর (এনআইডি) এবং
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর
তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী অপশন সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর (এনআইডি) সিলেক্ট করলেন। তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন। তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ লিখে নিচের ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
এখন সকল অপশন সঠিক থাকলে নিচে থেকে “জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করুন” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য চলে আসবে।
এখন আপনাকে বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য সেখানে থাকা ফরমটি পূরণ করতে হবে। এখন ফর্মটিতে আপনি “ব্যক্তিগত তথ্য” অপশন অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- পিতার নাম (বাংলায়)
- পিতার নাম (ইংরেজিতে)
- মাতার নাম (বাংলায়)
- মাতার নাম (ইংরেজিতে)
- মোবাইল নম্বর আপনি যার জন্য বিধবা ভাতার আবেদন করবেন। সেই ব্যক্তির নামে মোবাইল নম্বরে বিকাশ/রকেট/নগদ একাউন্ট থাকতে হবে
- বৈবাহিক অবস্থা
- ধর্ম
- জাতীয়তা
- বয়স
- লিঙ্গ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং
- পেশা
- মোবাইল নম্বর আপনি যার জন্য বিধবা ভাতার আবেদন করবেন। সেই ব্যক্তির নামে মোবাইল নম্বরে বিকাশ/রকেট/নগদ একাউন্ট থাকতে হবে
- বৈবাহিক অবস্থা
- ধর্ম
- জাতীয়তা
- বয়স
- লিঙ্গ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং
- পেশা
তাহলে আপনি আপনার “ব্যক্তিগত তথ্য” অনুযায়ী উপরের সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচের যোগাযোগের ঠিকানা অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি যার জন্য বিধবা ভাতার আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তির যোগাযোগের ঠিকানা অনুযায়ী অপশন গুলো পূরণ করুন।
তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী যোগাযোগের তথ্য লিখুন। এখন আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয়ে থাকে। তাহলে “বর্তমানের মত একই ঠিকানা” অপশনটি সিলেক্ট করুন। তাহলে অটোমেটিক আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানার অপশন গুলো পূরণ হয়ে যাবে।
তারপর স্ক্রোল করে নিচে নামলে “বিধবা ও নিগৃহীত ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত” অপশন দেখতে পাবেন। এখন সেখানে সকল অপশন আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যেমন:
- ভূমির ঠিকানা
- গত এক বছরে…. সহযোগিতা পেয়েছে কিনা
- স্বাস্থ্য গত কর্মকর্তা সংক্রান্ত তথ্য
- বাস স্থান
- মাসিক আয় এবং
- সরকারি/বেসরকারি সুবিধা প্রাপ্তির বিবরণ
তাহলে আপনি যার জন্য বিধবা ভাতার আবেদন করছেন। সেই ব্যক্তি “বিধবা ও নিগৃহীত ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত” তথ্য অনুযায়ী পূরণ করুন। তারপর নিচে নমিনির তথ্য অপশন দেখতে পাবেন। এখন “নমিনির তথ্য” অপশনটি ফাঁকা রাখুন। তারপর স্ক্রোল করে নিচে নামলে “যোগাযোগের অন্যান্য তথ্য” অপশন দেখতে পাবেন।
তাহলে আপনি আপনার “যোগাযোগের অন্যান্য তথ্য” অনুযায়ী সেখানে থাকা সকল অপশন সঠিকভাবে লিখুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থেকে “সাবমিট করুন” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে সেখান থেকে “নিশ্চিত করুন” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বিধান ভাতা অনলাইন আবেদন সাবমিট হয়ে যাবে।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনি একটি ট্রাকিং নম্বর দেখতে পাবেন। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো: ট্রাকিং নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এই ট্যাগিং নম্বরটি ব্যবহার করে আপনি আপনার আবেদনের অবস্থা চেক করতে পারবেন।
এখন আপনি নিচে থেকে “আবেদন ডাউনলোড করুন” অপশনটিতে ক্লিক। তাহলে আপনার মোবাইলে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখন বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার আবেদনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে। সেটি চেক করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কিভাবে আবেদনের বর্তমান অবস্থা করতে হয়।
আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করার নিয়ম
বিধবা ভাতা অনলাইনে আবেদন করার পরে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করতে পারবেন। তাহলে আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করার জন্য পুনরায় ওয়েবসাইটের হোম পেইজে প্রবেশ করুন। তারপর সেখান থেকে Online “Application tracking” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আবেদন করার সময় আপনাকে একটি ট্র্যাকিং নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এখানে সেই ট্র্যাকিং নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং নিচে থেকে “প্রিভিউ” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবতী অপশনে নিয়ে যাবে এবং আপনার আবেদনের তারিখ এবং ডিটেলস চলে আসবে। এখন আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করা হবে। আপনার দেওয়া সকল তথ্য সঠিক থাকলে তারা আপনার বিধবা ভাতা আবেদন অ্যাপ্রুভ করে দিবে।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে অনলাইনে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা এবং বিধবা ভাতা আবেদন করতে হয়। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট পেটে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ!
রাইটার:
সুমাইয়া খাতুন সাথী (CO-Bongovasha) B.A Honours Bangla deferment (BBAGC-Dhaka)