ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড ২০২৪ | Check Voter ID

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নতুন ভোটার হলে। অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করলে কিংবা দালালের সাহায্য নতুন ভোটার হলেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রয়োজন হতে পারে। নিচে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম সহ ভোটার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ  আলোচনা তুলে ধরা হলো। 

ভোটার আইডি কার্ড চেক

ভোটার নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য যেকোন ব্রাউজার থেকে চলে আসুন এই ঠিকানায়: https://land.gov.bd/ । তারপর ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ অপশন থেকে ‘নাগরিক কর্নার’ অপশন এ প্রবেশ করুন এবং আপনার একটি মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা পূরণ করে OTP ভেরিফাই করুন। পরবর্তী ধাপে Voter Number ও Date of Birth পূরণ করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যাবে। 

 

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম বিস্তারিত

আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড আসল নাকি নকল সেটি চেক করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার মোবাইলে ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর মোবাইলে থাকা আপনার পছন্দের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে land.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনার সামনে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি’ চলে আসবে। 

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

এখন ওয়েবসাইটে আসার পরে স্ক্রোল করে নিচে নামলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • ই- নাম জারি
  • ভূমি উন্নয়ন কর 
  • ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড এবং 
  • অনলাইন শুনানি 

এখন আপনি ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ লেখার উপরে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। এখন অপশন গুলো থেকে ‘নাগরিক কর্নার’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে দুটি তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন:

  • মোবাইল নম্বর 
  • সংখ্যা যোগ করুন (ক্যাপচা)

এখন উপরের মোবাইল নম্বর অপশনে আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর বসিয়ে দিন। তারপর ক্যাপচাটি পূরণ করে ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার দেওয়া প্রদত্ত নম্বরে একটি OTP কোড যাবে। সেটি সঠিকভাবে বসিয়ে ‘যাচাই করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।

আরোও পড়ুন: সহজে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন 

সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে বসিয়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি চলে আসবে এবং সেখানে ভোটার আইডি কার্ডের বিস্তারিত সকল ডিটেলস দেখতে পাবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড চেক

এটা দেখে মূলত আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি আসল নাকি নকল। যদি এখানে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি আসে। তাহলে বুঝবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি আসল। আর এই তথ্যগুলো না এসে যদি অন্য কোন তথ্য আসে। যেমন: nid card not found লেখা ইত্যাদি আসে। তাহলে বুঝবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি নকল। 

ঠিক এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। 

 

অ্যাপ থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

অনেকের কাছে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার প্রথম নিয়মটি কঠিন মনে হতে পারে। তারা চাইলে এই নিয়মটি অনুসরণ করে খুব সহজে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডিজিটাল হতে হবে এবং NID Wallet অ্যাপে একাউন্ট রেজিস্ট্রার থাকতে হবে। কিভাবে NID Wallet অ্যাপে একাউন্ট রেজিস্ট্রার করবেন। তা জানতে নিচের ‘ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড’ করার নিয়মটি অনুসরণ করুন। 

ধরে নিলাম NID Wallet অ্যাপে আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রার আছে। এখন প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে NID Wallet অ্যাপটি ইন্সটল করে ওপেন করুন। তারপর Start face scan অপশনে ক্লিক করে আপনার Face স্ক্যান সম্পন্ন করুন। তাহলে আপনার সামনে আপনার ছবি সহ NID কার্ড এর সকল তথ্য দেখতে পাবেন। 

 

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

আর্টিকেলের এই অংশে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপটি ইন্সটল করার জন্য Google Play Store প্রবেশ করুন এবং সার্চ অপশনে NID wallet লিখে সার্চ করুন। 

ভোটার আইডি কার্ড চেক NIDWallet

তাহলে আপনার সামনে NID wallet অ্যাপসটি চলে আসবে। সেখান থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করুন। এখন অ্যাপসটি আপনার মোবাইল ফোনে রেখে দিন এবং ‘Google Chrome browser’ প্রবেশ করুন। তারপর সার্চবারে services.nidw. gov.bd লিখে সার্চ করুন। তাহলে প্রথমে এনআইডি কার্ডের মেইন ওয়েবসাইট চলে আসবে সেখানে প্রবেশ করুন। অথবা এখানে ক্লিক করে সরাসরি ওয়েবসাইটিতে চলে আসুন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

এখন প্রথমেই আপনাকে এখানে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর আপনার যদি আগে থেকে একাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে একাউন্টটি লগইন করে নিন। আর নতুন একাউন্ট তৈরি করার জন্য ‘রেজিস্ট্রেশন’ অপশনে ক্লিক করুন।

তাহলে আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসবে। সেখানে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরটি বসিয়ে দিন এবং নিচে থেকে জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন। তারপর নিচের ‘ছবিতে প্রদর্শিত কোর্ডটি’ সঠিকভাবে বসিয়ে ‘সাবমিট’ অপশনে ক্লিক করুন। 

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে আপনার ‘বর্তমান ঠিকানা’ প্রদান করতে হবে। যেমন:

  • বিভাগ 
  • জেলা এবং 
  • উপজেলা 

এখন উপরে উল্লেখিত ‘বর্তমান ঠিকানা’ অপশনে আপনার ঠিকানার তথ্য প্রদান করুন। তারপর নিচে ‘স্থায়ী ঠিকানা’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার ‘স্থায়ী ঠিকানা’ অনুসারে অপশন গুলো পূরণ করুন। যেমন:

  • বিভাগ 
  • জেলা এবং 
  • উপজেলা

এখন উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার একটি মোবাইল নম্বর দেখতে পাবেন। মোবাইল নম্বরের প্রথম কয়েকটি সংখ্যা এবং শেষের কয়েকটি সংখ্যা দেখতে পারেন। এখন আপনি যদি মনে করেন মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করবেন তাহলে ‘মোবাইল পরিবর্তন’ অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

আর যদি পরিবর্তন করতে না চান তাহলে ‘বার্তা পাঠান’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে ছয় ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড অথবা ওটিপি যাবে। সেটি বসিয়ে ‘বহাল’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। 

আরোও পড়ুন: যেকোন অপারেটরে ৩৫ পয়সা মিনিট কথা বলুন

সেখানে ‘Tape to open NID wallet’ লেখা চলে আসবে। এখন যেহেতু আপনার ফোনে আগে থেকেই NID wallet অ্যাপটি ইন্সটল করা রয়েছে সেজন্য ‘Tape to open NID wallet’ অপশনের উপর ক্লিক করুন। তারপর দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: 

  • Just one
  • always 

এখন আপনি Just one অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে NID wallet অ্যাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে start face scan লেখা দেখতে পাবেন। এখানে আপনার পেসটিকে স্ক্যান করতে হবে। সেজন্য start face scan অপশনে ক্লিক করুন। 

তাহলে আপনার মোবাইল ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার ফেসটি শো করবে এবং ফেসের উপরে টিক চিহ্ন আসবে। এখন কাটুন চরিত্রের মতো আপনি ডান পাশ এবং বাম পাশ করুন। তাহলে ডানে এবং বামে টিক চিহ্ন দেখাবে। তারপর আপনি ‘ok’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি পেইজ চলে আসবে। সেখানেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল ডিটেলস দেখতে পাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

এখন একটু স্ক্রোল করে নিচে নামলে ‘ডাউনলোড’ নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে ‘Download again’ লেখা চলে আসবে সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখন open অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি চলে আসবে।

তাছাড়াও আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি আপনার মোবাইলে pdf আকারে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখন আপনি চাইলে যেকোন কম্পিউটার দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি যদি হারিয়ে যায়। তাহলে এই প্রিন্ট করা ভোটার কার্ডটি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও আকারে দেখুন। Watch on YouTube 

 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যাদের ভোটার আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে। তাছাড়াও রিসেন্ট যারা ভোটার আইডি কার্ড করছেন তাদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ডে বিভিন্ন তথ্যে ভুল আসছে। এখন আপনি চাইলে আপনার হাতে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। 

আরোও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম

তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমেই আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে ডাটা সংযোগ চালু করুন। 

তারপর মোবাইল অথবা কম্পিউটারে থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে service.nidbd.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তারপর nidbd ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

এখন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে একাউন্টে লগইন করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে এবং সেখানে চারটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:

  • প্রোফাইল
  • রিইস্যু
  • পাসওয়ার্ড পরিবর্তন এবং 
  • ডাউনলোড 

এখন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ‘প্রোফাইল’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখতে পাবেন। এখানে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের যে তথ্যগুলো সংশোধন করবেন ‘এডিট’  অপশনে ক্লিক করে তথ্যগুলো পরিবর্তন করে নিতে হবে। 

এখানে আপনি যেকোন তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। তথ্য পরিবর্তন করার জন্য ‘এডিট’ ক্লিক করে ‘বহাল’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে প্রতিটা নামের পাশে টিক চিহ্ন চলে আসবে। উদাহরণস্বরূপ, নাম পরিবর্তন করার জন্য ‘নাম (বাংলায়)’ অপশনের পাশের বস্কে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। তাহলে নাম এডিট করার অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি আপনার নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

আপনি চাইলে একবারে একাধিক ভুল একটি আবেদনে সংশোধন করে নিতে পারবেন। এর জন্য এখানে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল তথ্যগুলো সংশোধন করুন। তারপর ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনি যে তথ্যগুলো পরিবর্তন করেছেন সেগুলো দেখাবে। সেখানে বর্তমান এবং আপডেট তথ্য দেখাবে। তারপর ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন।

পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন জন্য পেমেন্ট করতে হবে। এখন আপনি যদি কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে সেটা জানতে চান তাহলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে সেটি লেখা চলে আসবে। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

এখানে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য ৩৪৫ টাকা এনআইডি একাউন্টে ডিপোজিট করতে হবে। এখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশে পেমেন্ট করার জন্য বিকাশের এপ্লিকেশনে করুন। তারপর পে-বিল অপশনে ক্লিক করুন। 

এখন স্কোল করে নিচে নামলে nid service নামে একটি অপশন দেখে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। এখন প্রথমেই আপনাকে ‘আবেদনের ধরন’ নির্বাচন করতে হবে। তারপর নিচে আপনি যে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন সেই ভোটার আইডি কার্ডের নম্বরটি এখানে বসিয়ে দিন এবং ‘পে-বিল করতে এগিয়ে যান’ অপশনে ক্লিক করুন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি

তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে অটোমেটিক ৩৪৫ টাকা চলে আসবে। এখন আপনি ‘পরবর্তী ধাপে যেতে টেপ করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টের নম্বরটি বসিয়ে দিন। তাহলে আপনার পেমেন্টটি সম্পূর্ণ হবে। তারপর আপনি এই ওয়েব পেজটিকে রিলোড করুন অথবা পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পেমেন্ট করা টাকাটি এখানে শো করবে। 

তারপর নিচে ‘বিতরণের ধরন’ সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। এখানে কাগজপত্র অপশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে যদি আপনি সঠিক কাগজপত্র সাবমিট না করেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন হবে না। 

আরোও পড়ুন: অনলাইনে ছোট ছোট কাজে করে প্রতি দিন ইনকাম করুন ৩০০-৪০০ টাকা (বিকাশ/নগদ/রকেট) পেমেন্ট।

এখানে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার কোন কোন কাগজপত্র গুলো কারেকশনের জন্য সাবমিট করতে হবে। সেটি আপনি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। যেমন: আপনি যদি নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার নাম সংশোধনের প্রয়ানক পাত্রটি লাগবে। অর্থাৎ SSC/HSC/সমমান সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন কপি। 

তাছাড়াও আপনি যদি আর কোন ডকুমেন্ট পরিবর্তন করতে চান তাহলে সেই ডকুমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন সেই ডকুমেন্টগুলো আপলোড করুন। যেমন: রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করার জন্য ব্লাড টেস্ট মেডিকেল রিপোর্ট, পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পিতা/মাতার NID/আপনার শিক্ষাগতা সার্টিফিকেট ইত্যাদি।  

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

এখানে আপনি সর্বোচ্চ ১ (এক) মেগাবাইট png, jpg, এবং pdf এই তিনটি ফরমেটেল ফাইল আপলোড করতে পারবেন। ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করা হয়ে গেলে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। এখানে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি যদি কোন ধরনের ভুল ডকুমেন্ট আপলোড করেন বা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আপলোড না করেন। 

তাহলে আপনার দেওয়া নম্বরে নির্বাচন কমিশন থেকে মেসেজ করে ডকুমেন্টটি আপলোড করতে বলা হবে। তারপর আপনি আবারও সাইটে লগইন করে ডকুমেন্ট আপলোড অপশন থেকে ডকুমেন্টটি আপলোড করতে পারবেন। 

‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সংশোধিত তথ্য গুলো দেখতে পাবেন। এখানে আপনি আবারো তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করে নিন এবং সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেদন পত্রটি সাবমিট হয়ে যাবে। এখন আপনি ‘প্রোফাইল’ লেখা অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে ‘আপনার একটি এপ্লিকেশন পেইন্টিং রয়েছে’ লেখা দেখতে পাবেন। এখন আপনি ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন। যেটি হচ্ছে কারেকশন ফর্ম। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফর্ম

এখন আপনি এই ফর্মটি সংরক্ষণ করে রাখুন। কারণ পরবর্তীতে যখন আপনি নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড গ্রহণ করবেন তখন এই ফর্মটি আপনার প্রয়োজন হতে পারে। 

এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের যেকোনো তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। 

তবে মনে রাখবেন। আপনার কোন ডকুমেন্ট যদি আপলোড করতে সমস্যা হয় বা কোন ধরনের তথ্য গরমিল থাকে তাহলে তারা নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাকে এসএমএস করে সে বিষয়ে জানিয়ে দিবে তাই সংশোধন আবেদন করার পর আপনার নম্বরে কোন ধরনের মেসেজ আসে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখবেন যদি কোন মেসেজ আসে তাহলে তাদের কথামতো কাজ করলেই আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়ে যাবে।

অনেক সময় দেখা যায় আবেদন করার দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশন থেকে কোন ধরনের এসএমএস বা রিপ্লে আসে না। এক্ষেত্রে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রের হেল্প লাইন নাম্বার ১০৫ এ আপনার সমস্যাগুলো সম্পর্কে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন করবেন। শুধুমাত্র তিনি ১০৫ এ কল করে সমাধান নিতে পারবেন। অন্য কেউ কল করলে তাকে তারা কোন ধরনের সাহায্য করবে না। আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও আকারে দেখুন। Watch on YouTube 

নিজ এলাকায় ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম

আপনাদের ভিতরে অনেকেই জানেন না কিভাবে নিজের এলাকার ভোটার লিস্ট বের করতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। অনলাইন থেকে কিভাবে নিজের এলাকার ভোটার লিস্ট বের করবেন। নিজের এলাকার ভোটার লিস্ট বের করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার মোবাইলে কিংবা কম্পিউটার ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চবারে bangladesh.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। 

নিজ এলাকায় ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম

ওয়েবসাইটে আসার পরে আপনার সামনে একটি পেইজ ওপেন হবে এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন পেয়ে যাবেন। যেমন:

  • ৫৮ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ 
  • ৩৫৩ অধিদপ্তর ও অন্যান্য
  • ৮ বিভাগ 
  • ৬৪ জেলা 
  • ৪৯২ উপজেলা এবং 
  • ৪৫৫৪ ইউনিয়ন 

এখন আপনি উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো থেকে ‘৮ বিভাগ’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে বিভাগ সমূহের তালিকা চলে আসবে। সেখান থেকে আপনার ‘বিভাগটি’ সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনার বিভাগের ওয়েবসাইটে আপনাকে নিয়ে যাবে। তারপর মেনুবার অপশন থেকে আপনার জেলা নির্বাচন করুন।‌ 

নিজ এলাকায় ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম

এরপর পর্যায়ক্রমে আপনার থানা ইউনিয় নির্বাচন করুন। তাহলে আপনার ইউনিয়ন টি দেখতে পাবেন। এখন আপনার ইউনিয়নের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করার জন্য মেনুবার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে কতগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে ভোটার লিস্ট অপশন দেখতে পাবেন। 

সেখানে ক্লিক করলে আপনার ইউনিয়নের ভোটার লিস্টের সমস্ত পিডিএফ ফাইল গুলো দেখতে পাবেন। এখন আপনি পর্যায়ক্রমে পিডিএফ ফাইলগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

নিজ এলাকায় ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম

তবে মনে রাখবেন আপনার ইউনিয়ন পরিষদ যদি তাদের ভোটার লিস্ট গুলো আপডেট না করে। তাহলে আপনি আপনার ইউনিয়নের ভোটার লিস্ট গুলো দেখতে পাবেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে ‘ইউনিয়ন পরিষদ’ অথবা ‘বিভিন্ন তালিকা’ মেনু অপশনে ভোটার লিস্ট গুলো দেখতে পাবেন। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন তালিকায় দুটি অপশন চেক করুন। 

যদি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ ওয়েবসাইটে মেনু দুটি খুঁজে না পান। তাহলে বুঝতে হবে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ তাদের ভোটার তালিকা আপলোড করেনি। এক্ষেত্রে আপনি মেন্যুয়ালি আপনার স্থানীয় প্রতিনিধি অথবা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত ব্যাক্তিদের থেকে আপনার নিজের এলাকার ভোটার লিস্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে না পারলে ইউটিউবে ভিডিও আকারে দেখুন। Watch on YouTube 

আশা করি,  আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম সহ ভোটার আইডি রিলেটেড সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 Comment

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading