মৃত ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়ায় হারাম কোন কিছু থাকলে কি হয়? 

ইসলামী জীবনযাপন করা প্রত্যেক মানুষের ওপর ফরজ। কেননা ইহজগত সুধু মাত্র বান্ধাদের পরিক্ষার জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তাই দুনিয়ার লোভ লালসা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যান্ত জরুরি। 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় হারাম কোন কিছু থাকলে কি হয়? 

এই প্রশ্নের জবাবে প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন “খুব সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য ভাইকে ধন্যবাদ । ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া খুবই পরিচিত একটি জিনিসি। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সেখানে নানা প্রকার জিনিস আপলোড করে থাকি। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো “মৃত ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়ায় হারাম কোন কিছু থাকলে কি হয়? বা সেই গুনাহগার হবে কিনা? এটার উত্তের আমি বলব হ্যা, এটা এক ধরনের গুনাহে জারিয়া।  

আপনেরা হয়ত ইতিপূর্বে সদকায়ে জারিয়ার কথা শুনেছেন। কিন্তু সদকায়ে জারিয়ার মতো গুনাহে জারিয়াও সত্য। 

 

গুনাহে জারিয়া কি?

গুনাহে জারিয়ে হলো এমন গুনাহ যা আপনি একবার শুরু করেছেন এবং তার ফলাফল চলমান আছে। যেমন: ফেসবুকে বা শোস্যাল মিডিয়ায় হারাম কিছু শিয়ার করা, বেপর্দা নারীর ছবি, গান বা ভিডিও শিয়ার করা, কাউকে চুরি শিখানো, মদ্যপানে উৎসাহিত করা, হারাম কাজে উৎসাহিত করা ইত্যাদি। 

আরোও পড়ুন: বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ১০০০$ আয় করার উপায়

সুতারাং সেই দৃষ্টিকোন থেকে মৃত ব্যক্তির ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ছবি বা হারাম কোন কিছু থাকলে সেই গুনাহগার হবে। কিন্তু যদি এমন হয় উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে সেসব হারাম থেকে ফিরিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা তার সেই পাপ ক্ষমা করে দিবেন। 

অন্যদিকে উক্ত ব্যক্তির ওয়ারিশরা যদি জানতে পারেন উনি মৃত্যুর পূর্বে খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল। তাহলে যতটা সম্ভব মৃত্যুর পরে হলেও সেইগুলো নষ্ট করা ব্যবস্থা করা। 

সর্বশেষ কথা: আমাদের সকলের উচিত এসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সচেনতা অবলম্বন করা। আল্লাহপাক সকলকে গুনাহে জারিয়া থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুক আমিন।

Leave a Reply

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading