বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। আপনারা যদি কোন এজেন্সি ছাড়াই নিজেই নিজের ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং নিজেই নিজের ভিসা প্রসেসটি করেন। তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স আবেদন করা। কিন্তু আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা সঠিকভাবে জানেন না। কিভাবে ‘আমি প্রবাসী’ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করতে হয়।
তাদের জন্য আজকের পোস্টটি। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনার থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ‘আমি প্রবাসী’ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করবেন, কিভাবে অনলাইনে মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন এবং কিভাবে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করবেন। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আমি প্রবাসী অ্যাপে একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখন একাউন্ট তৈরি করার জন্য মোবাইল থেকে ‘Google Play store’ অ্যাপে প্রবেশ করুন এবং সার্চবারে ‘Ami Probashi’ লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা আমি প্রবাসী অ্যাপসটি ইন্সটল করুন।
এখন অ্যাপসটি সম্পূর্ণ ইনস্টল হওয়ার পরে অ্যাপসটিতে প্রবেশ করুন এবং ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর বসিয়ে দিন। তারপর আবারোও ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। (এখানে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল নম্বর অপশনে ‘0’ বাদে টাইপ করতে হবে)।
এখন মোবাইল নম্বর বসানো হয়ে গেলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেই কোডটি বসিয়ে নিচে থেকে ‘কনফার্ম’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- আপনার পাসওয়ার্ড লিখুন এবং
- আপনার পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন
তাহলে ‘আপনার পাসওয়ার্ড লিখুন’ এবং ‘আপনার পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন’ অপশনে একই পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন। যাতে করে আপনি পরবর্তীতে এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আমি প্রবাসী এপ্লিকেশনে প্রবেশ করতে পারেন। (এখানে অবশ্যই আপনাকে ৬ অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং সাথে ১টি নম্বর যুক্ত করতে হবে)।
আরোও পড়ুন: বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম।
এখন পাসওয়ার্ড বসানো হয়ে গেলে নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনাকে দেশ সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি কোনো কোনো দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই অনুযায়ী দেশের উপরে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে সর্বনিম্ন ৩টি দেশ সিলেক্ট করতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী দেশগুলো সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ লেখাতে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে ‘পেশা নির্বাচন’ করতে হবে। তাহলে আপনার কোন কোন কাজের দক্ষতা রয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ফরম ওপেন হবে।
এখন ফরমটিকে আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। যেমন:
- আপনি কি পুরুষ না কি মহিলা
- আপনার বয়স নির্বাচন করুন
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি
- চাকরির অবস্থা নির্বাচন করুন
- আপনি কি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত এবং
- আপনার কি বিএমইটি/ স্মার্ট কার্ড রয়েছে
তাহলে উপরের উল্লেখিত অপশনগুলো আপনি আপনার তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপর নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে ‘ঠিক আছে’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে এবং আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি খুব সহজেই বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে পারবেন। তবে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। এখন আপনাকে কি কি ডকুমেন্ট সাবমিট হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে তুলে ধরা হলো:
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে যে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে
এখন বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যেমন:
- ভিসা (আপনার গন্তব্য দেশের ভিসার কপি)
- পার্সপোট (আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের এক কপি ছবি)
- বিএমইটি নিবন্ধন (আপনাকে অবশ্যই বিএমইটি ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে)
- বায়োমেট্রিক স্ট্যাটাস (জেলা জনশক্তি অফিসে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে)
- ব্যাংক হিসাব ( আপনার একটি বৈধ ব্যাংক এবং ব্যাংক একাউন্টের প্রমাণ প্রয়োজন)
- চিকিৎসা ক্লিয়ারেন্স (আপনাকে অবশ্যই একটি তালিকা যুক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের দ্বারা চিকিৎসা গত ভাবে পরিষ্কার হতে হবে)
- পিডিও সার্টিফিকেট ( আপনার বাধ্যতাম প্রি-ডিপারচার ওরিয়েন্টেশন সম্পূর্ণ করেছেন অথবা উচ্চতর ডিগ্রী থাকতে হবে)
- চাকুরীর চুক্তিপত্র ( বিদেশে আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আপনার একটি কর্মসংস্থা চুক্তির প্রয়োজন হবে) Optional এবং
- কাজের অনুমতি (আপনার গন্তব্য দেশের জন্য আপনার একটি ওয়ার্ক পারমিটেড প্রয়োজন হবে) Optional
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে হয়।
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য ‘আমি প্রবাসী’ এপ্লিকেশনটিতে ‘লগইন’ করুন। তারপর আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে এবং উপরে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখন উপরের অপশনে ক্লিক করে আপনি বাম দিকে সোয়াইপ করুন। তাহলে ‘BMET Clearance’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেজ ওপেন হবে।
এখন আপনি নিচে থেকে ‘Start your Application’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Visa
- Passport
- BMET Registration
- Biometric Status
- Bank Account ইত্যাদি
এখন আপনি আবারোও নিচে থেকে ‘Start your Application’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে প্রথম ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। যেমন: আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং আপনার পিতা-মাতার নাম ইত্যাদি। তাছাড়াও নিচে আপনি যে BMET Registration এবং Biometric Date করেছেন সেটি দেখতে পাবেন।
এখন আপনি ‘Continue’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার ভিসার ইনফরমেশন দিতে হবে। যেমন:
- Country
- Visa type
- Visa No
- Visa issues Date
- Visa Expired Date
- Visa reference Number/ Block visa (Optional)
- Sticks No (Optional)
- Sponsor I’d (Optional) এবং
- Is your Visa Attested
এখন ‘Country’ অপশনে আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচের অপশন গুলো আপনার ভিসার ইনফরমেশন দিয়ে পূরণ করুন। তারপর নিচে ‘Document’ অপশন দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ভিসা ডকুমেন্ট এবং ভিসা সাপোর্টিং ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।
তাহলে আপনি আপনার ভিসা ডকুমেন্ট ‘সাবমিট’ করুন। তারপর নিচে থেকে ‘Next’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেজ ওপেন হবে।
এখানে আপনাকে ‘Employment Details’ দিতে হবে। যেমন:
- Job
- Skill type (Optional)
- Salary (Per month)
- Country
- Contract Tenure
- Employee information (Optional)
- Employee Name
- Employee Address
- Employee Content Number
তাহলে উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো আপনি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। তারপর নিচে Document অপশন দেখতে পাবেন সেখানে আপনাকে Employee Content এবং Stamp Paper আপলোড করতে হবে।
তাহলে আপনার Employee Content এবং Stamp Paperটি আপলোড করুন। তারপর নিচে থেকে ‘Continue’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার PDO এবং Biometric Cake দেখতে পাবেন।
PDO অর্থাৎ, আপনি তিনদিনের যে ক্লাস করেছেন সেটির সার্টিফিকেট। এখন নিচে Biometric Date অপশনের পাশে ‘Submitted’ লেখা দেখতে পাবেন। এখন আপনি যদি Higher Education থাকেন। তাহলে ‘Higher Education’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। আর আপনি যদি তিনদিনের ক্লাস করে থাকেন। তাহলে ‘Enroll For PDO’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন আপনি যদি Higher Education হয়ে থাকেন। তাহলে Higher Education অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর ‘Upload Certificate’ অপশনে ক্লিক করে আপনার Higher Education টি আপলোড করুন। এখন সকল ডিটেলস ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে গেলেন নিচে থেকে Next অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে পরবর্তী অপশনে ‘Training Certificate’ অপশন চলে আসবে এবং সেখানে আপনার টেনিং এর সকল ডিটেলস দেখতে পাবেন। এখন আপনি next অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে ‘Medical Information’ অপশন দেখতে পাবেন এবং তার নিচে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Medical Clearance Reference Number
- Medical Number এবং
- Medical test date
তাহলে আপনি আপনার ‘Medical ডিটেইলস অনুযায়ী অপশনগুলো পুরন করুন। তারপর নিচে ‘Medical Document’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার মেডিকেল টেস্টের রিপোর্টটি আপলোড করুন এবং Next অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে ‘Bank information’ দিতে হবে।
এখন Bank information’ অপশনের নিচে অনেকগুলো অপশন শো করবে। যেমন:
- Bank
- Branch
- Account Name এবং
- Account Number
এখন উপরের অপশনগুলো আপনার Bank information অনুযায়ী পূরণ করুন। তারপর নিচে Bank Document অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার ব্যাংকে ডকুমেন্ট আপলোড করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে Next বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে ডকুমেন্ট সামারি চলে।
অর্থাৎ আপনি এতক্ষণ ধরে যে যে ডকুমেন্টগুলো আপলোড করেছেন সকল ডকুমেন্টগুলো চলে আসবে। এখন আপনি চাইলে ‘View’ অপশনে ক্লিক করে ডকুমেন্টগুলো পুনরায় চেক করতে পারবেন। আর আপনি যদি নতুন কোনো ডকুমেন্ট আপলোড করতে চান। তাহলে Add More অপশনে ক্লিক করে আপলোড করতে পারবেন।
এখন সকল ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে Next অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার পেমেন্ট সামারি দেখতে পাবেন এবং আপনাকে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে সেটিও দেখতে পাবেন।
এখানে আপনাদের ক্ষেত্রে পেমেন্ট একাউন্ট কম বেশি হতে পারে। মুলত, আপনি কোন দেশে চাচ্ছেন। সেই দেশটির উপর ভিত্তি করে আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে হবে। এখন আপনি পেমেন্ট করা দুটি অপশন পেয়ে যাবেন। যেমন:
- Nominal Fee এবং
- Government Fees
এখানে প্রথমেই আপনাকে Nominal Fee মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। আর যখনি আপনার আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে যাবে। তখন Government Fees মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এখন স্ক্রোল করে নিচে নামলে ‘I have read….. Conditions’ অপশন দেখতে পাবেন সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘Pay for 50 Taka’ অপশনে ক্লিক করুন।
বিএমইটি স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম ২০২৪ / Man power BMET smart card check
এখন প্রথমেই আপনাকে 50 টাকা পেমেন্ট করতে হবে এবং আপনার আবেদন পত্রটি যখন এপ্রুভ হয়ে যাবে। তখন আপনাকে বাকি টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এখন আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করতে পারবেন। যেমন: বিকাশ, রকেট এবং নগদ ইত্যাদি পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। এখন আপনি ‘Pay for 50 Taka’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে যাবে।
সেখান থেকে আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংকের কার্ড, একাউন্ট এবং সোনালী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। তাহলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন। তাহলে আপনার এপ্লিকেশনটি সাবমিট হয়ে যাবে এবং আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেজ ওপেন হবে।
এখন উপরে লক্ষ্য করলে ‘Application Status অপশনের পাশে Processing’ লেখা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনার এপ্লিকেশনটি প্রসেসিংয়ে রয়েছে। এখন আপনি নিচে থেকে ‘Download Application Document’ অপশনে ক্লিক করে অ্যাপ্লিকেশন ডকুমেন্টটি ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়াও নিচে Application Tracking নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এবং সেখানে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Verification Pending
- Section এবং
- Translator
তারপর নিচে আরোও দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: Add Supporting Document এবং Cancel Application । এখন যদি প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি Supporting Document এড করতে পারবেন এবং Cancel Application অপশনে ক্লিক করে আপনার এপ্লিকেশনটি Cancel করতে পারবেন।
যখনি আপনার বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কমপ্লিট হয়ে যাবে। তখন আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে আসবে এবং যেখানে Congratulations! Your Clearance……. has been approved লেখা থাকবে।
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চবারে https://www.amiprobashi.com লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেজ ওপেন হবে।
এখন আপনি প্রথমেই ‘Download QR-Code Clearance Card’ অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন শো করবে। যেমন:
- BMET Registration Card
- BMET Smart Card
- Verify Smart Card
- Track Application
- All PDD Card’s এবং
- All Training Certificate
এখানে অটোমেটিক BMET Smart Card অপশনটি সিলেক্ট করা থাকবে। এখন আপনি আপনার Passport Number নম্বরটি বসিয়ে দিন এবং নিচের ক্যাপচাটি পুরন করে ‘Search BMET Smart Card’ অপশন ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করার অপশন চলে আসবে।
এখন আপনি ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এখন বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স একটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে ওপেন করুন। তাহলে QR-Code সম্মিলিত আপনার বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ডটি দেখতে পাবেন।
আশাকরি আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে নিজেই নিজের বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করতে করবেন, কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন এবং কিভাবে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করবেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ।
Content tag
- বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন
- বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম
- বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন ২০২৪
- বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে কি কি লাগবে