সাম্প্রতিক ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা মহাকাশে শোনা গেল ফেরেশতাদের আওয়াজ। নিজেদের অজান্তেই কি নাসা আবিষ্কার করলো মহাকাশে থাকা ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি। মহাশূন্যকে নিঃশব্দ ভাবা হলেও আসলে সেখানে প্রতিনিয়ত শব্দ হচ্ছে এমন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নাসা।
নাসার গবেষকেরা সেই শব্দ শুনে বলছেন যেনো বিলিয় বিলিয় মানুষ এক সঙ্গে গান করছেন। অথচ, শবে মেরাজের রাতে হযরত মুহাম্মদ (স:) বলেছিলেন মহাকাশে প্রতিনিয়ত ফেরেশতারা জিকির করছে। তবে কি এবার নাসার গবেষণায় ধরা পড়লো ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি?
আবুদার (রা:) বলেন ‘রাসূল (স:) যখন পবিত্র মিরাজ থেকে ফিরে আসেন। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি আকাশে কি দেখেছেন বা কি শুনেছেন? উত্তরে রাসূল (স:) বলেন আমি যা দেখেছি তোমরা তা দেখ না। আর আমি যা শুনেছি তোমরা তা শুন না।
আকেশ প্রচন্ড কাঁপুনির শব্দ হচ্ছে আর তা হওয়ার কারণও আছে। আকাশে ৪ আঙ্গুল পরিমানও জায়গা খালি নেই, সবখানে ফেরেশতারা সেজদায় আছেন এবং আল্লাহর জিকির করছেন।’ (ইবনে মাজহা ও তিরমিযী)
রাসূল (স:) এর হাদিসটিতে আকাশে প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে শব্দ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু আগে ধারণা করা হতো মাহাকাশ যেহেতু বায়ু শূণ্যস্থান তাই সেখানে শব্দ হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মহাকাশ গবেষণাগার নাসার একাধিক গবেষণায় মহাকাশে শব্দ হওয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে।
Our universe is not silent অথবা listen to the universe সহ বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে কিভাবে মহাকাশে শব্দ হয়। এমনকি না আসার অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ মেশিন ও যন্ত্রপাতির সাহায্যে এসব শব্দ রেকর্ড করা হয়েছে। চলুন তাহলে শুনে নেওয়া যাক সেইসব শব্দ।
🎙️শুনুন
যদিও এই শব্দের পিছনে লুকিয়ে থাকা সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারে নি নাসা। কিন্তু গবেষকেরা মনে করছেন মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রের রেডিয়েশন থেকে এমন কম্পন বা ভাইব্রেশনের সৃষ্টি হতে পারে। শব্দগুলো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব আকারে থাকে পরে সেগুলোকে শব্দ তরঙ্গের রূপান্তর করা হয়।
তবে যুক্তির খাতিরে একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছিলেন আকাশে কাঁপুনির শব্দ হয়। যা বর্তমান বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়াও গবেষণার সাথে যুক্ত একজন গবেষক বলেন ‘এই শব্দ শুনে মনে হয় যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসাথে গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছেন। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হলো খ্রিস্টানদের এক প্রকারের ধর্মীয় সংগীত যা একসাথে গাওয়া হয়।
অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪’শ বছর আগেই বলেছেন যে আকাশে ফেরেস্তারা একসাথে আল্লাহর জিকির করছেন। নাসা যদিও এমন শব্দ আবিষ্কার করেছেন কিন্তু এর পিছনে লুকিয়ে থাকা সঠিক তথ্য এখনো খুঁজে পাননি। কোন গবেষণায় বলা হচ্ছে নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র, আবার কথাও বলা হচ্ছে প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণের শব্দ।
তবে এই শব্দ গুলো মহানবী (স) হাদিসের বর্ণনার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। তবে প্রকৃতভাবে এই শব্দগুলো ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি কিনা, নাকি অন্য কিছু সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।
[…] […]