কিভাবে ক্রেডিট কার্ড নিবেন এবং কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো ২০২৫

ক্রেডিট কার্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত আর্থিক লেনদেন করেন। যেমন: চাকরিজীবী ও পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ভ্রমণপ্রেমী, অনলাইন শপিং ব্যবহারকারী, ক্রেডিট হিস্টোরি তৈরি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি এমন ব্যক্তি।

নিম্নে ক্রেডিট কার্ড কি, কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, ক্রেডিট কার্ড নিতে কি কি লাগে এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ক্রেডিট কার্ড কি এবং কেন প্রয়োজন?

বর্তমান সময়ে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজন ক্রেডিট কার্ড লাগে। কিন্তু আপনি জানেন না। কোন ক্রেডিট কার্ড আপনার জন্য ভালো হবে। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কোন ক্রেডিট কার্ড আপনার জন্য ভালো হবে।

আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনার বেস্ট চয়েজ হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড। সাধারণত তিন ধরনের ক্রেডিট কার্ড ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে থাকে। যেমন:

  1. গোল্ড ক্রেডিট কার্ড
  2. সিলভার ক্রেডিট কার্ড এবং
  3. প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড

বর্তমান সময়ে আপনি প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনেক সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়াও প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ডের চার্জ খুবই কম। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড নিবেন এবং প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে ইত্যাদি সম্পর্কে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা

ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি কি কি সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি বছরে যতবার লাউন্স করবেন। প্রত্যেক বারে সম্পূর্ণ ফ্রিতে তিনজন গেস্ট নিয়ে যেতে পারবেন।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য এবং এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফ্রি pick & Droop সার্ভিস রয়েছে
  • এই কার্ডটি ব্যবহার করার ফলে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে মেডিকেল চেকআপ করতে পারবেন। সাধারণত ঢাকার টপে থাকা হসপিটাল গুলো থেকে সারা বছরে একবারের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রিতে বডি চেকআপ করতে পারবেন
  • ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার ফলে আপনার রিওয়ার্ড পয়েন্ট ৮০০০ হলে আপনাকে বাৎসরিক ক্রেডিট কার্ডের ফি দিতে হবে না এবং আপনার রিওয়ার্ড পয়েন্ট যদি ৭,৫০০ হয়ে থাকে। তাহলে আপনার সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ১০০% ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি যতবার কেনাকাটা করবেন। তত বেশি রিওয়ার্ড আপনার একাউন্টে এড হয়ে যাবে
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ফ্রী পরিশোধ করার জন্য আপনি সর্বোচ্চ ৫০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন
  • মাত্র ১% ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন
  • 0% ইন্টারেস্টে আপনি বড় বড় কোম্পানি থেকে ইলেকট্রনিক, ফার্নিচার সহ বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করতে পারবেন এবং হাসপাতালে ০%EMI করার সুবিধা পাবেন
  • এই কার্ডটি ব্যবহার করে আপনি ইন্টারন্যাশনাল দেশে কিংবা বিদেশে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন
  • Nexupay অ্যাপের মাধ্যমে দেশজুড়ে QR কোডে ২১,০০০+ মার্চেন্টস পয়েন্ট করতে পারবেন
  • BOGO Buy আপনি বিভিন্ন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে থেকে যেকোনো খাবার কিনতে পারবেন এবং তার সাথে আপনি তিনটি অফার পাবেন এবং
  • ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ডের চার্জ বছরের শেষে নেওয়া হয়

ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  • আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার সেলারি সার্টিফিকেট/ প্লে স্লিপ প্রয়োজন হবে
  • আপনার ব্যাংক একাউন্টের লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • অফিস আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে
  • এনআইডি কার্ড
  • E-TIN, Tax Return Copy প্রয়োজন হবে এবং
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি (ল্যাব প্রিন)

তবে মনে রাখবেন। আপনার ক্রেডিট কার্ডের ধরনের উপরে নির্ভর করে আপনার মাসিক স্যালারি বা ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি যে ক্রেডিট কার্ড নিতে চাচ্ছেন সেটি পাওয়ার যোগ্যতা গুলো সরাসরি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন। অথবা তাদের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন। ডাচ বাংলা কাস্টমার কেয়ার নম্বর 16216 এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নম্বর 09666716216।

আরোও পড়ুন: ইস্টার্ন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিন ২০২৫

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

একটি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংকের আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম ও ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। নিম্নে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা তুলে ধরা হলো।

  • ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে
  • ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে সবোর্চ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে
  • ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর একটি স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ, আপনার মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন ২৫,০০০ মধ্যে হতে হবে
  • বিগত ৬ মাস অথবা ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে
  • ক্রেডিট স্কোর। যা পূর্বের ঋণ পরিশোধের ইতিহাস অনুযায়ী নির্ধারিত হয়
  • ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ইনকামের প্রমাণক পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আপনার ছবিসহ আরোও অন্য অন্য ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে এবং
  • ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের আবেদনটি সংগ্রহ করার জন্য আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক অথবা ইসলামী ব্যাংক শাখায় গিয়ে নিতে পারবেন। ‌ তাছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন

সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দিয়ে থাকে। সাধারণত সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। নিচে সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা আলোচনা করা হলো:

  • সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৮ বছর অথবা তার বেশি হতে হবে
  • সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড আবেদনকারীর স্থায়ী আয়ের উৎস থাকতে হবে। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন ১৫০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজারের মধ্য হতে হবে
  • চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৬ মাসে কর্মরত প্রমানক প্রয়োজন হবে
  • আর ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন এক বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
  • আর আপনার যদি আগে কোন ক্রেডিট কার্ড থাকে। তাহলে সেই ক্রেডিট কার্ডের স্ক্রোর সর্বনিম্ন ৭০০ থাকতে হবে

উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার ক্রেডিট কার্ডের ধরনের উপরে ভিত্তি করে আপনার মাসিক আয় ও অন্যান্য ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি কি ধরনের ক্রেডিট কার্ড নিতে চাচ্ছেন বা সেটির জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। তা সরাসরি সিটি ব্যাংকের কল সেন্টার নম্বর 16234 কল করে জেনে নিতে পারেন এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নম্বর+88028331040

ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য প্রথমে আবেদন করতে হবে। তবে ব্রাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড আবেদনের কিছু যোগ্যতা রয়েছে। নিচে উল্লেখিত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন। নিচে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • ব্রাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার ব্রাক ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
  • আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে (ব্যাংক ব্যবহারকারী)
  • আপনার মাসিক সেলারি কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা হতে হবে
  • ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে
  • আর চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অফিস টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
  • আপনার লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং
  • সদ্য তোলা রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে

তাছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ব্যাংক শাখায় সরাসরি গিয়ে কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। নিম্নে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে

  • ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের আবেদন কপি প্রয়োজন হবে
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি
  • আপনার চাকুরির আইডি কার্ড
  • আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • E-TIN Card প্রয়োজন হবে
  • ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার ব্যাংকের লাস্ট ৬ মাসের স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং
  • কর্পোরেট গ্রান্ট্রি প্রয়োজন হবে

ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে

  • ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের আবেদন কপি
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র এবং
  • ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিতে প্রয়োজন হবে পাঁচ বছরে নবায়ন করা হয়েছে। এমন ট্রেড লাইসেন্সের কপি

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিতে চান। তাহলে আপনাকে নিম্নের ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে। যেমন:

  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে
  • আপনার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য নিজস্ব আয় থাকতে হবে। যেহেতু, স্টুডেন্টদের নিজস্ব আয় থাকেনা। তাই পিতার অথবা পরিবারের কারোর ইনকামের প্রমাণক দিতে হবে এবং
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে

যেসব ব্যাংক শিক্ষার্থীদের কার্ডের সুবিধা দিয়ে থাকে

বর্তমান সময়ে অনেকে ব্যাংক রয়েছে। যেগুলো শিক্ষকদের কার্ড নেওয়ার সুবিধা দিয়ে থাকে। নিম্নে সেই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

ডাচ বাংলা ব্যাংক (DBBL)

বর্তমান সময়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট কার্ডের সুবিধা দিয়ে থাকে। সাধারণত স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে ডাচ বাংলা রকেট একাউন্টের সাথে যুক্ত করে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দিয়ে থাকে। যেটি একটি প্রিপেইড কার্ড।

তাছাড়াও ইস্টার্ন ব্যাংক (EBL) এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সহ অনেক ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংক নির্দিষ্ট শর্তে অভিভাবকের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে।

ক্রেডিট কার্ডের জন্য কি কি লাগে

আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে চান। তাহলে ব্যাংকে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। ক্রেডিট কার্ড তৈরি করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। যেমন:

  • আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের জব আইডি কার্ড কিংবা স্যালারি সার্টিফিকেট
  • আপনার ব্যাংকের লাস্ট ৬ মাসে ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা আপনার পাসপোর্টের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে।
  • ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে: ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন এবং লাস্ট ৬ মাসে ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে
  • পানি/বিদ্যুৎ/ গ্যাস/ ইন্টারনেট বিলের কপি এবং
  • নমিনের তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ইত্যাদি।

তবে প্রত্যেকটি ব্যাংক অনুযায়ী ডকুমেন্ট আলাদা হতে পারে এবং কার্ডের ধরনের উপর নির্ভর করেও এটি ভিন্ন হতে পারে। নিম্নে কয়েকটি ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ধারে কোনো পন্য কেনার আধুনিক রুপ হচ্ছে: ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। সাধারণত, ব্যাংক এবং কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ডের ইস্যু করে থাকে। এই ক্রেডিট কার্ডের মূল সিমা হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো পন্য ক্রয় করার পর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা।

অর্থাৎ, আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে করে অর্থ প্রদান করবেন। তখন ব্যাংক আপনাকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দিবে। সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেও আপনাকে রিন পরিশোধ করতে হবে। ক্রেডিট লিমিট একজন গ্রাহকের আয়ের উপর নির্ভর করে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের আলাদা আলাদা নিয়ম থাকে।

আপনি যদি সময় মতো বিল পরিশোধ করেন। তাহলে ক্রেডিট কার্ড আপনাকে একটি ভালো ক্রেডিট স্টোর তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি পিওএস টার্মিনাল অথবা ই-কমার্সের পন্য ক্রয় করতে পারবেন। তাছাড়াও ক্ষেত্রে বিশেষে কার্ডটি আপনি দেশ ও দেশের বাইরেও ব্যবহার করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে বড় ধরনের লেনদেনের সুবিধা থাকায় এটি সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক।

আরোও পড়ুন: টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবেন যেভাবে ২০২৫

এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের বড় সুবিধা হল দ্রুত সময়ে লেনদেন। বড় ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক টাকার জোগাড় করার ঝামেলা ছাড়াই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পণ্যটি মুহূর্তের মধ্যেই কিনে নেওয়া যায়। তারপর কয়েক মাস ধরে এই অর্থের যোগান দেওয়া যায়। ক্রেডিট কার্ডের সময়সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করলে অতিরিক্ত ঋণ বা জরিমানার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

চেক বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারে চেয়ে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি নিরাপদ। কেননা, কার্ডটি হারিয়ে গেলে কিংবা ভুল ত্রুটি বা জালিয়াতি হলে আপনি আপনার অর্থ ফেরত পাবেন। তবে এর জন্য আপনার কাছে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডের পিন সংগ্রহে রাখতে হবে।

কিছু ক্রেডিট কার্ড রয়েছে যেগুলো বিদেশে শূন্য শতাংশ হারে ঋণ দেয়। ফলে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। যেটি অনেকটাই সুবিধাজনক। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের অফার দেওয়া হয়। যেমন: ক্যাশব্যাক অফার, স্পেশাল ডিসকাউন্ট যা দেশের বাইরে ফ্লাইট টিকিট, হোটেল বুকিং কিংবা শপিং করার ক্ষেত্রে মূল্য ছাড় পেতে সাহায্য করে।

তবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এর ঋণ সিস্টেম। কারণ সব সময় এটি ঋণ নেওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আপনার ঋণ নেওয়ার পর যদি সেটি সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।

শুধু সুদ পরিশোধ করায় নয়। সময় মত মাসিক মূল্য পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা গুনতে হবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সীমা অতিক্রম করলেও গুনতে হবে বাড়তি টাকা। অর্থাৎ সময় জ্ঞান না থাকলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশ বিপদজনক।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় একটি সঠিক ক্রেডিট কার্ড বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি ভুল ক্রেডিট কার্ড আপনার ঋণের বোঝাকে দিন দিন বাড়িয়ে দিতে পারে। যা আপনার দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হিসেবে দাড়াবে। তাই কার্ড নেওয়ার আগে কার্ডের শর্তাবলী এবং আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রেডিট কার্ড বেছে নেওয়াই শ্রেয়।

তথ্যসূত্রে: কালের কন্ঠ

আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে ক্রেডিট কার্ড নিবেন এবং কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। ব্যাংকিং রিলেটেড এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ!

রাইটার:

সুমাইয়া খাতুন সাথী (CEO-Bongovasha) B.A Honours Bangla deferment (BBAGC-Dhaka)

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading