অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান সময়ে অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম অনেক অনেক টাকা ইনকাম করছেন। এখন আপনিও চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে আপনি যদি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো: অনলাইন থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি। যেখানে আপনি অন্যের প্রডাক্ট অনলাইনে সেল করার মাধ্যমে কমিশন আয় করতে পারবেন। যখনি আপনি অন্যের প্রোডাক্টের লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন এবং সেখান থেকে কোন ব্যক্তি সেই প্রোডাক্টটি কিনবে। তখন সেখান থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এটিই হচ্ছে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে হবে। তারপর সেখান থেকে নির্দিষ্ট একটি “নিশ” নির্বাচন করতে হবে। এখন সেই নিশের উপর ভিত্তি করে একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ অথবা ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে।
এরপর সেই প্লাটফর্মে অন্যের প্রোডাক্টের বিঙ্গাপন বা অফার প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: আমাজন, Daraz, ক্লিক ব্যাংক ও Ghoori Learning ইত্যাদি। এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
তারপর সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো মার্কেটে প্রচার করার মাধ্যমে আপনি কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই অন্যের প্রোডাক্ট অনলাইনে সেল করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা একটি লাভজনক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শুধুমাত্র অন্যের প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে কমিশন উপার্জন করা যায়। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করার জন্য মার্কেটে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন।
এখন সেই প্লাটফর্মে একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন। সেই লিংকটি অনলাইনে যেকোনো প্লাটফর্মে শেয়ার করার মাধ্যমে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। যখনি সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি কিনবে। তখন সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট অর্থ কমিশন পাবেন।
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন
বর্তমান সময়ে আপনি যদি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি অনলাইন প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে হবে। যেমন: ব্লগ সাইট, Instagram, TikTok, সোশ্যাল মিডিয়া, আমাজন ও youtube ইত্যাদি।
তবে অবশ্যই আপনার source প্রচুর পরিমাণ ফলোয়ার, সাবস্ক্রাইব এবং ভিউজ থাকতে হবে। তার কারণ হচ্ছে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে: আপনি যাদের কাছে থেকে প্রোডাক্ট মার্কেটেং করবেন। যখন কোন অডিয়েন্ট আপনার শেয়ার লিংকটি ব্যবহার করে প্রোডাক্ট কিনবে। তখন সেখান থেকে কমিশন আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম
বর্তমান সময়ে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার ব্যাপক হারে চাহিদা রয়েছে। এখন আপনিও চাইলে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সেরা প্ল্যাটফর্ম গুলো হলো:
- Amazon Associates (অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস)
- Daraz Affiliate Program (দারাজ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম)
- Rokomari Affiliate Program (রকমারি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম)
- Ajkerdeal Affiliate Program (আজকেরডিল অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম)
- Commission Junction (কমিশন জংশন)
- Pickaboo Affiliate Program (পিকাবু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম) এবং
- Rakuten Advertising (রাকুটেন বিজ্ঞাপন) ইত্যাদি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুবিধা
Affiliate Marketing করে ইনকাম করার অনেক সুবিধা রয়েছে। বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইন থেকে Affiliate Marketing করে ইনকাম করতে চাই। এখন তারা যদি এই মার্কেট প্লেস গুলোতে সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
- কোনো প্রকারের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করা যায়
- আপনার অবসর সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন
- এখান থেকে ইনকাম করার জন্য শুধু মাত্র ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইল ফোন থাকলেই ইনকাম করতে পারবেন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য প্রোডাক্ট সাপোর্ট দিতে হবে না
- যতবেশি মার্কেটিং করে আপনার প্রোডাক্টটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তত বেশি টাকা ইনকাম করতেন পারবেন এবং
- নতুনদের ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য সামান্য প্যাসিভ ধারনা থাকলেই ইনকাম করা সম্ভব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সেরা উপায়
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান। তাহলে আপনার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে অডিয়েন্স বা ট্রাফিক সোর্চ বৃদ্ধি করা। সাধারণত আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা যত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। অনলাইন থেকে তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নিরাপদে আয় করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। যেখানে থেকে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। নিচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সেরা উপায় শেয়ার করা হলো:
- নিশ নির্বাচন করুন
- বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন
- ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করুন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
- পেইড Ads প্রচার করে ইনকাম করুন
- নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করুন
- ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করুন
- ইমেইল মার্কেটিং এবং
- SEO অপ্টিমাইজেশন
নিশ নির্বাচন করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ, আপনি যে টপিকের উপর এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। সেই নিশ সিলেক্ট করুন। যেমন: স্বাস্থ্য, সংবাদ, বিজ্ঞাপন, টেকনোলজি এবং গ্যাজেট ইত্যাদি। তারপর সেই নিশ অনুযায়ী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে: অনলাইনে বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা। নিচে কিছু বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে তালিকা দেওয়া হলো:
- Amazon Associates। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
- Daraz Affiliate Program। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম
- Amazon India Affiliate। এটি ভারতীয় জন্য জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম
- Hostinger Affiliate। বাংলাদেশের মধ্যে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম
- Bluehost Affiliate Program। এটি হোস্টিং প্রোমোশনের জন্য বেশি কমিশন হয়ে থাকে।
- Rakuten Advertising। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রোমোট প্লাটফর্ম এবং
- CJ Affiliate। বড় ব্রান্ডের প্রোডাক্ট প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করুন
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে জনপ্রিয় এবং সফল হতে চান। তাহলে নিজে ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এতে করে আপনি খুব দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবেন। সাধারণত আপনার নিজের ব্লগ সাইট বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ শেয়ার করতে পারবেন।
তাছাড়াও সেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন। ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সর্ব প্রথম ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং কিনুন। এরপর WordPress ইনস্টল করুন। এখন আপনার পছন্দ অনুযায়ী থিম সিলেক্ট করুন এবং প্রয়োজন অনুসারে থিম তৈরি করুন।
এরপর আপনার ব্লগ সাইট অথবা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ সম্পর্কে কনটেন্ট তৈরি করুন। তাছাড়াও আপনার আর্টিকেলের ব্লগের ভিতরে বিভিন্ন প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে উপার্জন করার অনেক বিশ্বস্ত উপায় রয়েছে। যেখান থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হচ্ছে: অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের লিংক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে হবে। যেমন: facebook, instagram, tiktok অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইত্যাদি।
এখানে আপনি দারাজ অথবা আমাজন প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলেই নিজে ফেসবুক পেজ, ইমু গ্রুপ অথবা instagram সব খুলে সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি বড় অডিয়েন্স থাকে। তাহলে সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনাকে পেমেন্ট করবে।
ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুকে মনিটাইজেশন করে আয় করতে পারবেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিভিন্ন এড প্রচার করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে। যারা তাদের ব্যবসা ম্যানেজমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকেন।
এখন আপনি তাদের সাথে ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এসিও, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। এগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের প্রচার করে ক্লাইন্ট নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে। যেখানে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অ্যাড প্রচার করা হয়। এখন আপনি সেই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন। এভাবে করে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারবেন।
পেইড Ads প্রচার করে ইনকাম করুন
পেইড ads প্রচার করে ইনকাম করার উপায় রয়েছে। যেখানে পেইড এড প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ে অনেক ব্যবসায়ীরা রয়েছে। যারা তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে চাই।
এখন আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির এড গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যেমন: ফেসবুক পেজ, instagram, টুইটার, whatsapp গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং ইমু গ্রুপ ইত্যাদি। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির পেইড বিজ্ঞাপন প্রচার করে আয় করার সুযোগ রয়েছে।
নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করুন
বর্তমান সময়ে কনটেন্টের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। এখানেই আপনার নিজের ব্লগ সাইট অথবা কোম্পানির জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখে আয় করতে পারবেন। এখানে কনটেন্ট আপলোড করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম নগদ পেমেন্ট ২০২৫| ইনকামের সহজ সমাধান
এছাড়াও আপনার কনটেন্টে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন। যতদিন কনটেন্টটি অনলাইনে থাকবে এবং যতজন ব্যক্তি সেই লিংকের সাহায্যে প্রোডাক্ট কিনবে। সেখান থেকে আপনি সেই হিসেবে কমিশন পাবেন। এভাবে করে কনটেন্টের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে ইনকাম করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার আরো একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে youtube চ্যানেল ব্যবহার করে ইনকাম। আপনার youtube চ্যানেলের বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যখনি আপনি ভিডিও তৈরি করবেন। তখন সেই ভিডিও ডিসক্রিপশন বক্সে সেই কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। সাধারণত ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপনি ইমেইলের তালিকা তৈরি করুন। এরপর সেই ইমেইলে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করুন।
এভাবে করে আপনি প্রতিদিন সকল ইমেইলে সেই অ্যাফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করুন। যখন কেউ আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সেই পণ্যটি কিনবে। তখন কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট কমিশন পাবেন। এভাবে করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে অসংখ্য ধন্যবাদ!
Disclaimer: এই আর্টিকেলটি লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি। এখানে শেয়ার করা তথ্য শুধুমাত্র আপনাদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে। তাই কাজ করার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নিন। আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকুন। আপনার আর্থিক ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম FAQ:
- প্রশ্ন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
- উত্তর: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো: অনলাইন থেকে অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশন নেওয়া।
- প্রশ্ন: Affiliate Marketing কত প্রকার?
- উত্তর: Affiliate Marketing এর নির্দিষ্ট কোন প্রকার নেই। অনলাইনের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে কমিশন আয় করা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
- প্রশ্ন: Affiliate শব্দের অর্থ কী?
- উত্তর: Affiliate শব্দের অর্থ হলো: অংশীদার।
- প্রশ্ন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট?
- উত্তর: বর্তমান সময়ে অনলাইনের জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হচ্ছে: আমাজন ও দারাজ।
- প্রশ্ন: ফ্রি টাকা ইনকাম সাইট?
- উত্তর: ওয়ার্ক আপ জব।
- প্রশ্ন: free taka income Bkash payment App?
- উত্তর: work up Job site।
- প্রশ্ন: ফ্রি টাকা ইনকাম নগদ পেমেন্ট সাইট?
- উত্তর: work up Job ।
- প্রশ্ন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি সত্যি ইনকাম করা যায়?
- উত্তর: হ্যাঁ! অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।
- প্রশ্ন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
- উত্তর: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। সেটি নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন এর উপর। আপনি যত বেশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তত কমিশন আয় করতে পারবেন।
- প্রশ্ন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট সাইট?
- উত্তর: ওয়ার্ক আপ জব সাইট।
অবশ্যই পড়ুন: