আমি প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড ও চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্ট। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করবেন, সার্টিফিকেট ডাউনলোড করবেন এবং সার্টিফিকেট চেক করবেন সেই সাথে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে।
আমি প্রবাসী ট্রেনিং রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম
দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য বাধ্যতা মূলকভাবে প্রত্যেকে আমি প্রবাসী এপ্লিকেশনের মাধ্যমে BMET রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু আমাদের ভিতরে অনেকেই জানিনা কিভাবে BMET ব্যবহার করে আমি প্রবাসী এপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তাই শুরুতেই আমরা আলোচনা করবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে Google Play Store অ্যাপে প্রবেশ করুন এবং সার্চ অপশনে Ami probashi লিখে সার্চ করুন। তাহলে আমি প্রবাসী এপ্লিকেশনটি চলে আসবে। সেখান থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিন। এখন অ্যাপসটি সম্পূর্ণভাবে ইন্সটল হওয়ার পর অ্যাপে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে এবং সেখানে থেকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর বসিয়ে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি ০ বাদে লিখুন। তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ৪ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড যাবে। সেটি এখানে বসিয়ে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনাকে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে বলা হবে।
এখানে ভবিষ্যতে আমি প্রবাসী application এর ভিতরে লগইন করার জন্য আপনি একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। (এখানে অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি যেন ৬ সংখ্যা অথবা একটি নম্বর বা একটি অক্ষর চিহ্ন থাকে) এখন আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাসওয়ার্ড লিখুন এবং নিচের (Retype password) অপশনে একই পাসওয়ার্ড বসিয়ে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর পরবর্তী অপশনে আপনাকে ‘দেশ নির্বাচন’ করতে হবে। এখান থেকে আপনি কোন কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই সেই দেশগুলো সিলেক্ট করুন। এখানে সর্বনিম্ন তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে। এখন দেশ সিলেক্ট করা হয়ে গেলে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশনে আপনাকে আপনার দক্ষতা নির্বাচন করতে হবে। এখানে আপনার কোন কোন কাজের দক্ষতা রয়েছে সেইগুলো সিলেক্ট করুন। যেমন: শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট লেবার, ড্রাইভার সাধারণ কর্মী ইত্যাদি। তারপর নিচে থেকে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার পর এ পর্যায়ে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। যেমন:
- আপনি কি পুরুষ নাকি মহিলা
- বয়স নির্বাচন করুন
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- চাকরির অবস্থা নির্বাচন করুন
- আপনি কি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত
- আপনার কি বিএমইটি/স্মার্ট কার্ড আছে
উপরের উল্লেখিত অপশন গুলো আপনার তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে ঠিক এমন একটি পেইজ ওপেন হবে সেখান থেকে ‘ঠিক আছে’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আমি প্রবাসী application রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
এখন এখানে আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনি আপনার পাসপোর্টের একটি ক্লিয়ার ছবি মোবাইল ফোনে তুলে রাখুন। অথবা পাসপোর্টটিকে কম্পিউটার দোকান থেকে স্কান করে আপনার মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে রেখে দিন। এখন আপনি ‘বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন’ অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই অপশনটি চলে আসবে। আপনি যদি মালেশিয়ায় যেতে চান তাহলে মালেশিয়া সিলেক্ট করুন। আর যদি অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে ‘অন্যান্য দেশ’ অপশনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের দেশটি সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে একটি পেইজ চলে আসবে এবং সেখান ‘আবেদন শুরু করুন’ লেখাটি চলে আসবে।
এখন নিচে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আবেদন করার জন্য আপনাকে ৩০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। তারপর ‘পাসপোর্ট স্ক্যান করুন’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে দুটি অপশন চলে আসবে। যেমন:
- গ্যালারি এবং
- ক্যামেরা
এখন আপনি চাইলেই সরাসরি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর ছবি তুলে আপলোড করতে পারবেন। অথবা আগে থেকে গ্যালারিতে স্ক্যান করে রাখা ছবিটিও আপলোড করতে পারবেন। এখন ছবি আপলোড করার পরে কিছুটা সময় লোড নিবে এবং আপনার পাসপোর্টটি অটোমেটিক OCR হয়ে যাবে। যেমন: আপনার পাসপোর্টের নম্বর, পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ, পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ অটোমেটিক ইত্যাদি চলে আসবে।
এখানে শুরুতেই ‘আপনার নাম’ অপশনে পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার নাম লিখুন। তারপর নিচে পাসপোর্ট নম্বর, উত্তীর্ণ তারিখ, প্রদানের তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা ভালোভাবে চেক করুন। এখানে অবশ্যই আপনার তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করবেন।
তারপরে নিচে ‘আপনি কি পুরুষ নাকি মহিলা’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি পুরুষ হলে পুরুষ সিলেক্ট করুন এবং মহিলা হলে মহিলা সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে এমন একটি পেইজ দেখতে পাবেন।
এখানে আপনাকে আপনার ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ প্রদান করতে হবে। যেমন:
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- বৈবাহিক অবস্থা
- ধর্ম
- উচ্চতা এবং
- ওজন (কেজি)
এখন আপনি আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিকভাবে লিখুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার ‘যোগাযোগের তথ্য’ প্রদান করতে হবে। শুরুতেই আপনার মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল লিখুন তারপরে নিচে ‘স্থায়ী ঠিকানা’ অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে আপনার ‘নমিনীর তথ্য’ প্রদান করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে ‘নমিনের সাথে সম্পর্ক’ সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী নমিনি সিলেক্ট করুন। তাহলে নিচে দেখতে পাবেন নমিনির নাম লেখা উঠবে এবং তার নিচে নমিনির অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে বলা হবে। যেমন:
- জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর
- মোবাইল নম্বর
- পিতার নাম
- মাতার নাম
এখন উপরের উল্লেখিত তথ্য গুলো আপনার নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে ‘জরুরি যোগাযোগের তথ্য’ অপশন দেখতে পাবেন এবং সেখানে আপনার সাথে জরুরি যোগাযোগ করার জন্য সম্পর্ক সিলেক্ট করতে হবে।
তারপর নিচে মোবাইল নম্বর বসিয়ে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনাকে ‘আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ’ প্রদান করতে হবে। যেমন:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পাশের সাল
- প্রতিষ্ঠান/স্কুল
- বোর্ড
- বিষয় এবং
- গ্রেট/ ডিভিশন
এখানে আরো ও তথ্য যোগ করার জন্য নিচে ‘আরো যোগ করুন’ অপশনে ক্লিক করে আরো তথ্য যোগ করতে পারবেন। তারপর ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ‘ভাষাগত দক্ষতা’ তথ্য পূরণ করতে হবে। প্রথমেই ভাষা গত যোগ্যতা অপশনে বাংলা লিখুন। তারপর মৌখিক দক্ষতা অপশনে মাতৃভাষা সিলেক্ট করুন এবং লিখিত দক্ষতা অপশনে মাতৃভাষা সিলেক্ট করুন।
তাছাড়াও আপনি যদি অন্য কোন ভাষা পারদর্শী হন তাহলে ‘আরো যোগ করুন’ অপশনে ক্লিক সেই ভাষা সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনেই এমন একটি পেইজ চলে আসবে।
এখন আপনি যদি আপনার তথ্যগুলো আবারো যাচাই করতে চান তাহলে রিভিউ ক্লিক করে আবারও তথ্যগুলো যাচাই করে নিতে পারবেন। (এখানে অবশ্যই আপনি আপনার তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করে নিবেন)। আর যদি তথ্যগুলো যাচাই না করতে চান।
তাহলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে একটি পেইজ চলে আসবে। সেখানে ভেরিফিকেশন লেখা থাকবে। সেখান থেকে ঠিক আছে লেখার উপরে ক্লিক করুন। তাহলে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ‘পেইন্টিং’ লেখা চলে আসবে।
এখানে আমি প্রবাসীতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় অনেকের একটি সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন: আপনি যদি তথ্য দেওয়ার সময় আপনার পাসপোর্টের তথ্যের সাথে কোন তথ্য আলাদা থাকে অথবা ভুল থাকে। তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাসটি রিসেট অথবা পেন্ডিং থেকে যেতে পারে।
সেজন্য আপনাকে এখানে ক্লিয়ার ভাবে একটি পাসপোর্টের ছবি আপলোড করতে হবে এবং সকল তথ্য যেন সঠিকভাবে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখানে আপনার তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে চার থেকে পাঁচ মিনিট অথবা ৭২ ঘণ্টার ভিতরেই ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সাধারণত, এখানে দুই থেকে তিন মিনিট অথবা সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের ভিতরে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যায়। এখন এপ্লিকেশনটি কেটে দিয়ে আপনি আবারো নতুন করে অ্যাপ্লিকেশনের ভিতরে প্রবেশ করুন। তাহলে এখানে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ভেরিফাইড লেখা চলে আসবে।
আমি প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড পেমেন্ট পরিশোধ প্রক্রিয়া
এখন আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে। এখানে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এবং কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। তাহলে পেমেন্ট করার জন্য পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে পেমেন্ট গেটওয়ে চলে আসবে।
এখন আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান তাহলে বিকাশ সিলেক্ট করুন। আর যদি অন্য কোন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান। তাহলে নিচে থেকে pay through sslcommerz অপশন সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ আপনি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন। তাহলে বিকাশে ক্লিক করে নিচের বক্সের টিক চিহ্ন দিয়ে PAY 300.00 অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে বিকাশের পেমেন্ট গেটওয়ে আপনার সামনে চলে আসবে।
এখন আপনার যে বিকাশ একাউন্টে ৩০৬ টাকা রয়েছে সেই বিকাশ নম্বরটি বসিয়ে continue অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড অথবা ওটিপি যাবে। সেটির বসিয়ে continue অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বরটি বসিয়ে আবারো continue অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে ৩০৬ টাকা কেটে নেওয়া হবে। তাহলে আপনার বিএমইটি নম্বর স্ট্যাটাস চলে আসবে এবং এখানেও ৪৮ ঘন্টা সময় নিতে পারে।
তবে এখানে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগে না। দুই থেকে তিন মিনিটের ভিতরেই হয়ে যায়। এখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই দেখতে পাবেন আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং আপনি এখান থেকে ‘ঠিক আছে’ অপশনে ক্লিক করলে আপনার বিএমইটি কার্ড এবং নম্বরটি চলে আসবে।
এখন এখান থেকে উপরে ডান কর্নারের ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে বিএমআরটি কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং এই কার্ডটি আপনার প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবহার করতে পারবেন।
আমি প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড (অ্যাপ ও ওয়েবসাইট)
আপনি যদি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যদি আপনি তিন দিন অথবা সাত দিনের ট্রেনিং করে থাকেন। অথবা তিন মাস, ছয় মাস কিংবা ৮ মাসের ট্রেনিং গ্রহণ করে আপনি যদি আরপিএল পরীক্ষার অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যদি আপনি সার্টিফিকেট না পান। তাহলে কিভাবে আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমি প্রবাসী অ্যাপে সার্টিফিকেট ডাউনলোড
সাধারণত এই কারিগরি প্রশিক্ষণ গুলো নেওয়া হয় দেশের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য। সুতরাং, আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে এবং সেই পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে আপনি যদি আরপিএল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাহলে আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে এই সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
তার জন্য আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে এবং কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল থেকে ‘Google Play Store’ অ্যাপে প্রবেশ করুন। তারপর সার্চ অপশনে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন এবং সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম অ্যাপটি ইনস্টল করুন।
অ্যাপটি সম্পূর্ণ ইনস্টল হওয়ার পর সেটি ওপেন করুন এবং Login অপশন থেকে লগইন করুন। এখন একাউন্ট লগইন করলে আপনার সামনে একটি পেইজ চলে আসবে এবং সেখানে নিচে প্রোফাইল নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন।
সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- সার্টিফিকেট
- সেটিং
- জরুরী যোগাযোগের তথ্য এবং
- লগ ইন
এখন আপনি ‘সার্টিফিকেট’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সার্টিফিকেটটি চলে আসবে এবং সেখানে আপনার কোর্সের নাম লেখা থাকবে। এখন সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড অথবা উত্তোলন করার জন্য আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে।
আমি প্রবাসী অ্যাপে সার্টিফিকেট ডাউনলোড পেমেন্ট
এখন পেমেন্ট করার জন্য নিচে থেকে ‘পেমেন্ট করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে ‘সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করুন’ নামে একটি লেখা চলে আসবে। সেখান থেকে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা কার্ড এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে বলা হবে।
এখানে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। অথবা ‘sslcommerz’ মাধ্যমে ও পেমেন্ট করতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পেমেন্ট গেট ওয়েট সিলেক্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বিকাশ সিলেক্ট করলেন। তাহলে বিকাশের উপর ক্লিক করে নিচের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন এবং নিচে থেকে pay 100.00 অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে বিকাশের পেমেন্ট মেথড দেখতে পাবেন। এটার পেমেন্ট ফ্রি হলো ১০০ টাকা এবং service 2 টাকা চার্জ কাটা হবে। এখন আপনার বিকাশ নম্বরটি বসিয়ে ‘Confirm’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি অথবা ভেরিফিকেশন কোড যাবে। সেটি বসিয়ে Confirm অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বরটি বসিয়ে আবারো Confirm অপশনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
তাহলে দেখতে পাবেন আপনার সার্টিফিকেটটি চলে আসছে এবং সেখানে QR কোড ও দেখতে পাবেন। এখন সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করার জন্য ‘সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি পেইজ ওপেন হবে এবং উপরে একটি ডাউনলোড আইকন রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন আপনার ট্রেনিং সার্টিফিকেটটি আপনার সামনে চলে আসবে।
এভাবেই আপনি যদি কারিগরি প্রশিক্ষণ থেকে ৩দিন/৭দিন অথবা তিন মাস, ছয় মাস বা ৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স গুলো করে থাকেন। আর যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন। তাহলে আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনার সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য তিন দিনের ট্রেনিং করে থাকেন। তারা চাইলেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আমি প্রবাসী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্টিফিকেট ডাউনলোড
আমি প্রবাসী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমি প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চবারে ‘Ami probashi’ লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন উপরের 3 মাইনাস অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন সেখানে থেকে PDO অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- Enrollment card download
- Certificate download
এখন আপনি Certificate download অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশনে আপনার পাসপোর্ট নম্বরটি বসিয়ে দিন এবং নিচের ছবি দেখে ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করে ‘Search’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে নিচে ‘Continue payment’ নামে একটি লেখা চলে আসবে।
এখন আপনি ‘Continue payment’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে পেমেন্ট গেটওয়ে চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি বিকাশ সিলেক্ট করলেন। তাহলে বিকাশ অপশনে ক্লিক করুন এবং নিচে টিক চিহ্ন দিয়ে PAY 100.00 অপশনে ক্লিক করুন।
এখন আপনার বিকাশ নম্বরটি বসিয়ে continue অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে ১০০ টাকার সাথে ২ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। তাহলে আপনার দেওয়া নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। সেটি বসিয়ে Continue অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বরটি বসিয়ে আবারো continue অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে ১০২ টাকা কেটে নেওয়া হবে এবং payment has been successfully completed. লেখা চলে আসবে। এখানে আপনি আবারো আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করে search অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সার্টিফিকেটটি চলে আসবে এবং সেখানে থেকে ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে আপনার আমি প্রবাসী সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করতে পারবেন।