বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম, কিভাবে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠাবেন, সৌদি থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম, মালয়েশিয়া থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম, দুবাই থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম সহ যেকোনো রাষ্ট্র থেকে কিভাবে সহজে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠান
আপনারা যারা নতুন বিদেশ গিয়েছেন অথবা বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা যে কোন প্রয়োজনে কিভাবে দেশে থাকা প্রিয়জনদের বিকাশে বিদেশে থেকে বিকাশে টাকা পাঠাবেন এবং পাঠানো অর্থের প্রতি হাজারে ২৫৳ করে রেমিট্যান্স বোনাস পাবেন।
এছাড়াও প্রাপক হাজারে মাত্র ৭ টাকা Cash out খরচে রেমিটেন্স এর অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বেশ কয়েকটি উপায়ে আপনি চাইলে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। তারমধ্যে জনপ্রিয় কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।
বিকাশ পার্টনার পয়েন্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠান
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য বিদেশে বিকাশের বিভিন্ন অফিসিয়াল পার্টনার পয়েন্ট রয়েছে। সেখানে গিয়ে বিকাশ নাম্বার দিয়ে আপনার পছন্দের এমাউন্ট দেশে পাঠাতে পারবেন।
সাধারণত, বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য বর্তমানে 110 টিরও বেশি বিভিন্ন দেশে বিকাশের পার্টনার পয়েন্ট রয়েছে যেমন:
- সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)
- সৌদি আরব
- মালয়েশিয়া
- ওমান
- কুয়েত
- কাতার
- যুক্তরাষ্ট্র
- যুক্তরাজ্য
- ইতালি
- কানাডা
- দক্ষিণ কোরিয়া ও
- সিঙ্গাপুর ইত্যাদি।
রেমিট্যান্স পার্টনারের সাহায্য বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠান
আপনি চাইলে রেমিট্যান্স সার্ভিস প্রোভাইডার এর সাহায্যে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যেকোনো একটি বিকাশ রেমিট্যান্স সার্ভিস প্রোভাইডার বেছে নিতে হবে। যেমন:
- MoneyGram
- Western Union
- RIA
- WorldRemit
- TransferWise (Wise)
- Xoom (PayPal)
- ACE Money Transfer
- RocketRemit
- Small World ও
- bKash Remit app (কিছু দেশে উপলব্ধ)
বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশে টাকা পাঠান
বর্তমানে খুব সহজেই বিদেশ থেকেও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে বিদেশে বসে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে বিকাশ অ্যাপ এর রেমিট্যান্স অপশনে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে Western Union সিলেক্ট করে সঠিক তথ্য দিয়ে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যাবে।
বিদেশি ক্লায়েন্ট থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম
আপনি যদি বিদেশি ক্লায়েন্ট থেকে বিকাশে টাকা আনতে চান অথবা পরিচিত কারো মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আনতে চান তাহলে আপনি Payoneer অথবা Western Union ব্যবহার করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে Payoneer ব্যবহার করে বিকাশে টাকা নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করে “রেমিটেন্স” অপশনে প্রবেশ করে আপনার এনআইডি তথ্য দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন।
তাহলে আপনাকে Payoneer থেকে একটি ID দেওয়া হবে। এখন আপনি যদি আপনার নাম এবং আইডি নাম্বার ক্লাইন্টকে বা বিদেশে থাকা ব্যক্তিকে পাঠান। সে চাইলেই পেওনিয়ার থেকে খুব সহজে আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবে। তখন আপনি চাইলে আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে সে টাকা খুব সহজেই ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
একইভাবে আপনি চাইলে বিকাশ অ্যাপ থেকে রেমিটেন্স অপশনে প্রবেশ করে Western Union ব্যবহার করেও বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা নিতে পারবেন। তারপর সে টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য আপনার একটি অবৈধ পাসপোর্ট অথবা আইডি থাকতে হবে। তারপর প্রাপক ব্যক্তির পূর্ণ নাম (এনআইডি অনুযায়ী) এবং প্রাপকের 11 ডিজিট এর বিকাশ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে খুব সহজেই বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যাবে।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর গুরুত্বপূর্ণ নোট:
প্রতিমাসে বৈধ আয়ের উৎস দেখিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। গ্রাহক এবং প্রাপক উভয়ের বিকাশ একাউন্ট সক্রিয় থাকতে হবে। অবশ্যই লেনদেনের সময় রেমিটেন্স হিসেবে টাকা পাঠাতে হবে।
বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারের নিয়ম
আপনি যদি বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে চান। তাহলে প্রথমে আপনার সিম কে রোমিং করতে হবে। যদি আপনার সিম রোমিং করা থাকে তাহলে আপনি পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে বিকাশ ব্যবহার করতে পারবেন।
রোমিং হচ্ছে আপনার সিমকে বিদেশি সিমের সাথে কানেক্ট করা। এতে করে যে সুবিধা হবে আপনি আপনার সিম বিদেশ থেকেও ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার সিম ব্যবহার করে আপনি চাইলে কল রিসিভ করা, এসএমএস পাঠানো, কোড রিসিভ করা সহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
সিম রোমিং করার নিয়ম
বাংলাদেশের সব সিমের রোমিং সিস্টেম রয়েছে। আপনি চাইলে সিমের কল সেন্টারে ফোন করে রোমিং সিস্টেম জেনে নিতে পারেন। অথবা ইউটিউবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে মাই রবি অ্যাপ থেকে খুব সহজেই রবি সিমের রোমিং সিস্টেম চালু করে নিতে পারবেন।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে দেশ অথবা দেশের বাইরে থেকে মাই রবি অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। ( বিদেশ থেকে হলে পূর্বে লগইন করা থাকতে হবে)। মাই রবি অ্যাপে সফলভাবে প্রবেশের পর ডান পাশের উপরে থ্রি লাইনে ক্লিক করে রোমিং অপশনটি খুঁজে নিন।
তারপর রোমিং এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনি সেখানে একটি “চালু করুন” বাটন পাবেন। বাটনে ক্লিক করে আপনার একটি জিমেইল এড্রেস দিয়ে “এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে দুই ডলার রিচার্জ করতে বলা হবে।
এখন আপনি ২ টাইপ করে এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে কার্ডের অপশন চলে আসবে। এখন আপনার কাছে যদি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থেকে থাকে তাহলে সেটি দিয়ে দুই ডলার পেমেন্ট করুন। তাহলে আপনার রোমিং চালু হয়ে যাবে।
এখন আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে আপনার ফোনের ফ্লাইট মোড অন অফ করুন। অথবা মোবাইলকে একবার অন অফ করুন তাহলে আপনার রোমিং চালু হয়ে যাবে। এবং আপনার সিমে নেটওয়ার্ক পেয়ে যাবেন।
এখন আপনি যদি আবারও মাই রবি অ্যাপের রোমিং অপশনের প্রবেশ করেন। তাহলে সেখানে নিচে অনেকগুলো দেশ নাম এবং ডাটা প্যাক দেখতে পাবেন। এখন সেখান থেকে যেকোনো একটি ডাটা প্যাক কিনে নিন। তাহলে আপনি সেই ডাটা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সিমটি বাংলাদেশের মত করে ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার কাছে যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড না থাকে তাহলে শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন। তারপর সে কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন।