পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার নিকটস্থ থানায় GD করে জিডির কপিটি সংগ্রহ করুন। তারপর services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে আপনার তথ্য দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে 230 টাকা ফি পরিশোধ করুন এবং আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড হারানোর জিডির কপিটি আপলোড করে reissue জন্য আবেদন করুন। আবেদনটি অনুমোদন হলে পুনরায় ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনার পুরনো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
পুরনো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে services.nidw.gov.bd লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনাকে সরাসরি “বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন” ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যথায়, আপনি পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কিভাবে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য “রেজিস্ট্রেশন করুন” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য একটি ফরম ওপেন হবে।
তাহলে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে লিখুন। তারপর নিচের ক্যাপচা কোডটি বসিয়ে “সাবমিট করুন” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আবারোও একটি নতুন ফরম ওপেন হবে। এখন আপনাকে সেখানে থাকা অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
আরোও পড়ুন: নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন যেভাবে ২০২৫ | Download Voter
এখন প্রথমে বর্তমান ঠিকানা অপশন দেখতে পাবেন। তাহলে আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা এবং উপজেলাটি সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে থেকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা লিখুন। এখন বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা বসানো হয়ে গেলে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
এখন পরবর্তী অপশনে একটি মোবাইল নম্বর দেখতে পাবেন। এখন আপনি যদি সেখানে থাকা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে নতুন মোবাইল নম্বর বসাতে চান। তাহলে “মোবাইল পরিবর্তন” অপশনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করুন। আর আপনি যদি মোবাইল নম্বর পরিবর্তন না করতে চান। তাহলে “বার্তা পাঠান” অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ৬ ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড অথবা ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি কোডটি বসিয়ে ফেস স্ক্যান করে আপনার একাউন্টের প্রবেশ করুন। তবে ফেস স্ক্যান করার জন্য আপনাকে NID Wallet অ্যাপসটি ব্যবহার করে ফেস স্ক্যান করতে হবে। তাহলে সেখানে থাকা বাকি স্টেপগুলো ফলো করে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। এখন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার একাউন্টের লগইন করতে হবে। তাহলে আপনার একাউন্টের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট লগইন করুন। এখন একাউন্টের হোম পেইজে প্রবেশ করলে সেখানে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- প্রোফাইল
- রিইস্যু
- পাসওয়ার্ড পরিবর্তন এবং
- স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস
সাধারণত আপনি যদি এনআইডি কার্ডের আবেদন করেন এবং আপনার এন আইডি কার্ডটি তৈরি হয়ে যায়। তাহলে আপনাকে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয়। তাছাড়াও আপনি চাইলে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য দেখতে পাবেন।
উদাহরণ স্বরূপ, আপনার এনআইডি কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছে। এখন আপনি আবারো আপনার এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এখন আপনার এনআইডি কার্ডটি এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার একাউন্টের প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করে সেটি দেখতে পারবেন। তাহলে প্রোফাইল অপশনে প্রবেশ করলে সেখানে আপনার “সর্বশেষ রিইস্যু এপ্লিকেশনটি অনুমোদিত হয়েছে” লেখা দেখতে পাবেন।
এখন আপনি আপনার এন আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন। তাহলে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আবারোও ব্যাক করে আপনার অ্যাকাউন্টের হোম পেইজে প্রবেশ করুন। তারপর নিচে থেকে “ডাউনলোড” অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে অটোমেটিক আপনার ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
আর আপনি যদি আপনার এন আইডি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেন। তাহলে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। এখন আপনি যদি ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করেন। তাহলে সেখানে পূর্নমুদনের জন্য আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে লেখা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনাকে পূর্নমুদনের জন্য আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে।
এখন আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি যদি হারিয়ে যায়। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম থানায় গিয়ে জিপি করতে হবে। তারপর services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রিইস্যু অপশনে ক্লিক করে একটি অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। যখনি আপনার পুরনো ভোটার আইডি কার্ডটি এপ্রুভ হয়ে যাবে। তখন আপনার মোবাইল এসএমএস চলে আসবে।
আরোও পড়ুন: ফর্ম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক ও Download করুন ২০২৫
এখন আপনি services nidw ওয়েবসাইটে থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। তাহলে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন। তারপর হোম পেইজে থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখন আপনি যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সঠিক নিয়ম
আপনি যদি আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান। তাহলে আপনাকে চারটি ধাঁপ অতিক্রম করতে হবে। যেমন:
- ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে এই মর্মে নিকটস্থ থানায় একটি জিডি দায়ের করুন।
- তারপর, Services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে Account রেজিস্ট্রেশন করুন।
- এখন, ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যুর জন্য আবেদন করুন।
- আবেদন অনুমোদিত হলে আপনি পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করনীয়
আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি যদি হারিয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে হারানো ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য উল্লেখ পূর্বক সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে হবে। অথবা আপনি চাইলে অনলাইন থেকেও জিডি করতে পারবেন। মনে রাখবেন, থানায় কিংবা অনলাইনে জিডি করতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না।
জিডি করার পর দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আপনাকে একটি জিডি কপি দিবে। Services nidw ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে জিডি স্ক্যান কপি দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যুর জন্য আবেদন করুন।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয়। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট পেতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ!