২০২৫ সালে কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান সময়ে নানা কাজে আমাদের ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন ক্রেডিট কার্ড আমাদের জন্য ভালো হবে। এখন আপনি যদি আপনার জন্য বেস্ট ক্রেডিট কার্ড নিতে চান।

তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে আমার কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে থাকি। আর ব্যাংক অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অফার গুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। নিম্নে কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে।

ট্রানজেকশন এনুয়াল ফি ওয়েভার

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যে এমন কিছু ব্যাংক রয়েছে। যেগুলোর ট্রানজেকশন এনুয়াল ফি আপনি লেনদেনর মাধ্যমে ওয়েবার করতে পারবেন।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

আপনি যদি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেন এবং বাৎসরিক ১৫টি ট্রানজেকশন করেন। তাহলে আপনি বাৎসরিক অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্লাসিক থেকে সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। তবে কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। সেই সম্পর্কে সঠিক জানেন না।

আর আপনি যদি ইবিএল ক্রেডিট কার্ড নেন এবং ১৮ টি ট্রানজেকশন করেন। তাহলে বাৎসরিক অ্যানুয়েল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। সুতরাং, আপনি যদি বাৎসরিক ট্রানজেকশন ওয়েভার করতে চান। তাহলে আপনি মিউচুয়াল এবং ইবিএলের ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। অর্থাৎ, দ্বিতীয় বছর থেকে আপনি এনুয়াল ফি ট্রানজেকশন ওয়েভার করতে পারবেন।

ইউসিবি ক্রেডিট কার্ড

ইউসিবি ক্রেডিট কার্ড অর্থাৎ, কমার্শিয়াল ব্যাংকের যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। সেই ক্রেডিট কার্ডটি আপনি বাৎসরিক ১৮ টি ট্রানজেকশনে অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। তবে এর মধ্যে সবথেকে কম ট্রানজেকশনে অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে।

এনআরবি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আপনি ১৪ টি ট্রানজেকশনে এনুয়াল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। সুতরাং, আপনি যদি এনুয়াল ফি ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চান। তাহলে উপরিক্ত যেকোনো একটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। এখানে আপনি সবগুলো ক্রেডিট কার্ডে অ্যানুয়াল ফ্রী ছাড়াই ওয়েভার করতে পারবেন।

ফি এড মানির জন্য ক্রেডিট কার্ড

আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে ফ্রি এড মানি করতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি ক্রেডিট কার্ড থেকে বিকাশ, রকেট এবং নগদ ইত্যাদি পেমেন্ট গেটওয়ে টাকা আনতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফ্রি এড মানি করার জন্য অনেক ব্যাংকেই 1% এবং 1.5% অ্যামাউন্ট চার্জ নিয়ে থাকে।

আরোও পড়ুন: শুরু হলো নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ 2025 কিভাবে পাবেন আপনার কার্ড 

নিম্নে দেখানো হলো কোন কোন ব্যাংক থেকে বিকাশ ওয়ালেটে টাকা আনলে আপনাকে এক্সট্রা সার্জ দিতে হবে না। আজকের আলোচনার কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। তাহলে ফ্রি এড মানির জন্য সেরা হচ্ছে: ডাচ বাংলা ব্যাংক।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এতে করে আপনাকে আর অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করতে হবে না। তাছাড়াও আপনি ম্যাকডা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি অ্যাড মানি করতে পারবেন।

সাধারণত ম্যাকডা ব্যাংক থেকে এড মানি করলে অতিরিক্তের কোন চার্জ দিতে হবে না। ওয়ান ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি এড মানি করা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম যে বড় ব্যাংক গুলো রয়েছে। সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এড মানি করলে 1% কিংবা 1.5% চার্জ নিয়ে থাকে।

এখন আপনি যদি ফ্রি এড মানির জন্য ক্রেডিট কার্ড নিতে চান। তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ম্যাকডা ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। এই ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি এডমানি করা যায়।

শপের জন্য কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো হবে

শপিং এর জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং করতে চান। তাহলে আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ হবে ইবিএলের ডাইনোসর ক্লাব ক্রেডিট কার্ড। এই ক্রেডিট কার্ডটি ব্যবহার করে আপনি মিনা বাজার, আগোরা এবং স্বপ্নতে শপিং করেন।

তাহলে প্রতিটি পজ ট্রানজেকশনে 5% ডিসকাউন্ট পাবেন। যেটি প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট। এছাড়াও আপনি যদি আড়ং থেকে কোনো পন্য ক্রয় করেন। তাহলে প্রত্যেকটি ট্রানজেকশনে আপনি সর্বোচ্চ 10% কমিশন পাবেন।

যেটি প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাবেন। এখন আপনি যদি এসসিবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার যেকোনো গ্রোসারি শপে 8%, ফুয়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে 2%, হোটেল এবং ডাইনিং 5% এবং অন্যান্য লেনদেন ক্ষেত্রে 1% ডিসকাউন্ট পাবেন।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি MFS ট্রানজেকশন করেন। অর্থাৎ, বিকাশ, রকেট এবং নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে ট্রানজেকশন করেন। তাহলে আপনি কোন প্রকারের ক্যাশব্যাক পাবেন না। আপনি বিভিন্ন শপিং মল থেকে শপ করে প্রতি মাসে 1,200 টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক নিতে পারবেন।

লাউঞ্জ ব্যবহারে জন্য ক্রেডিট কার্ড

লাউঞ্জ ব্যবহারের জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। বর্তমান সময়ে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড নিয়ে থাকে। লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণ করার জন্য। সাধারণত আপনি যদি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লাউঞ্জ করেন। তাহলে আপনি 10টি ইন্টারন্যাশনাল ফি ব্যবহার করতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যদি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিগনেচার এবং ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড নিয়ে দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে চান। তাহলে বাৎসরিক সম্পূর্ণ ফ্রিতে ১০ টি ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ ভিজিট করতে পারবেন। তাছাড়াও টাইটেনিয়াম এবং প্লাটিনাম কার্ডে এমটিভি এয়ার লাউঞ্জে ইয়ার্লি আনলিমিটেড ভিজিট করতে পারবেন। কার্ড হোল্ডার নিজে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুজন শিশু নিতে পারবেন।

এখন আপনি যদি মিউচুয়াল ব্যাংকের টাইটেনিয়াম এবং প্লাটিনাম কার্ড হোল্ডার হোন। তাহলে এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন। আর আপনি যদি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। তাহলে বছরের চারটি ফি ভিজিট করতে পারবেন। শুধুমাত্র কার্ড হোল্ডার এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবে।

ইউসিবির সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাৎসরিক 12টি ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ করতে পারবেন। এছাড়াও ইউসিবির নিজস্ব এয়ারপোর্ট রয়েছে ইউসিবি ইম্পেরিয়াল। আর ইউসিবি ইম্পেরিয়ালের দুইটি লাউন্স রয়েছে। যেমন: ডোমেস্টিক লাউন্স এবং ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ।

এখন আপনি যদি গোল কার্ড ইউজার হোন। তাহলে কার্ড হোল্ডার ডোমেস্টিক লাউঞ্জে এক্সেস করতে পারবেন। আর ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জে কার্ড হোল্ডার এবং আরোও একজন এক্সেস করতে পারবেন। প্লাটিনাম কার্ড ডোমেস্টিক হোল্ডার এর ক্ষেত্রে কার্ড হোল্ডার নিজে এবং সাথে দুইজন গেস্ট নিয়ে যেতে পারবেন।

আর ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জের ক্ষেত্রে কার্ড হোল্ডার এবং সাথে ১ জন গেস্ট নিয়ে যেতে পারবেন। সিগনেচার কার্ড হোল্ডারের ক্ষেত্রে কার্ড হোল্ডার নিজে এবং সাথে তিনজন গেস্ট নিয়ে যেতে পারবে। আর আপনি যদি ইউটিউবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লাউঞ্জ করতে চান।

তাহলে কার্ড হোল্ডার নিজে এবং তিনজন নিয়ে যেতে পারবেন। এখন আপনি যদি লাউঞ্জ ব্যবহারের জন্য ক্রেডিট কার্ড নিতে চান। তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি ক্রেডিট কার্ড পছন্দ করতে পারবেন।

রিওয়ার্ড পয়েন্টের জন্য ক্রেডিট কার্ড

আপনি যদি রিওয়ার্ড পয়েন্টের জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে সেটা জানতে চান। তাহলে আপনার প্রথম চয়েজ হতে পারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড। কেননা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করে থাকে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড যেমন: সিগনেচার, গোল্ড, প্লাটিনাম এবং টাইটানিয়াম কার্ডে প্রতি ডলার বা ৫০ টাকা ট্রানজেকশনে এক রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করা হয়। আবার সিগনেচার বা ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ডে প্রতি ডলার বা ৫০ টাকা ট্রানজেকশনে দুই রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করে।

এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলো ৩ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। আপনি চাইলে এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলো দিয়ে আউটস্ট্যান্ডিং রিডিম করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ৩০ টাকা পর্যন্ত ধার হবে। আবার চাইলে গিফট কার্ডের মাধ্যমেও রিওয়ার্ড নিতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ৪০ টাকা ধার হবে। এছাড়াও হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট, কেনাকাটা বা লাউঞ্জে ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ধরা হবে ৫০ টাকা।

EBL ক্রেডিট কার্ড রিওয়ার্ড পয়েন্ট

আপনি যদি রিওয়ার্ড পয়েন্ট এর জন্য ইবিএল ক্লাসিক গোল্ড ক্রেডিট কার্ড নেন। তাহলে ১০ টাকা সমান ১ (এক) স্কাই পয়েন্ট পাবেন‌‌ এবং প্রতি ডলারে ১০ স্কাই পয়েন্ট পাবেন‌‌। এই স্কাই রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলো দিয়ে কার্ডের আউটস্ট্যান্ডিং রিডিম করা যাবে।

সেক্ষেত্রে প্রতি ১০,০০০ স্কাইপ পয়েন্ট ভ্যালু ২৫০ টাকা ধার হবে। আবার প্লাটিনাম বা অন্যান্য কার্ড হোল্ডারদের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে বা ৫০ টাকার বিনিময়ে ১ স্কাই কয়েন দেওয়া হবে।

City Bank ক্রেডিট কার্ড রিওয়ার্ড পয়েন্ট

আপনি যদি রিওয়ার্ড পয়েন্ট এর জন্য City Bank Mx ক্রেডিট কার্ড নেন। তাহলে প্রতি ডলারে বা ৫০ টাকায় এক কিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। প্লাটিনাম কার্ডে প্রতি ডলারে বা ৫০ টাকায় দুই কিওয়ার্ড পয়েন্ট পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

আরোও পড়ুন: কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো ২০২৫

তাছাড়াও আপনি যদি শুক্রবার এবং শনিবারে কোনো সুপার শপে শপিং করেন। তাহলে প্রতি ৫০ টাকার ১০ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। আর এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে সিটি ব্যাংকের ফি চার্জ ওয়েভার করতে পারবেন।

বিভিন্ন মার্চেন্ট ডিসকাউন্টের জন্য ক্রেডিট কার্ড

মার্চেন্ট ডিসকাউন্টের জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। আপনি যদি বিভিন্ন মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট এর জন্য ক্রেডিট কার্ড নিতে চান। যেমন: বিভিন্ন হোটেল, এয়ারপোর্ট, রেস্টুরেন্ট বা শপিং মল ইত্যাদিতে ডিসকাউন্টের জন্য ক্রেডিট কার্ড নিতে চান। তাহলে ইবিএল এবং সিটি ব্যাংকের এমএক্স কার্ড নিতে পারেন।

ডায়নামিক কারেন্সির জন্য ক্রেডিট কার্ড

ডায়নামিক কারেন্সির জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে। ডায়নামিক কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড বলতে বুঝানো হয়েছে: আপনি বাংলাদেশ থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন এবং বাংলাদেশি টাকায় ব্যবহার করছেন। এখন আপনি যদি আপনার প্রয়োজনে বিদেশে যান। তাহলে বিদেশ থেকে ওই দেশের কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি ডায়নামিক কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো দেশে গিয়ে সেই দেশের কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন। এখন আপনি যদি ডায়নামিক কারেন্সি জন্য কার্ড নিতে চান। তাহলে ব্রাক ব্যাংক কারেন্সি কার্ড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে এবং ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক সংক্রান্ত FAQ:

কোন ক্রেডিট কার্ডটি বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হবে সেই সম্পর্কে FAQ নিচে দেওয়া হলো:

  • প্রশ্ন: কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা বেশি?
  • উত্তর: সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা বেশি।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের রেটিং AAA রয়েছে?
  • উত্তর: বাংলাদেশের প্রাইম ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের রেটিং AAA রয়েছে।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংকের নাম কি?
  • উত্তর: বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংকের নাম হচ্ছে: ডাচ বাংলা ব্যাংক।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা কত?
  • উত্তর: বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা কত তা নির্ভর করবে ব্যাংকের উপর। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন সীমা দিয়ে থাকে। তবে সাধারণত বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ১০ হাজার ডলার থেকে ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোন ব্যাংকের সর্বোচ্চ সীমা জানার জন্য ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখুন অথবা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংক কোনটি ২০২৫ সাল?
  • উত্তর: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংক হচ্ছে: মিউচুয়াল ট্রান্স ব্যাংক।‌
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের Ab Bank রেটিং কত?
  • উত্তর: AA।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড স্টুডেন্টের জন্য ভালো?
  • উত্তর: বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের সরাসরি কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয় না। তবে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনার আয়ের প্রমাণপত্র এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশে ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা কী কী?
  • উত্তর: ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে তার মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি সুবিধা হচ্ছে: নগদে উত্তোলন, বিভিন্ন এয়ারপোর্ট লাঞ্চের সুবিধা এবং শপিং মলে ডিসকাউন্ট ইত্যাদি সুবিধা দিয়ে থাকে। এছাড়াও ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট বিভিন্ন কার্ডে প্লাটিনাম কার্ড, ভিসা ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড কার্ড এবং ভিসা ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিক কার্ডের সুবিধা দিয়ে থাকে।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের মিডল্যান্ড ব্যাংকের মালিক কে?
  • উত্তর: নিলুফার জাফর।
  • প্রশ্ন: বর্তমান ব্যাংক কার্ড কয় প্রকার?
  • উত্তর: সারাদেশে মোট ৮ ধরনের ব্যাংক কার্ড রয়েছে। যেমন: মেটাল কার্ড, গিফট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড কার্ড, উডেন কার্ড, ভার্চ্যুয়াল কার্ড, মাল্টি-ফাংশনাল এবং ক্রেডিট কার্ড।

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading