বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, Bkash Savings একাউন্ট সুবিধা অসুবিধা, বিকাশ সেভিংস মুনাফার হার, বিকাশ সেভিংস কতটুকু নিরাপদ, বিকাশ সেভিংস টাকা তোলার নিয়ম, Bkash Savings বাতিল এবং বিকাশ সেভিংস একাউন্ট বাতিল করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল ফোনের ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর আপনার মোবাইলে থাকা Google play store ওপেন করুন এবং সার্চ অপশনে Bkash লিখে সার্চ করুন। তারপর সার্চ রেজাল্টে আসা বিকাশ অ্যাপসটি ইন্সটল করুন। এখন বিকাশ অ্যাপসটি সম্পূর্ণ ইনস্টল হওয়ার পরে অ্যাপসটিতে প্রবেশ করুন এবং একটি একাউন্ট তৈরি করুন।
এখন বিকাশ একাউন্টের হোম পেইজে প্রবেশ করলে সেখানে অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন: সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট, অ্যাড মানি, পে-বিল, সেভিংস এবং লোন ইত্যাদি। বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য “সেভিংস” অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে সেখানে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হচ্ছে: “নতুন সেভিংস খুলুন” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখন পরবর্তী অপশনে সেভিংসের ধরন বেছে নিন এবং সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- ডিপিএস (মুনাফাভিত্তিক) এবং
- ইসলামীক ডিপিএস (শরিয়াহভিত্তিক)
এখন আপনি আপনার ডিপিএসের ধরনটি নির্বাচন করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি মুনাফা ভিত্তিক DPS খুলতে চাচ্ছেন। তাহলে ডিপিএস (মুনাফাভিত্তিক) আপশনটি সিলেক্ট করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনি কেন DPS একাউন্ট খুলতে চান? এবং তার নিচে অনেক গুলো অপশন চলে আসবে। যেমন: উদ্দেশ্য নিজে সেট করুন, জরুরী তাহবিল, ব্যবসা বিনিময়ে, ভবিষ্যৎ প্রয়োজন এবং ইলেকট্রনিক্স কেনা ইত্যাদি।
তাহলে আপনি কেন DPS খুলতে চাচ্ছেন। সেটি সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি ভবিষ্যৎ প্রয়োজন সিলেক্ট করলেন। এখন পরবর্তী অপশন থেকে আপনার DPS মেয়াদ, ডিপিএস এর ধরন এবং পরিমাণ সিলেক্ট করুন। এখন সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে “এগিয়ে যান” অপশনের পাশে থেকে তীর আইকনে ক্লিক করুন।
আরোও পড়ুন: ৩০ হাজার টাকা বিকাশ পে-লেটার লোন নেওয়ার উপায়
এখন পরবর্তী অপশনে কোন কোন প্রতিষ্ঠান Bkash Savings একাউন্ট খুলতে দিচ্ছে। সেই সকল প্রতিষ্ঠানের নাম দেখতে পাবেন। যেমন: IDLC Finance PLC, BRAC Bank PLC এবং Dhaka bank PLC । মূলত, এই তিনটি ব্যাংকে আপনি DPS খুলতে পারবেন। এখন প্রত্যেকটি ব্যাংকের পাশে আপনি সেই ব্যাংকের মুনাফা দেখতে পাবেন।
এখন আপনি কোন ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে চাচ্ছেন। সেই ব্যাংকটি সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে “পূর্ববর্তী কোনো নমিনি ইনফরমেশন পাওয়া যায়নি” অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হচ্ছে: “নতুন নমিনি যোগ করুন” অপশনে ক্লিক করে আপনার একাউন্টের নমিনির তথ্য উপযুক্ত করুন।
এখন নমিনি যুক্ত করার জন্য নতুন নমিনি যোগ করুন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন। এখন প্রথমেই আপনার নমিনির এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখটি লিখুন। তারপর নিচে থেকে নমিনির সম্পর্ক সিলেক্ট করে “নিশ্চিত করুন” অপশনের পাশে থেকে তীর আয়কনে ক্লিক করুন।
আরোও পড়ুন: লোন অ্যাপ থেকে কাগজপত্র ছাড়াই ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত loan নিন।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনার জমার পরিমাণ, সম্ভাব্য মুনাফা হার, ম্যাচিউরিটির তারিখ, জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ এবং অটো টাকা কেটে নেওয়ার দিন দেখতে পাবেন। এখন সকল অপশন সঠিক থাকলে নিচে থেকে “এগিয়ে যান” অপশনের পাশে থেকে তীর আইকনে ক্লিক করুন।
এখন পরবর্তী অপশন থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বারটি বসিয়ে দিন এবং তীর চিহ্নে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশন থেকে “সেভিংস করতে চ্যাপ করে ধরে রাখুন” অপশনে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। এখন পরবর্তী অপশনে “আপনার সেভিংস রিকুয়েস্ট করা হয়েছে” লেখাটি দেখতে পাবেন। তাহলে আপনার বিকাশে ডিপিএস করা সম্পূর্ণ হয়েছে।
এখন আপনাকে নির্ধারিত তারিখে সমপরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে অথবা আপনি চাইলে নির্ধারিত তারিখে আপনার একাউন্টে টাকা সমপরিমাণ টাকা রাখলে অটোমেটিক আপনার একাউন্ট থেকে DPS টাকা কেটে দেওয়া হবে।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
আপনি যদি Bkash Savings একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে অবশ্যই নিম্নের ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে। যেমন:
- আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা এমন একটি সক্রিয় বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে
- আপনি যে জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করেছেন। সেই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে এবং
- বিকাশ অ্যাপস থেকেই সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
- বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে Bkash Savings একাউন্ট খুলতে পারবেন
- প্রতি মাসে মাত্র ৫০ টাকা জমা দিয়েও আপনি সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন
- Bkash Savings একাউন্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদের শেষে ব্যাংকের মতোই লাভ প্রদান করা হয়। যেমন: 7% থেকে 10% পর্যন্ত
- সেভিংস একাউন্টটি ব্যাংকের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হওয়ার কারণেই নিরাপদে লেনদেন করা যায়
- আপনি চাইলে প্রতিমাসে অটোডেবিট করে Bkash Savings চালু রাখতে পারবেন এবং
- Bkash Savings একাউন্ট খোলার অথবা চালানোর জন্য আপনাকে আলাদা কোনো চার্জ প্রদান করতে হবে না
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট অসুবিধা
- Bkash Savings একাউন্ট এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে আপনি টাকা তুলতে পারবেন না। যেমন: ১ এবং ২ বছর ইত্যাদি
- Bkash Savings একাউন্ট ব্যবহার করতে বিকাশ অ্যাপস প্রয়োজন হয় এবং ইন্টারনেট ছাড়া আপনি বিকাশ সেভিংস একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না
- Bkash Savings একাউন্টের ক্ষেত্রে সব সময় একই লাভের পরিমাণ নামও হতে পারে এবং
- জরুরী প্রয়োজনে সেভিংস থেকে টাকা তোলা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সময় পরে আপনাকে সেভিংস থেকে টাকা তুলতে হবে
বিকাশ সেভিংস মুনাফার হার
Bkash Savings একাউন্টের মুনাফার হার নির্ভর করে আপনার আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সেভিংস স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। যেমন:
- আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটড ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক এবং
- ব্র্যাক ব্যাংক
সাধারণত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মুনাফার হার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথেই মুনাফার হারও পরিবর্তন হতে থাকে। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটড ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিকাশ সেভিংস একাউন্টের বাৎসরিক মুনাফার হার প্রায় 9 শতাংশ হতে পারে। আপনি যদি সঠিক মুনাফার হার জানতে চান। তাহলে Bkash অ্যাপের মাধ্যমে সেভিংস অপশন থেকে বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাের মুনাফার হার জানতে পারবেন।
আপনার সেভিংসের মেয়াদ শেষে হওয়ার পরে আপনার প্রাপ্ত মুনাফার উপর নির্ধারণ করে সরকার উৎস প্রযোজ্য হবে। আপনার যদি টিন সার্টিফিকেট থাকে। তাহলে আপনার প্রাপ্ত এমাউন্ট থেকে 10% কর কেটে নেওয়া হবে। অন্যথায়, আপনার ক্ষেত্রে 15% কর প্রযোজ্য হবে।
- আপনার সেভিংস একাউন্টের মেয়াদ হলে মুনাফাসহ সম্পূর্ণ টাকা ক্যাশ আউট করতে এক্সট্রা কোনো চার্জ প্রদান করতে হবে না। আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ক্যাশ আউট করতে পারবেন
- আপনি চাইলে সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং
- আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে ঘরে বসে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন
বিকাশ সেভিংস কতটুকু নিরাপদ
Bkash Savings একাউন্ট খুবই নিরাপদ। কারণ এটি বিশ্বস্ত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলিত হয়ে বিকাশ সেভিং একাউন্ট পরিচালিত হয়। গ্রাহকরা কোন প্রকারের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই নিঃসন্দেহে Bkash Savings একাউন্টে টাকা লেনদেন করতে পারবে।
কেন বিকাশ সেভিংস নিরাপদ
- Bkash Savings একাউন্ট হলো: লাইসেন্স প্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাধারণত বিকাশ সেভিংস একাউন্ট আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক পরিচালিত করে। যে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত
- Bkash Savings-এর টাকা বিকাশ একাউন্টে থাকে না বরং সেটি ব্যাংকে জমা হয়। অর্থাৎ, বিকাশ সেটিংস একাউন্ট সম্পূর্ণ নিরাপদ
- সেভিংস একাউন্টের মেয়াদ শেষে মুনাফা এবং মূলধন সরাসরি আপনার বিকাশ একাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে
- Bkash অ্যাপে আবেদনকারীর পিন, ফেস আইডি এবং Fingerprint থাকার কারণে আপনার একাউন্ট হ্যাক কিংবা অপব্যবহারের ঝুঁকি কম হয় এবং
- বিকাশ সেভিংস একাউন্টে আপনি চাইলে বীমা ও করতে পারবেন। সাধারণত জীবনবীমা কিছু আলাদা সুবিধা রয়েছে। যটি Extra security হয়ে থাকে
বিশেষ সতর্কতা:
- কারোর সঙ্গে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার শেয়ার করবেন না
- আপনার বিকাশ অ্যাপ এ অটোমেটিক লগইন বন্ধ রাখুন (আপনার ফোন হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হয়ে গেলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন) এবং
- আপনার কাছে ফোন অথবা মেসেজে করে কেউ বিকাশ সেভিংস একাউন্টের কথা জিজ্ঞেস করলে বলবেন না। কারণ বিকাশ কর্তৃপক্ষ কখনোই আপনার একাউন্টের পিন নাম্বার চাইবে না
বিকাশ সেভিংস টাকা তোলার নিয়ম
Bkash Savings থেকে টাকা উত্তোলন নির্ভর করে আপনার একাউন্টের মেয়াদের উপর। আপনার বিকাশ ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হলেই আপনি খুব সহজেই Bkash Savings থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সাধারণত আপনার সেভিংস একাউন্ট এর মেয়াদ শেষ হলে আপনার মূলধন এবং মুনাফা আপনার বিকাশ একাউন্টে যুক্ত হবে।
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করুন ২০২৫
সেখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এতে আপনাকে এক্সট্রা কোন চার্জ প্রদান করতে হবে না। আপনার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অথবা ব্রাক এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বিকাশ সেভিংস বাতিল করার নিয়ম
আপনি যদি Bkash Savings একাউন্ট বাতিল করতে চান। তাহলে আপনাকে নিম্নের ধাপগুলো অতিক্রম করতে হবে। যেমন:
- Bkash Savings বাতিল করার জন্য বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন
- হোম পেজ থেকে “সেটিংস” অপশনে ক্লিক করুন
- আপনার চালু থাকা সেভিংস একাউন্টটি সিলেক্ট করুন
- তারপর এনক্যাশমেন্ট অথবা সেভিংস বন্ধ করুন অপশনটিতে ট্যাপ করে ধরে রাখুন
- নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে নিশ্চিত করুন এবং
- আপনার রিকোয়েস্টটি পেন্টিং-এ চলে যাবে এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনার সেভিংস একাউন্টে বাতিল হয়ে যাবে
বিকাশ সেভিংস বাতিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবলী:
- সাধারণত সেভিংস একাউন্ট খোলার পরে প্রথম তিন মাসের মধ্যে আপনি সেভিংস একাউন্ট বাতিল করতে পারবেন না
- আপনার সেভিংস একাউন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেভিংস একাউন্ট বাতিল করলে আপনি মুনাফা নাও পেতে পারেন এবং
- সেভিংস একাউন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেভিংস একাউন্ট বাতিল করলে আপনাকে কর অথবা এক্সসাইজ ডিউটি দিতে হতে পারে
বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার
আপনি আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনে বিকাশের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে আপনার সমস্যাটি সমাধান করতে পারবেন। যেমন:
- বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার: ১৬২৪৭
- বিকাশ লাইভ চ্যাট: bKash Live Chat এবং
- বিকাশ ই-মেইল: [email protected]
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বিকাশ সেভিংস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে ধন্যবাদ!