কিস্তিতে পণ্য কিনুন বিকাশ দিয়ে। বিকাশের পে লেটার অপশনের মাধ্যমে টাকা ছাড়াই পন্য কিনে মূল্য পরিশোধ করুন বিকাশে। তাছাড়াও আপনি যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে পন্য কিনবেন। সেই পরিমাণ অর্থ আপনি চাইলে ৭দিন, ৩ মাস কিংবা ৬ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টের পে লেটারের মাধ্যমে কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারবেন। কিভাবে পন্যটি অর্ডার করবেন এবং কিভাবে কিস্তিতে পরিশোধ করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে। তাই ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।
কিস্তিতে পণ্য কিনুন বিকাশ দিয়ে
বর্তমান সময়ে আপনি বিকাশের পে লেটার অপশনের মাধ্যমে কোনো জিনিস ক্রয় করে কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কিভাবে বিকাশের পে লেটার অপশনের মাধ্যমে পন্য ক্রয় করে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে হয়।
বিকাশ পে লেটার অপশনের মাধ্যমে কোনো পন্য অর্ডার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্ট প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে এমন একটি বিকাশের ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি সেখানে লক্ষ্য করলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- সেন্ড মানি
- মোবাইল রিচার্জ
- ক্যাশ আউট
- পেমেন্ট
- অ্যাড মানি
- পে বিল
- সেভিংস
- মাইক্রোফাইন্যাস্ন
- ইন্সুরেন্স
- বিকাশ টু ব্যাংক
- এডুকেশন ফি এবং
- লোন ইত্যাদি
এখন আপনি ‘পেমেন্ট’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে পেমেন্ট করার অপশন চলে আসবে। এখানে আপনি শুধুমাত্র পে লেটার অপশনটা বিকাশের মাধ্যমে পাবেন। অর্থাৎ, মার্চেন্ট নম্বরে আপনি পেমেন্ট করে এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন।
উদাহরণ স্বরূপ, আপনি একটি জিনিস ক্রয় করলেন। কিন্তু আপনার কাছে এখন টাকা নেই। এখন আপনি চাইলে বিকাশের পে লেটার অপশনের মাধ্যমে পন্যের পেমেন্ট করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। কিভাবে বিকাশের পে লেটার অপশনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হয়।
বিকাশের পে লেটার মাধ্যমে পেমেন্ট
বিকাশের পে লেটার মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার বিকাশ একাউন্টে প্রবেশ করুন। তাহলে সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। এখন আপনি পেমেন্ট অপশনটিতে ক্লিক করুন তারপর আপনি কোন নম্বরে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন। এখান থেকে সেই নম্বরটি সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনি নিচে ‘উৎস বেছে নিন’ অপশনের নিচে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- বিকাশ
- ভিসা কার্ড এবং
- পে-লেটার
এখন আপনি চাইলে উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে পেমেন্ট করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি পে লেটারের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন। তাহলে পে লেটার অপশনটি সিলেক্ট করুন।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনি যে পরিমাণ টাকা দিয়ে পন্যটি ক্রয় করেছেন। এখানে সেই পরিমাণ টাকার একাউন্টে লিখুন এবং এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এমন একটি নতুন পেইজ ওপেন হবে।
এখন আপনি ‘পে লেটার প্ল্যান বেছে নিন’ অপশনের নিচে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- 0% ইন্টারেস্ট 7 দিনে পরিশোধ_ 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধ কোনো ইন্টারেস্ট নেই এবং
- 6 মাসের পরিশোধ_ এখন 20% দিন, বাকিটা 6 মাসে পরিশোধ করুন।
এখানে আপনাকে প্লান সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি যদি 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পেমেন্ট পরিশোধ করেন। তাহলে আপনাকে কোনো ইন্টারেস্ট দিতে হবে না। আর আপনি যদি ৬ মাসের কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে চান।
তাহলে এখন আপনাকে কিছু টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। যেমন: আপনি যদি 6 মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করেন। তাহলে এখন আপনাকে 200 টাকা পেমেন্ট করতে হবে এবং 6 মাসের ভিতরে বাকি টাকা ইন্স্টলমেন্টের পরিশোধ করতে হবে।
তার জন্য আপনাকে 9% ইন্টারেস্ট দিতে হবে। তাছাড়াও আপনি ‘এরোকি’ অপশনে ক্লিক করে দেখতে পাবেন। আপনাকে কত টাকা কত তারিখে পরিশোধ করতে হবে।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা 2025
তাছাড়াও আপনি ‘পে লেটার প্ল্যান বেছে নিন’ অপশনের নিচে ‘ব্যবহারযোগ্য পে লেটার লিমিট’ অপশন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, আপনি সবোর্চ্চ কত টাকা পে লেটারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন সেটি দেখতে পাবেন। তাছাড়াও আপনি পে লেটার থেকে সমপরিমাণ টাকার পণ্য ক্রয় করে পেমেন্ট করতে পারবেন এবং কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
সাধারণত, এই প্রসেসটি বিকাশ কোম্পানি থেকে করা হয়েছে এবং সিটি ব্যাংক লোন প্রদান করছে। সিটি ব্যাংকের থ্রোতে বিকাশ কোম্পানি এই কার্যক্রমটি চালু করেছে। এখন পে লেটার নেওয়া জন্য বিকাশের কিছু শর্তাবলী রয়েছে। তাহলে অবশ্যই আপনি শর্তাবলী গুলো ভালোভাবে পড়ুন। কারণ কোন শর্তবলী পড়া ছাড়াই লোন নেওয়া উচিত নয়।
পে লেটার অপশনের মাধ্যমে কি সবাই পেমেন্ট করতে পারবে?
আপনি যদি পে লেটার ফিচার উপভোগ করতে চান। তাহলে আপনাকে বিকাশ থেকে বেশি বেশি টাকা লেনদেন করতে হবে এবং আপনার বিকাশ একাউন্টটি পূর্ণাঙ্গ ভেরিফাই হতে হবে। অর্থাৎ, আপনার বিকাশ একাউন্টের কেওয়াইসি সম্পন্ন থাকতে হবে।
আপনি যদি কেওয়াইসি সম্পন্ন করে রাখেন এবং সেই সাথে বিকাশে বেশি বেশি পে-বিল করেন, মোবাইল রিসার্চ করেন এবং বেশি বেশি টাকার লেনদেন করেন। তাহলে আপনার ব্যবহার করা অ্যামাউন্টেড উপরে ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট দেওয়া হবে।
যেটি আপনি চাইলে লোন হিসেবে নিতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে আমাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন এবং সেই টাকাটি ইন্স্টলমেন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পে লেটার মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হয়।
পে লেটার মাধ্যমে পেমেন্ট করার নিয়ম
বিকাশ থেকে পে লেটারের মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টের প্রবেশ করুন এবং পেমেন্ট অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনি কোন নম্বরটিতে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন। সেই নম্বরটি সিলেক্ট করুন এবং এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনি কত টাকা পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেটি লিখে নিচে থেকে ‘এগিয়ে যান’ লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে ‘পে লেটার প্ল্যান বেছে নিন’ নামে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখন আপনাকে পে লেটার প্ল্যানটি সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে অপশন সিলেক্ট করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি 7দিনের মধ্যে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন। তাহলে ‘0% ইন্টারেস্ট 7দিনে পরিশোধ_ 7দিনের মধ্যে সম্পুর্ন পরিশোধ কোনো ইন্টারেস্ট নেই’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন। এখন আপনি এগিয়ে যান লেখাটিতে ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী অপশনে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বরটি বসিয়ে ‘পিন কনফার্ম করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার পেমেন্টের সম্পন্ন হবে এবং পরবর্তীতে আপনি শর্তসাপেক্ষে সেই টাকাটি পরিশোধ করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: TikTok থেকে ইনকাম করার উপায় ২০২৫
এখন আপনি পে লেটার অপশনের মাধ্যমে পেমেন্ট করে সেটি লোন অপশন থেকে চেক করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বিকাশ লোন অপশন থেকে পে লেটার টাকা চেক করতে হয়।
লোন অপশন থেকে টাকা চেক
লোন অপশন থেকে টাকা চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার বিকাশ একাউন্টে প্রবেশ করুন। তাহলে সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন এখন আপনি লোন অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনি যে লোন নিয়েছেন। সেটি দেখতে পাবেন। তাছাড়াও আপনার পরবর্তী কিস্তি কত তারিখে পরিশোধ করতে হবে এবং কত টাকা পরিশোধ করতে হবে সেটি দেখতে পাবেন। এখন আপনি নিচে ‘লোনের বিবরণী’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে যে আপনি পে লেটার মাধ্যমে কত টাকা লোন নিয়েছেন ইত্যাদি ডিটেলস দেখতে পাবেন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি 6মাসের ইন্স্টলমেন্ট টাকা নিয়েছেন।
এখন আপনি চাচ্ছেন 2 মাসের ইন্স্টলমেন্ট পেমেন্টটি পরিশোধ করতে অথবা কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি টাকাটি পরিশোধ করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি এখান থেকে সেটিও করতে পারবেন। এখন লোনটি পরিশোধের করার জন্য ‘লোন পরিশোধ করুন’ লেখাটিতে ক্লিক করুন।
তারপর পরবর্তী ধাপে ‘পরিশোধ করতে এগিয়ে যান’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। এখন আপনার বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালেন্স থাকতে হবে। এখন পরবর্তী ধাপে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বরটি বসিয়ে দিন এবং কনফার্ম অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর পরবর্তী ধাপ থেকে ‘লোন পরিশোধ করতে ট্যাগ করে ধরে রাখুন’ অপশনে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। তাহলে আপনার আপনার লোনের অ্যামাউন্টে পরিশোধ হয়ে যাবে। এখন আপনি যদি আপনার লোনটি পরিশোধ হয়েছে কিনা সেটা চেক করতে চান। তাহলে আবারোও বিকাশ অপশন থেকে লোন অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনার পে লেটার থেকে কোন প্রকার লোন নেই সেটি দেখতে পাবেন এবং সেখানে আপনার বর্তমান লোনের লিমিট দেখতে পাবেন।
এখন আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার নির্ধারিত লোন অ্যামাউন্টটি লোন হিসেবে নিতে পারবেন এবং সেই লোনটি পরবর্তীতে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে বিকাশ একাউন্ট থেকে পে লেটারের মাধ্যমে পণ্যের পেমেন্ট করতে হয়, কিভাবে লোন নেওয়া টাকাটি পরিশোধ করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।