অনলাইন ইনকাম (Online income) করার সেরা ১০টি বিশ্বস্ত উপায় সম্পর্কে জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান যুগের লাখ মানুষ অনলাইন ইনকাম (Online Income) করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।এখন আপনিও চাইলে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
বর্তমান যুগে আমরা সকলেই প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে থাকি। আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত নির্ভর করে থাকি। বলতে গেলে আমরা প্রযুক্তি ছাড়া চলতেই পারি না।
আর এই প্রযুক্তি এবং মানুষের অনলাইনে নির্ভর মানসিকতা ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক উন্মোচন করে তুলছে। আর মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারছেন। এখন আপনিও চাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যম রয়েছে। যেখানে কোনো প্রকারের ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব।
কিভাবে আপনি অনলাইন ইনকাম (Online Income) করবেন এবং সাথে ১০টি সেরা বিশ্বস্ত ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনি কোন প্রকারের ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন।
আজকের শেয়ার করা ১০ টি বিশ্বস্ত ইনকাম মাধ্যম থেকে যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করে আপনিও খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত আয় করুন
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার মাধ্যম সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ থেকে১০ বছর আগে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। তখন চাইলেও হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব হতো না।
কিন্তু ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার মাধ্যম সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন যে কেউ চাইলে কোন প্রকারের অভিজ্ঞতা এবং ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন। যারা শুধুমাত্র অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর মাধ্যমে নিজের পরিবার এবং ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। এই ডিজিটাল যুগে অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে সকলেই প্রযুক্তির ব্যবহার করে কাজ করছেন।
আগের যুগে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সরাসরি সেখানে যাওয়া লাগতো। কিন্তু প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে এখন হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়াও প্রযুক্তি আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। সুতরা, প্রযুক্তি ছাড়া আমরা কেউ চলতে পারিনা। এখন আমরা হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তাই প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।
আপনি শুরুতেই অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনি যদি অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে এবং সঠিক পথ অবলম্বন করে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে আপনি একটা সময় এসে অনলাইন থেকে অনায়াসে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন?
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই চাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। কিন্তু কিভাবে সঠিক নিয়মে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হয়। সেই সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অনলাইন থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারিনা। তবে বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার বিষয়টি নতুন হলেও সারা পৃথিবীতে অনেক আগেই এসেছে।
সত্যি কথা বলতে গেলে খুবই কম পেশা রয়েছে। যেখানে ঘরে বসে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে কোন প্রকারের ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইন ইনকাম (Online Income) করা যায়। অনলাইন থেকে ইনকাম করা এটি একটি উন্মুক্ত পেশা। এখানে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করে ইনকাম করা যায়।
এছাড়া ও অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার বিশেষ অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে না। এখানে আপনি দক্ষতা ছাড়াই বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার জন্য নিজের মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
এছাড়াও আপনার যদি অনলাইনে বিভিন্ন কাজের উপর দক্ষতা থাকে। তাহলে সেই কাজটি করে নিয়মিত অনলাইন থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিণী এবং চাকরিজীবী সকলেই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিজের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারবেন।
আমরা প্রতিদিন অসংখ্য সময় ফেসবুক, ইউটিউব, instagram এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাটিয়ে দিই। এখন সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন। এছাড়াও গৃহিণীদের ক্ষেত্রে সংসার জীবনের পাশাপাশি অনলাইন থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার বেশ জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা রয়েছে। যেটি নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে করা যায়। তাছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করা যায়।
অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার সেরা ১০টি উপায়
অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার অনেক উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে দক্ষতা ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান না। এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। সকলেই চাই ঘরে বসে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে।
কিন্তু কতজনই বা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক সোর্স রয়েছে। যেখানে ভালো এবং খারাপ দুটোই রয়েছে। তবে সেখান থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক পথটি বেছে নিতে হবে। তাহলেই আপনি অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন।
আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার সেরা 10 টি বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যেখান থেকে আপনি যেকোনো একটি অপশন বাছাই করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে থেকে সেরা ১০টি মাধ্যম হচ্ছে:
- ফ্রিলান্সিং করে আয় করার উপায় (Freelancing)
- ব্লগিং করে আয় করার সেরা উপায় (Blogging)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন (Affiliate Marketing)
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করুন (Website Development)
- ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করুন (Video)
- ড্রপশিপিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন (Dropshipping)
- অনলাইন রিসেলিং করে অর্থ উপার্জন করুন (Online Reselling)
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করুন (Sell Photos Online)
- ইউটিউবিং করে ইনকাম করুন (YouTubing) এবং
- অনলাইন সার্ভে কমপ্লিট করে ইনকাম করুন (Online Survey)
1. ফ্রিলান্সিং করে আয় করার উপায়
অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার সেরা মাধ্যম হচ্ছে: ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম। বর্তমান সময়ে মানুষ যে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করে তাঁর মাধ্যমে অন্যতম হচ্ছে: ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশে বেকারত্ব কমাতে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান সময়ে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। এখন আপনিও চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সাররা বাংলাদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আনছেন।
ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি উন্মুক্ত পেশা। যেখানে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করে ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সাররা নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লাইন্ট বা কোম্পানির সাথে অনলাইনে কাজ করে পারিশ্রমিক উপার্জন করে থাকে। যেটি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম অর্থাৎ, জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপর সেখানে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গীগ তৈরি করতে পাবলিশ করতে হবে। এখন বায়ারদের কাছে যদি আপনার কাজটি ভালো লাগে। তাহলে সেখান থেকে আপনাকে নক দিবে।
তবে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয় অথবা বিভিন্ন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকতে হবে। এখানে আপনি অভিজ্ঞতা ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন না। এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ব্লগিং
- ফটো এডিটিং
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন এবং
- অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এখান থেকে যেকোনো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করি 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তবে সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সারের কাজের উপর।
এছাড়াও আপনাদের সম্পূর্ণ অনলাইন জগতে নতুন হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় অথবা একাধিক বিষয়ের উপর কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
এরপর একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করার পরে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:
- Fiverr
- Upwork এবং
- Freelancer ইত্যাদি
তবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক সাইট রয়েছে। তাই সঠিক সাইটে কাজ করার জন্য অবশ্যই সেই সাইট সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতার প্রমানক হিসেবে আপনার প্রোফাইলে বিভিন্ন গীগ অথবা ডকুমেন্ট আপলোড করতে পারেন। এতে করে বায়াররা আপনাকে ট্রাস্টের মনে করবে এবং আপনি ভালো অর্ডার পাবেন। এভাবে করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন।
2. ব্লগিং করে আয় করার সেরা উপায়
ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর পুরাতন এবং কার্যকরী উপায়। ব্লগিং করে প্রতি মাসে ভালো এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইন টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং করে ইনকাম। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে। যারা শুধুমাত্র ব্লকিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ছে।
এখন আপনিও চাইলে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই সাইটে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নিরাপদে আয় করুন
এখন আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। তাহলে লেখালেখি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যে বিষয় অভিজ্ঞতা বা আগ্রহ রয়েছে। সেই বিষয়ের উপর ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন।
ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে এখানে কোন ইনভেস্ট করতে হবে না। আপনার ব্লগ সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার পছন্দ অনুযায়ী (niche) সিলেক্ট করে সেই (niche) এর লেখালেখি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:
- অনলাইন ইনকাম
- খেলাধুলা
- প্রযুক্তি
- নামাজ
- ভ্রমণ
- টেকনোলজি এবং
- গ্যাজেট ইত্যাদি।
এখানে আপনার ব্লগ সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনি চাইলে নিজে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানে লেখালেখি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি ফ্রি ডোমেন ব্যবহার করে ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনি যদি একটু উন্নত মানের ব্লগ সাইট তৈরি করতে চান। তাহলে ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করে একটি আকর্ষণীয় ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। তারপর সেখানে পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে পারবেন।
এখন আপনার ব্লগ সাইটের নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করুন। তাহলে একটা সময় আপনারা সাইটে ভিজিটর বাড়বে এবং এডসেন্স পাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। তখন আপনি গুগল এডসেন্স নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে করে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
যখন আপনার সাইটে 100$ ইনকাম হবে। তখন আপনি সরাসরি ব্যাংকের সাহায্যে উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে আপনি যত বেশি সময় ব্যয় করে লেখালেখি করবেন। এখান থেকে তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফল হবেন।
এছাড়াও আপনার ব্লগ সাইটে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো সম্পূর্ণ ইউনিক হতে হবে। এখানে আপনি যদি নকল আর্টিকেল বা অন্যের আর্টিকেল পাবলিশ করেন। তাহলে আপনার একাউন্টে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য সৎ ভাবে কাজ করুন। তাহলে সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
3. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো: অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্রান্ডের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করা এবং প্রচারের মাধ্যমে প্রোডাক্টটি বিক্রি করা বা গ্রাহকের বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কমিশন উপার্জন করা। এই প্রক্রিয়ায় অ্যাফিলিয়েটররা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ব্লগ সাইটের সেই পণ্যের লিংক শেয়ার করে থাকে।
কোন অডিয়েন্স যদি সেই পন্যটি কিনতে আগ্রহী প্রকাশ করে এবং পণ্যটি ক্রয় করে। তাহলে অ্যাফিলিয়েটররা সেই পণ্যটির উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি কমিশন পেয়ে থাকে। সেটিকে বলা হয় অ্যপেয়েয়েট মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বিপুল পরিমানে অর্থ উপার্জন করা যায়।
সারাবিশ্বের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ও দিন দিন অ্যাফিলিয়েটরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন আপনি চাইলে অনলাইন ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
এটি অনলাইন ইনকাম এর সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে হবে। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস বা নেটওয়ার্ক হলো:
- Awin
- ClickBank
- CJ Affiliate
- FlexOffers
- Impact
- Amazon Associates
- Rakuten Advertising
- ShareASale
- PartnerStack
- eBay Partner Network
- Daraz ইত্যাদি।
উপরোক্ত নেটওয়ার্ক গুলো ছাড়াও বর্তমানে সময়ে অনেক অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে যেসব নেটওয়ার্ক এ আপনি ফিজিক্যাল বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো অনলাইন ভিত্তিক পণ্য যেখানে বিভিন্ন ধরনের ই-বুক, অফার, সার্ভিস, টুলস ইত্যাদি পণ্য নিয়ে কাজ করা হয়। আর অন্যদিকে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বলতে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত প্রসাধনী, পোশাক পরিচ্ছেদ, ইলেকট্রনিক্স, গেজেট ইত্যাদি পণ্যকে বোঝানো হয়।
4. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করুন
অনলাইন ইনকাম (Online income) করার জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল যুগে এমন অনেক ওয়েব ডেভেলপার রয়েছে। যারা শুধুমাত্র ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে প্রতিমাসে ৫/১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে থাকে।
এখন আপনি চাইলে অনলাইনে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখন আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইন ইনকাম (Online income) করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানতে হবে।
আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম নগদ পেমেন্ট ২০২৫| ইনকামের সহজ সমাধান
আপনি যদি নিজেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ দক্ষ করে তুলতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে ডেভলপার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেগুলো অনলাইনের বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি নিজে নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
তাহলে ThemeForest, envato, TemplateMonster, Creative Market, Codester, and Creative Fabrica ইত্যাদি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে সেগুলা চওড়া দামে বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
5.ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করুন
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করা যায় বিষয়টি হয়তো অনেকেই জানেন না। আবার অনেকের কাছে অবিশ্বাস্যকর মনে হতে পারে। তবে বিষয়টি সত্য! আপনি ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম (Online income) করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনেক অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম (Online income) করা যায়। এখন আপনিও চাইলে কোন প্রকারের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও দেখে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক বুয়া এবং স্পাম অ্যাপস ও সাইট রয়েছে। যেখানে আপনি কাজ করবেন। কিন্তু পেমেন্ট পাবেন না। তাই অবশ্যই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য সেই অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
সাধারণত এই সকল ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা করবে। তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার। তবে আপনাকে একটি বিষয় সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেক কম ওয়েবসাইট রয়েছে। যারা ভিডিও দেখার মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে।
আপনি যদি অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাহলে আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম (Online income) করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে।
তবে অবশ্যই আপনি যদি সত্যিকার অর্থে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে সঠিক ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে হবে। তাহলেই আপনি সেখান থেকে শুধুমাত্র ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ভিডিও দেখে ইনকাম করার অনেক সাইট আছে। যার মধ্যে থেকে বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় কয়েকটি সাইট হচ্ছে:
- ওয়ার্ক আপ জব
- মাইক্রো জব
- সোহাগ বস্ক
- JumpTask এবং
- InboxDollars ইত্যাদি।
এসব সাইট গুলোতে কাজ করে আপনি নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে সেটি গিফট কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এখন আপনি যদি অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করতে চান। তাহলে এখান থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
6. ড্রপশিপিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল ড্রপশিপিং। নিজের কোন প্রতিষ্ঠান ছাড়াই পণ্য বিক্রি করে আয় করাকে ড্রপশিপিং বলা হয়।
অর্থাৎ, নিজস্ব কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়াই। আপনি চাইলে অন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। যা ড্রপশিপিং নামে পরিচিত।
ড্রপশিপিং শিপিং করে অনলাইন ইনকাম (online income) করার সবচেয়ে সুবিধা জনক দিক হল। বিনা পুঁজিতে ড্রপশিপিং শুরু করতে পারবেন এবং ক্ষতি ছাড়াই সব সময় লাভ করতে পারবেন।
যেভাবে ড্রপশিপিং শুরু করবেন
আপনি যদি ড্রপশিপিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে যে কোন একটি বিশ্বস্ত কোম্পানি বা প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে। যারা ড্রপশিপিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে।
তারপর আপনার নিজস্ব একটি অনলাইন স্টোর সে কোম্পানির জনপ্রিয় প্রোডাক্ট গুলো তালিকাভুক্ত করবেন। যখন কোন গ্রাহক আপনার অনলাইন স্টোর থেকে পণ্যটি পছন্দ করে তার তথ্য দিয়ে অর্ডার করবে। তখন আপনি সেই গ্রাহকের তথ্য আপনার ড্রপশিপিং এজেন্ট বা কোম্পানিকে ট্রান্সফার করবেন।
তখন তারা সরাসরি গ্রাহকের ঠিকানায় আপনার হয়ে পণ্যটি ডেলিভারি করে দেবে। এতে করে একদিকে আপনি লাভবান হবেন এবং অন্যদিকে পরোক্ষভাবে আপনি যে কোম্পানির হয়ে কাজ করছেন তাদের বিক্রয় বাড়বে। আর এভাবে ড্রপশিপিং অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
7. অনলাইন রিসেলিং করে অর্থ উপার্জন করুন
অনলাইন রিসেলিং বিজনেস হলো ড্রপশিপিং এর মতই একটি ব্যবসায়িক মডেল। যেখানে একজন ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠান বা বিক্রেতার কাছ থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয় না করেই। সে পণ্যকে মার্কেটিং করে অন্যদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া।
রিসেলিং ব্যবসার সবচেয়ে সুবিধা জনক দিক হলো এই পদ্ধতিতে পণ্য মজুদ বা তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। বরং অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা প্রস্তুতকারকের পণ্য বা সেবা অন্যদের কাছে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।
অনলাইন রিসেলিং কীভাবে শুরু করবেন:
- পণ্য নির্বাচন: প্রথমে আপনি যেই পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সেটি নির্বাচন করুন।
- পণ্য সংগ্রহ: তারপর আপনি চাইলে যে কোন কোম্পানিকে কন্টাক করে পণ্য ক্রয় করে তাদের কাছে রেখে দিতে বলবেন।
- মার্কেটিং ও বিক্রি: পূর্ণ সংগ্রহ করার পর এখন আপনার পণ্যগুলো সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে মার্কেটিং করুন।
- লাভ: তারপর, সে পণ্যগুলো নিজস্ব দামে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে লাভবান হোন।
সুবিধা: অনলাইন রিসেলিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি কম পূঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইন ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন এবং কম ঝুকি ও বেশি সুবিধাজনক লাভ করতে পারবেন।
8. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করুন
অনলাইন ইনকাম (Online income) করার জন্য ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক ওয়েবসাইটে রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
এখন আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে যে কোন ছবি তুলে সেটি অনলাইনের মাধ্যমে সেল করে উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন।
তাহলে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সেল করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য কোন ইনভেস্ট করতে হয় না। এখানে ছবি তুলে শুধুমাত্র অনলাইনে সেল করতে হয়।
তবে অবশ্যই ছবি বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম করার জন্য আপনার ছবিগুলো ক্লিয়ার হতে হবে। এখানে আপনি যদি অস্পষ্ট ছবি বিক্রি করেন। তাহলে সেগুলো কেউ কিনবে না এবং আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।
এখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে অনলাইনে আপলোড করবেন। এখন বায়ারদের পছন্দ অনুযায়ী আপনার কাছ থেকে ছবি ক্রয় করবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ছবি বিক্রি করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে।
যেখানে শুধুমাত্র ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। এখন আপনিও চাইলে এসব ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। যেমন:
- Shutterstock
- Payhip
- Adobe Stock
- iStock এবং
- 500Px ইত্যাদি।
এসব ওয়েবসাইটে আপনি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি আপলোড করতে পারবেন। ছবি আপলোড করার সময় অবশ্যই ছবির বর্ণনা, ক্যাটাগোরি ও টাইটেল লিখুন।
এতে করে কোন ব্যক্তি সেই রিলেটেড ছবি গুগলে সার্চ করলে আপনার আপলোড করা ছবিগুলো সেই ব্যক্তি সামনে চলে যাবে। এভাবে করে আপনি দ্রুত ভাইরাল হবেন এবং আপনার ছবি বিক্রি করে ইনকাম বাড়বে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। এখন আপনিও চাইলে অনলাইনে শুধুমাত্র ছবি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
9. ইউটিউবিং করে ইনকাম করুন
অনলাইন ইনকাম (Online income) করার সেরা এবং জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউবিং করে ইনকাম। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক ইউটিউবার রয়েছে। যারা প্রতি মাসে 40 থেকে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।
এখন আপনিও চাইলেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম (Online income) থেকে ইউটিউবিং করে ইনকাম করতে পারবেন। youtube এর করার জন্য আপনার কাছে যে একটি ক্যামেরা থাকতে হবে। তেমন কোনো কথা না।
আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ইউটিউবিং করে অনলাইন ইনকাম (Online income) করতে পারবেন।বর্তমান সময়ে অনেক ইউটিউবার রয়েছে। যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইউটিউবিং শুরু করেছে।
এরপর তারা সফল হওয়ার পরে দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে থাকে। এখন আপনিও চাইলে ইউটিউবিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি এমন কোন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করেন। যেটি অডিয়েন্স দেখতে আগ্রহী হয়ে থাকে। তাহলে আপনার ভিডিওগুলো দ্রুত ভাইরাল হবে এবং সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউবিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং এবং ভিডিও তৈরি করা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি একজন প্রফেশনাল ইউটিউবার এর মত ভিডিও তৈরি করে আপনার youtube চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন এবং সেখান থেকে দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন।
যখনই আপনার youtube চ্যানেলে সর্বনিম্ন ১০০০ সাবস্ক্রাইব এবং ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলে ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যখনি আপনার youtube চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাবেন। তখন থেকেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও youtube মনিটাইজেশনের পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে করে আপনি ইউটিউবে করে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
10. অনলাইনে সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করুন
অনলাইন ইনকাম করার আরও একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে অনলাইনে সার্ভে পূরণ করে ইনকাম। বর্তমান সময়ে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করা যায়। এখন আপনিও চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে শুধুমাত্র সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন।
সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করার জন্য কোন পেমেন্ট বা ইনভেস্ট করতে হবে না। এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে একাউন্ট তৈরি করে সার্ভের কাজ শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট একটি প্লাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তাহলে আপনি সেখান থেকে সার্ভে কমপ্লিট করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভের প্লাটফর্ম গুলো হচ্ছে:
- Pinecone
- Swagbucks
- Yougov এবং
- Research ইত্যাদি
এসব সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে সঠিক সাইট বেছে নিতে হবে। তাহলেই আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট
অনলাইন ইনকাম করে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। বর্তমানে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে সরাসরি বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। এখন আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। কোন কাজগুলো করে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায়।
- ওয়ার্ক আপ জব
- মাইক্রো জব সাইট
- কনটেন্ট রাইটিং করে
- অর্ডিনারি আইটি ও
- দারাজ
এসব সাইটগুলোতে কাজ করতে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায়। এখন আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করে করে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চান। তাহলে উপরোক্ত সাইট গুলোতে কাজ করতে পারেন এবং ইনকাম করার অর্থটি বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন। অনলাইন ইনকাম (Online Income) সেরা ১০টি বিশ্বস্ত উপায় সম্পর্কে। এরপর আরোও গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে অসংখ্য ধন্যবাদ!
Disclaimer: এই আর্টিকেলটি লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি। এখানে শেয়ার করা তথ্য শুধুমাত্র আপনাদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে। তাই কাজ করার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নিন। আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকুন। আপনার আর্থিক ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়।
অনলাইন ইনকাম এর আদ্যোপান্ত FAQ:
- প্রশ্ন: ঘরে বসে কোন কোন কাজ করে টাকা আয় করা যায়?
- উত্তর: আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
- প্রশ্ন: ফ্রি টাকা ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট?
- উত্তর: ওয়ার্ক আপ জব।
- প্রশ্ন: দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করার উপায়?
- উত্তর: আপনি যদি দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনি প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
- প্রশ্ন: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা নেওয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
- উত্তর: পেওনিয়ার।
- প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে?
- উত্তর: ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং ইত্যাদি।
- প্রশ্ন: ফ্রি টাকা ইনকাম নগদ পেমেন্ট সাইট কোনটি?
- উত্তর: Swagbucks ।
- প্রশ্ন: অনলাইন থেকে কি সত্যিকারের অর্থ উপার্জন করা যায়?
- উত্তর: হ্যাঁ! অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়।
- প্রশ্ন: প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কী কী?
- উত্তর: আপনি যদি প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ওয়েব ডিজাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি করতে পারবেন।
- প্রশ্ন: Free taka income Bkash payment site?
- উত্তর: work up Job ।
- প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে?
- উত্তর: হ্যাঁ! শুধু মাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন এবং প্রতিমাসে ভালো এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।