ফাইভার কী এবং অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইড

অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইড লাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয়ের অসংখ্য প্লাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোর একটি হলো: ফাইভার (Fiverr)।

এক নজরে দেখুন

এখানে সারা বিশ্বের ক্লায়েন্টরা (Buyer) তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা কিনে থাকেন। আর আপনি যদি ঘরে বসে কেবল একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ইনকাম করতে চান। তাহলে ফাইভার হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ফাইভার কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এবং অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইড। তাই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং নিজের অনলাইন আয়ের যাত্রা শুরু করুন আজ থেকেই।

ফাইভার (Fiverr) কী?

ফাইভার (Fiverr) হলো: এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যেখানে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টরা তাদের সেবা গ্রহণ করে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে, ফাইভারে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা সার্ভিস বিক্রি করতে পারে এবং সেখান থেকে ক্লাইন্টরা সেবাগুলো ক্রয় করেন।

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করা সম্ভব। এখন আপনি চাইলে আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন। যেমন:

  • অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • প্রোগ্রামিং
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ট্রান্সলেশন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং
  • ভিডিও এডিটিং সহ ইত্যাদি

ফাইভারের বিশেষত্ব হলো: এখানে কাজের দাম শুরু হয় মাত্র ৫ ডলার থেকে। তবে কাজের ধরন এবং সময়ের উপর নির্ভর করে কাজের দাম কম বেশি হতে পারে। ফাইভার থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম ফাইভারে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। তারপর প্রোফাইলে নিজের দক্ষতার বিবরণ দিতে হবে। সুতরাং, ফাইভার হলো: অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় এবং বিশ্বব্যাপী উপায়।

অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইড

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংকে কাজে লাগিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান। তাহলে Fiverr, Upwork অথবা অন্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে: ফাইভার (Fiverr)। আপনার মেধাকে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন।

ফাইভারের ইতিহাস এবং যাত্রাপথ

ফাইভার (Fiverr) প্ল্যাটফর্মটি 2010 সালে ইজরাইল দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফাইভারের প্রতিষ্ঠাতা হলেন দুইজন। মিখাইল রোজেনটাল এবং তল অমিদভ। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল অনলাইনছ এমন প্লাটফর্ম তৈরি করা। যেখানে পুরো বিশ্বের লোকেরা কাজ করতে পারবে। ‌

ফাইভারের ইনকাম ৫ ডলার থেকে শুরু করে আনুমানিক সর্বোচ্চ ১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফাইভার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই মার্কেটে জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ ফাইভার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ এবং জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। ছোট-ছোট গিগ তৈরি করে ফাইভার থেকে আয় করা সম্ভব।

আরোও পড়ুন: কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন সহজ টিপস ২০২৫

আপনি চাইলে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে ছোট ছোট গিগ তৈরি করে আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:

  • ভিডিও এডিটিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কনটেন্ট রাইটার
  • প্রোগ্রামিং এবং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি

সময়ের সাথে সাথে ফাইভার তাদের সেবা এবং প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বাড়িয়ে চলেছে। ফাইবারে বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেম এবং কাস্টমার সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ‌যার ফলে ফাইভার আরোও বিশ্বাস যোগ্য এবং জনপ্রিয় লাভ করছে।

২০১৯ সালে ফাইবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টকে পাবলিকলি লিস্টেড করা হয়। যেটি আরোও বিশ্ববাজারকে শক্তিশালী করে তুলতে। বর্তমান সময়ে ফাইভার বিশ্বের জনপ্রিয় এবং বৃহৎ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে কোটি কোটি মানুষ ফাইভার থেকে আয় করে থাকে।

ফাইভার জনপ্রিয় হওয়ার কারণ

অনলাইন থেকে আয়ের সেরা মাধ্যম ফাইভার থেকে আয়। বর্তমান সময়ে ফাইভার সারা বিশ্বের অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানে প্রতিদিন কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সাররা এবং বায়াররা কাজ করে থাকে। কিন্তু কী কারণে ফাইভার (Fiverr) এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

ফাইভারে সহজেই কাজ শুরু করার সুযোগ

ফাইভারে সহজে কাজ শুরু করার সুযোগ রয়েছে। এখানে সহজে এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতে একাউন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। ফাইভারে একাউন্ট তৈরি করার জন্য কোন পেমেন্ট করতে হবে না। এখানে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই নতুন ফ্রিল্যান্সাররা গিগ (Gig) তৈরি করে প্রোফাইলে আপলোড করে কাজ শুরু করতে পারবে।

সারা বিশ্বে ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কের সুবিধা

ফাইভার তাদের নেটওয়ার্কের সাথে ২০০+ দেশের ক্রেতা এবং বিক্রেতার নেটওয়ার্কের সুবিধা চালু করেছেন। ফাইভারে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। ‌যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পছন্দের কাজ করে নিয়মিত ফাইভার থেকে আয় করতে পারবে।

ফাইভারে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুবিধা

ফাইভারে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুবিধা রয়েছে। এখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা এবং বায়াররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবে। যেমন:

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • প্রোগ্রামিং
  • ট্রান্সলেশন এবং
  • ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি

ফাইভারে নিরাপদে পেমেন্ট সুবিধা

ফাইভার থেকে আয় করা ডলারটি নিরাপদে নেওয়ার বিশেষ সুবিধা রয়েছে। মূলত ফাইভারে কাজ শেষ হওয়ার পরে পেমেন্টটি ফাইভার হোল্ড করে রাখে।

তারপর ক্লাইন্টের কাজ জমা দেওয়ার পরে ক্লাইন্টের অনুমোদন দিলে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে জমা হয়। যার ফলে ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারের দুজনেই প্রতারণা ঝুঁকি কমে যায়।

ফাইবারে যেকোনো বাজেটে সেবা প্রদান করা হয়

ফাইভারে সর্বনিম্ন ৫ ডলারের কাজ দেওয়া যায়। ‌ তবে কাজের ধরন এবং জটিলতার উপর নির্ভর করে বাজেট নির্ধারণ করা হয়। যখনি আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ৫ ডলার হবে। ‌তখন পেপাল এবং পেওনিয়ার সহ ইত্যাদি পেমেন্ট গেটওয়ে মাধ্যমে ফাইভার থেকে আয় করা ডলারটি উইথড্র করতে পারবেন।

তবে ফাইভার থেকে আয় করা ডলারটি উইথড্র দেওয়ার ৭ থেকে ১৪ দিন মধ্যে সময় আপনার দেওয়া পেমেন্ট গেটওয়ে এড হয়ে যাবে। কিন্তু উইথড্র দেওয়ার সময় আপনার একাউন্ট থেকে ফাইভারের সার্ভিস ফি ২০% কেটে নেওয়া হবে।

ফাইভারের মাধ্যমে যোগাযোগের সুবিধা

ফাইভার তাদের ক্লাইন্ট এবং বাইরের যোগাযোগের জন্য আলাদা সুবিধা দিয়ে থাকে। ফাইভারের ইনবক্সের মাধ্যমে বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার সহজে সেই কাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে অর্ডার কনফার্ম করতে পারবে। যেটি ক্লাইন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারের কাজের মান এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। ‌

Fiverr রিভিউ এবং রেটিং সিস্টেম

ফাইভারের প্রত্যেকটি কাজের শেষে বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার দুজনেই একে অন্যকে রেটিং দিতে পারবে। যে রেটিং দেখে অন্য বায়ারদের অথবা ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সুবিধা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা পরবর্তীতে আরো অর্ডার পেয়ে থাকে।

ফাইভারে কীভাবে কাজ করতে হয়

ফাইভার থেকে আয় করা খুব সহজ। কিন্তু সঠিকভাবে ফাইভার থেকে আয় করার জন্য কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। নিচে কিভাবে ফাইবারে কাজ করতে হয়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  • ফাইভার থেকে আয় করার জন্য সঠিক নিয়মে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
  • তারপর ফাইভার প্রোফাইলে নিজের দক্ষতা, প্রফেশনাল ছবি এবং নিজের বায়োডাটা সম্পর্কে সঠিক ধারণা তুলে ধরুন
  • এখন আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ফাইভারে (Fiverr) গিগ তৈরি করে আপলোড করুন
  • যখন কোন ক্লায়েন্টের আপনার তৈরি গিগ দেখে পছন্দ হবে এবং অর্ডার কনফার্ম করবে। তখন বায়ারের দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজটি জমা করুন
  • বায়ার অনুমোদন দেওয়ার পরে ফাইভার পেমেন্ট হোল্ড করে রাখবে এবং ৭ থেকে ১৪ দিনের পরে ফাইভার থেকে আয় করার ডলারটি উত্তোলন করতে পারবেন এবং
  • আপনি যদি বায়ারের পছন্দ অনুযায়ী কাজ সাবমিট করেন। তাহলে পায়ার আপনাকে খুশি হয়ে ফাইভ স্টার (5*) দিবে। এতে করে পরবর্তীতে আরোও নতুন নতুন অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

গিগ (Gig) কী?

গিগ (Gig) হলো: একজন ফ্রিল্যান্সারের দেওয়া সেবার অফার সমূহ। এক কথায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সার তার দক্ষতা অনুযায়ী প্রোফাইলে বিভিন্ন ধরনের গিগ তৈরি করে থাকে। যেখানে ফ্রিল্যান্সারের কাজের দক্ষতা, কাজ করার জন্য কত টাকা পেমেন্ট নেই এবং কত দিনের মতো কাজ সম্পন্ন করবে ইত্যাদি তথ্য দেখতে।

গিগ (Gig) যে ধরনের ফ্রিল্যান্সারের তথ্য দেওয়া থাকে। সেটি হচ্ছে:

  • টাইটেল
  • বিবরণ
  • মূল্য
  • ডেলিভারি সময় এবং
  • কাজের নমুনা ইত্যাদি

ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারের যোগাযোগ ব্যবস্থা

ফাইভারের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। এতে করে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লাইন্ট কাজ দিতে আস্থা পায়। কোন ক্লায়েন্ট যখন ফ্রিল্যান্সারের তৈরি করা গীত দেখে অর্ডার করতে আগ্রহী হয়ে থাকে।

আরোও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নিরাপদে আয় করুন

তাহলে সরাসরি ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়ে কথা বলে অর্ডার কনফার্ম করতে পারবে। এতে করে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বিশ্বাস তৈরি হয়। তাছাড়াও পরবর্তীতে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারের দীর্ঘ মেয়াদী কাজের সু সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ফাইভারে (Fiverr) সফল যোগাযোগের কৌশল

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য নিম্নের কৌশল গুলো ফলো করতে পারেন। যেমন:

  • বায়ারের মেসেজের দ্রুত রিপ্লাই দিন। এতে করে বায়ার কাজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে
  • কাজের নির্দেশনা এবং প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট ভাষায় লিখুন
  • যেকোনো পরিস্থিতিতে ভদ্রতা বজায় রাখুন
  • বড় প্রজেক্ট হলে মাঝে মাঝে বায়ারের কাজের আপডেট দিতে থাকুন
  • অপ্রয়োজনীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং
  • প্রজেক্ট শুরু করার আগে বায়ারের থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং ফাইল সংগ্রহ করুন।

ফাইভারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম ফাইভারে সঠিক নিয়মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখন আপনি ফাইভারের মেইন ওয়েবসাইট অথবা অ‍্যাপসের মাধ্যমে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

আপনি যদি অ্যাপস ব্যবহার করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে চান। তাহলে আপনার মোবাইলে থাকা গুগল প্লে স্টোর ওপেন করে Fiverr লিখে সার্চ করুন। এখন সার্চ রেজাল্টে আশা ফাইভার (Fiverr) অ্যাপসটি ইন্সটল করুন।

অথবা Google Chrome browser থেকে Fiverr.com লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনাকে সরাসরি ফাইভারের মেইন ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে।

ফাইভার থেকে আয়

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন ডানপাশে লক্ষ্য করলে “Join” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে একাউন্ট তৈরি করার তিনটি মাধ্যম দেখতে পাবেন। যেমন:

  1. Continue with Facebook
  2. Continue with Google এবং
  3. Continue with Email Address

এখন আপনি যে অপশন ব্যবহার করে। ফাইভারে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে যাচ্ছেন। সেই অপশনটি সিলেক্ট করুন। Email Address দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ইমেইল এড্রেস অপশনে একটি সচল ইমেইল এড্রেস বসিয়ে দিন।

তারপর নিচে থেকে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার একাউন্টের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড বসাতে হবে।

ফাইভার থেকে আয়

তাহলে প্রথমে একটি ইউনিক ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন। তারপর নিচে থেকে Join অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে। ‌এখন ইমেইল থেকে সেই ভেরিফিকেশন মেইলে ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফাই সম্পন্ন করুন।

এখন মেইলটি ওপেন করে active your account লেখাটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ফাইভার একাউন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। এখন ফাইভার থেকে আয় করার জন্য আপনার একাউন্টের প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে এবং Gig তৈরি করতে হবে।

ফাইভার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে। এখন ফাইভার প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য একাউন্টের হোম পেজে প্রবেশ করুন। তারপর ডান পাশ থেকে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে settings অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে প্রোফাইল সম্পন্ন করার জন্য একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।

ফাইভার থেকে আয়

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য সেখান থাকা সকল অপশন সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এখন প্রথমে নামের অপশনে ক্লিক করে আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী নামটি লিখুন। আর আপনারা যদি এনআইডি কার্ড না থাকে।

তাহলে অন্য কারোর এন আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম লিখে “Save Changes” অপশনে ক্লিক করুন। ফাইভার থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করতে হবে। তাহলে আপনি ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন।

আরোও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ইনকাম সাইট প্রতিদিন ১০ ডলার আয় করুন ২০২৫

এখন প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য আবারোও প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে profile অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে এবং সেখানে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।

ফাইভার থেকে আয়

ফাইভার একাউন্টটি ভেরিফাই করার জন্য প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার প্রফেশনাল একটি ছবি সিলেক্ট করুন। এখন নিচে “your display Name” অপশনে ক্লিক করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী Display Name লিখে “Save display Name” অপশনে ক্লিক করুন।

এখন নিচে “পেন আইকন” দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার সম্পর্কে কিছু তথ্য লিখে Upload অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার প্রোফাইলে তথ্য গুলো এড হয়ে যাবে।

এখন আপনার প্রোফাইলে আরোও কিছু তথ্য এড করে প্রোফাইলটি কমপ্লিট করতে হবে। যেমন:

  • ফাইভার প্রোফাইলের বায়ো ডাটা এড করুন। অর্থাৎ, আপনার একাউন্টের প্রোফাইলে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। তাহলে Description অপশনে ক্লিক করে আপনার কাজের উপর নির্ভর করে সংক্ষেপে ডিসক্রিপশন লিখুন
  • তারপর আপনি ফাইভারে কোন ধরনের কাজ করবেন। সেই কাজগুলো সিলেক্ট করুন। যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটার এবং ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি
  • এখন আপনি কোন ভাষায় কাজ করতে পারেন। সেই ভাষাটি সিলেক্ট করুন। যেমন: বাংলা এবং ইংরেজি ইত্যাদি
  • তারপর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করুন
  • পোর্টফোলিও আপলোড করুন অর্থাৎ, ফাইভারে আগের কাজের ডকুমেন্ট অথবা স্ক্রিনশট আপলোড করুন এবং
  • আপনার ফাইভারের প্রোফাইলের লিংকটি ভেরিফাই সম্পন্ন করুন। এতে করে আপনার প্রোফাইলের জনপ্রিয়তা বাড়বে

ফাইভার প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করার সহজ উপায়

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য প্রফেশনাল ভাবে আপনার ফাইভার একাউন্টটি সেটআপ করতে হবে। এতে করে বায়ার কাজ দিতে আস্থা প্রকাশ করে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইভার প্রোফাইল সেটাআপ করার কার্যকরী টিপস দেওয়া হলো:

  • আপনার স্পষ্টভাবে হাস্যোজ্জ্বল মুখের পরিষ্কার আপলোড করুন
  • নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে শুদ্ধ ভাষায় একটি ডিসক্রিপশন লিখুন
  • প্রোফাইল কমপ্লিট করার সময় সর্বনিম্ন 15 টি স্কিল সিলেক্ট করুন
  • বাংলা এবং ইংরেজি দুটো ভাষা সিলেক্ট করুন। এতে করে আপনি বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষার কাজ পাবেন
  • আপনার ইংরেজি দক্ষতা উল্লেখ করুন
  • আগের কাজের ছবি আপলোড করুন। যেমন: ভিডিও, স্ক্রিনশট এবং কাজের রিভিউ ইত্যাদি এবং
  • ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার এবং সোশ্যাল মিডিয়া লিংক ভেরিফাই করুন। ভেরিফাই প্রোফাইল বায়ারদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য লাগে

ফাইভারে প্রথম অর্ডার পাওয়ার কৌশল

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইভার থেকে আয় করা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। তবে কিছু ধাপ ফলো করলে খুব কম সময়ের মধ্যে ফাইভার থেকে আয় করা সম্ভব। নতুনদের জন্য ফাইভার থেকে আয় করার কিছু টিপস দেওয়া হলো:

  • ফাইভারের প্রোফাইলটি ১০০% কমপ্লিট করতে হবে। অর্থাৎ, প্রফেশনাল ছবি, আকর্ষণীয় বায়োডাটা, ভাষা এবং পোর্টফোলিও যুক্ত ইত্যাদি ডকুমেন্ট যুক্ত করে প্রোফাইলটি আকর্ষণীয় করতে হবে
  • আকর্ষণীয় গিগ (Gig) তৈরি করতে হবে। গিগ (Gig) তৈরি করার সময় এমন ভাবে ছবি, ভিডিও এবং শিরোনাম এড করুন। যাতে করে বায়ার আপনার গিগ (Gig) দেখেই অর্ডার দিতে আগ্রহী হয়। অবশ্যই গিগ তৈরি করার সময় SEO-ফ্রেন্ডলি কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  • প্রথমে কম দামে কাজ শুরু করুন। এতে করে মার্কেটে আপনার জনপ্রিয়তা লাভ পাবে
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা ফাইভারে এক্টিভ থাকুন
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার Gig শেয়ার করুন। যেমন: Facebook, LinkedIn এবং Twitter ইত্যাদি
  • যত দ্রুত সম্ভব বায়ারের দেওয়া মেসেজের রিপ্লাই দিতে এবং
  • শুরুর দিকে ছোট ছোট কাজের অর্ডার নিন। এতে করে আপনার একাউন্টের রেটিং বাড়বে

ফাইভারে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়ার টিপস

ফাইভার থেকে আয় শুধুমাত্র প্রথম অর্ডার পাওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং দীর্ঘদিন সফলভাবে কাজ করে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু ফাইভারে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়ার টিপস দেওয়া হলো —

  • আপনার কাজের গুনগত মান বজায় রাখুন। প্রত্যেকটি কাজ সততা এবং সেরা মানের তৈরি করুন। এতে করে বায়য়ার আপনার কাছ দেখে সন্তুষ্ট হবে এবং ভালো রিভিউ দিবে। এতে করে আপনার অ্যাকাউন্টে আরো নতুন অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
  • বায়ারের দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি করুন। কারণ সময়ের মতো কাজ ডেলিভারি না করলে বায়ারের আস্থা কমে যায়
  • ক্লায়েন্টের সাথে সব সময় ভালো আচরণ করুন। এতে করে ক্লায়েন্টের বিশ্বাস গড়ে ওঠবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি হবে
  • নতুন দক্ষতা শিখে নিয়মিত ফাইভারে গিগ আপলোড করুন
  • ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে রিভিউ দিতে উৎসাহ করুন। এতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট বিশ্বাসযোগ্য এবং নতুন অর্ডার পেতে সাহায্য করে
  • শুরুর দিকে কম দামে কাজ করুন। মার্কেটে অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তা বাড়লে মূল্য বাড়াতে পারবেন
  • যদি আপনার একাউন্টে খারাপ রিভিউ আসে। তাহলে সেটিকে উন্নতির সুযোগ হিসেবে নেও এবং
  • ফাইভারে (Fiverr) সফলতা অর্জন করতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করুন। এতে করে খুব দ্রুত আপনারা সফলতা আসবে

বেশি অর্ডার পাওয়ার জন্য গিগ তৈরির গাইড

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য এমন ভাবে গীত তৈরি করতে হবে। যে বায়ার একবার দেখলেই অর্ডার দিতে আগ্রহী প্রকাশ করবে। ফাইভাবে একটি ভালো দিক শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে তুলে ধরে না। বরং ক্লায়েন্টের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। নিচে কয়েকটি গিফট তৈরি করার কৌশল দেওয়া হলো।

SEO ফ্রেন্ডলি শিরোনাম নির্বাচন করুন

ফাইবারের গিগের শিরোনাম সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট ভাষায় লিখুন। শিরোনামে মূল কিওয়ার্ড যুক্ত করুন। যাতে করে ফাইভারে সার্চ করলেই আপনার তৈরি গিগ চলে আসে। এতে করে বেশি বেশি অর্ডার আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সঠিক ক্যাটাগরি ও সাব-ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন

ফাইভার থেকে আয় আরোও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে: সঠিক ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন। আপনার তৈরি গিগের সঠিক ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। আপনি যদি ভুল ক্যাটাগরি সিলেক্ট করেন। তাহলে বায়ার আপনার গিগটি ফাইভারে খুঁজে পাবেনা। এতে করে আপনি ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন না।

SEO ফ্রেন্ডলি সার্চ ট্যাগ ব্যবহার করুন

SEO ফ্রেন্ডলি ৫টি সার্চ ট্যাগ ব্যবহার করুন। যেমন: অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং, লোগো ডিজাইন, ফাইভার থেকে আয়, ঘরে বসে আয় এবং ব্যবসার লোগো।

SEO ফ্রেন্ডলি ও আকর্ষণীয় বিবরণ লিখুন

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য ডিস্ক্রিপশন বক্সে আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য লিখুন। যেমন: আপনার কাজের ধরন, ক্লাইন্ট আপনার থেকে কি কি সুবিধা পাবে, কাজের পদ্ধতি এবং আপনার যোগ্যতা ইত্যাদি। অবশ্যই সঠিকভাবে ডিসক্রিপশন লিখুন। যাতে করে ক্লাইড আপনার ডেসক্রিপশনটি পড়ে বুঝতে পারে।

প্যাকেজ ও দাম ঠিক করার কৌশল

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য Standard, Basic এবং Premium তিনটি প্যাকেজ আলাদা আলাদা মূল্য নির্ধারণ করুন। ফাইভারে কাজ করার জন্য প্রথমেই কাজের মূল্য কিছুটা কম রাখুন। এতে করে নতুনদের ফাইবারে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করুন

ফাইভারে উন্নত মানের ছবি এবং ভিডিও গিগকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলুন। ফাইভার থেকে আয় করার জন্য প্রোফাইলে কাজের নমুনার বিবরণ দিন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন যোগ করুন

বায়ারের দেওয়া প্রশ্নের উত্তর আগে থেকে FAQ আকারে সাজিয়ে দিন। এতে করে অর্ডার দেওয়া জন্য ভালো হবে।

অনলাইনে পাবলিশ ও প্রমোট করুন

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য আপনাকে গিগ তৈরি করে প্রোফাইলে আপলোড করতে হবে। তাছাড়া ও আপনার তৈরি করা গিগ facebook, টেলিগ্রাম অথবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন।

ফাইভারে কাজ পেতে কীওয়ার্ড ব্যবহারের গুরুত্ব

ফাইভার থেকে আয় করার অন্যতম উপায় হচ্ছে: সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ। ‌ ফাইভার একটি সার্চ প্লাটফর্ম যেখানে বায়ারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করে থাকে।

‌এখন আপনার ফাইভার গিগে সঠিক কিওয়ার্ড থাকে। তাহলে সার্চ রেজাল্টে আপনার তৈরি গিগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নিচে কয়েকটি ফাইভারে গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ডের ব্যবহার গুরুত্ব দেখানো হলো।

সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং উন্নত করে

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য সঠিক কীওয়ার্ডের শিরোনাম, ট্যাগ এবং বিবরণ যুক্ত করতে হবে। এতে করে Fiverr আপনার গিগকে আলাদা প্রাধান্য দিবে

লক্ষ্যযুক্ত ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে দেয়

প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে বাইয়ারা খুব সহজেই আপনার গিগ খুঁজে পাবে। যার ফলে আপনার গিগে বেশি বেশি ইম্প্রেশন ও ক্লিক আসবে। এতে করে আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দেয়

ফাইভারে হাজারো বায়ার একই ক্যাটাগরি দিয়ে কাজ করে। এখন আপনি যদি সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গিগ তৈরি করতে পারেন। তাহলে অন্যদের গিগের তুলনায়। আপনার তৈরি করা গিগ আলাদা হয়ে যাবে।

দীর্ঘমেয়াদে অর্গানিক ট্রাফিক আনে

আপনি যদি আপনার ফাইভার একাউন্টে সঠিক গিগ অপটিমাইজ করেন। তাহলে আপনার তৈরি করা গিগ দীর্ঘদিন সার্চ রেজাল্টে দেখা যাবে। ফলে আপনার নিয়মিত ভিজিটর বাড়বে।

ফাইভারে ক্লায়েন্টের সাথে কার্যকর যোগাযোগ

ফাইভার থেকে আয় করার জন্য আপনাকে ক্লাইন্টের সাথে পেশাদার এবং কার্যকর বজায় রাখতে হবে। সঠিক যোগাযোগ ক্লাইন্টের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং ভুল বোঝাবুঝি কমায়। এছাড়াও পরবর্তীতে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ফাইভারে ক্লাইন্টের সাথে কার্যকর যোগাযোগের কিছু গুরুত্ব দেওয়া হলো:

  • যত দ্রুত সম্ভব হয় ক্লাইন্টের এসএমএসের রিপ্লাই দিন
  • ফাইভার থেকে আয় করার জন্য ক্লাইন্টের সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলুন
  • ক্লাইন্টের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা অথবা ইমোজি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
  • ক্লাইন্টকে প্রোজেক্ট চলাকালীন কাজের তথ্য আপডেট দিতে থাকুন
  • সঠিক সময়ের মধ্যে কাজটি ডেলিভারি করুন এবং
  • ডেলিভারি সম্পন্ন হওয়ার পর বায়ারের প্রোফাইলে রেটিং দিন

নতুনদের জন্য সহজ স্কিলসমূহ

নতুনদের জন্য ফাইভার থেকে আয় করার কিছু জনপ্রিয় স্কিল রয়েছে। যে স্কিল গুলো ফলো করে কাজ করলে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন। নিচে নতুনদের জন্য ফাইভার থেকে আয় করার সহজ উপায় দেখানো হলো:

  • কম্পিউটার স্কিল নিয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন
  • বিভিন্ন ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারবেন
  • গ্রাফিক্সের ডিজাইন করে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন
  • ভিডিও এডিটিং করে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন এবং
  • ভয়েস ওভার করে ফাইভার থেকে আয় করতে পারবেন

ফাইভার থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়

বর্তমান সময়ে ফাইভার ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করা যায়। এখন ফাইভার থেকে আয় টাকাটি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন। ফাইভার কী এবং অনলাইনে ফাইভার থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইড সম্পর্কে। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে অসংখ্য ধন্যবাদ!

Discover more from বঙ্গভাষা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading