আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং দেশের বাইরে লেখাপড়া করতে যেতে চান। এখন আপনার জন্য কোন ব্যাংক একাউন্টটি ভালো হবে। সেটি বুঝছেন না। অথবা আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং আপনার ইনকাম কৃত ডলারটি কোন ব্যাংকে আনলে সুবিধা হবে।
তাছাড়াও অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। তারা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠান। এখন কোন ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠালে আপনার জন্য সুবিধা হবে। সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টটিতে আমরা কোন ব্যাংক একাউন্ট আপনার জন্য ভালো হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথেই থাকুন।
কোন ব্যাংকটি আপনার জন্য ভালো হবে:
আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে আপনার বেস্ট চয়েস হবে। কারেন্ট ব্যাংক একাউন্ট এবং সেটিংস ব্যাংক একাউন্ট। সাধারণত আপনি যদি কারেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খুলেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন প্রকারের ইন্টারেস্ট পাবেন না। আপনি কারেন্ট ব্যাংকে যত টাকা জমা করবেন। ঠিক তত টাকায় ফেরত পাবেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে সামান্য কিছু চার্জ প্রদান করবে।
আর আপনি যদি সেটিংস একাউন্ট খুলেন। তাহলে আপনার মুল টাকার সাথে ইন্টারেস্ট পাবেন।আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট, ফ্রিল্যান্সার অথবা বিদেশি হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি নিম্নের দুইটি ব্যাংক থেকে যেকোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন। যেমন:
- প্রাইভেট ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি এবং
- সরকারি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি
এখানে আপনি প্রাইভেট ব্যাংকে একাউন্ট খুলে নিরাপদে টাকা লেনদেন করতে পারবেন এবং সরকারি ব্যাংকে একাউন্ট করে নিরাপদে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। তবে অন্য ব্যাংকের তুলনায় সরকারি ব্যাংকে কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। সাধারণত সরকারি ব্যাংকের সার্ভিস কিছুটা কম হয়ে থাকে।
তাছাড়াও আপনি সরকারি ব্যাংকে কয়েকটি ফ্রি সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন। যেমন: সরকারি গভারমেন্ট রিলেটেড যেকোনো ফ্রি সার্ভিস এবং গভার্মেন্ট রিলেটেড কোনো পেমেন্ট দিতে গেলে। সবচেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলো বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
কোনো ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যাংকের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি সেই ব্যাংকে নিরাপদে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এতে করে আপনার আর্থিক সমস্যা হবে না। আর আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যেতে চান। তাহলে আপনার জন্য কোন ব্যাংকে ভালো হবে এবং কোন ব্যাংকের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে। এখন আপনাকে সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে ব্যাংকের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংকের সুবিধা রয়েছে। সিটি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করে নিরাপদে লেনদেন করতে পারবেন। এতে করে আপনাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে না।
একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন! কোন ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার আগে সেই ব্যাংকের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমান সময়ের কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যাংকের নাম হলো: সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক ইত্যাদি। সিটি ব্যাংকে আপনি দৈনিক সর্বোচ্চ দৈনিক ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।
এখন আপনার প্রয়োজন অনুসারে এবং ব্যাংকের সুবিধা-অসুবিধা উপর ভিত্তি করে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনার জন্য কোন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ভালো হবে? বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে থাকে।
সেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন এবং কার্ডটিতে টাকা লোড করে USDT ডলারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণত আপনাকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি নিয়ে একবার ব্যাংক থেকে ইনডোর্সমেন্ট করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে কার্ডে টাকা লোড করে USDT ডলার কিনতে পারবেন। এতে করে আপনাকে বারবার ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। আপনি একবার ইনডোর্সমেন্ট করে USDT ডলার ব্যবহার করতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনি চাইলে ইউসিবি ব্যাংক অথবা এবি ব্যাংক ইত্যাদি থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন। আপনি যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে। অন্যথায়, আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন না।